ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত বন্দরনগরী, সড়কে কোমর পানি
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গত দুই দিনের মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা ভারী বর্ষণজনিত জলাবদ্ধতায় নগরীর নিচু এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে ডুবে গেছে।
আশ্বিনের মধ্য প্রান্তিকের এ বৃষ্টিপাত শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। গতকাল দিনভর থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় টানা কয়েক ঘণ্টারে ভারী বর্ষণ। এ সময় জলাবদ্ধতায় নগরীর নিচু এলাকার সড়ক, লেইন, বাই-লেইন হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।
নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়ায় বিভিন্ন অংশ, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, সিডিএ এভিন্যুর ষোলশহর ২ নং গেইট থেকে মুরাদপুরের মধ্যবর্তী এলাকা, চান্দগাঁও বি-ব্লক, চকবাজার, শুলকবহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, মোগলটুলি, পাথারঘাটা এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে ডুবে যায়। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মস্থল থেকে বাসা ফেরত নানা পেশার মানুষ। নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে সৃষ্ট যানজটে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠে।
এদিকে শুক্রবার সকালে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নগরীর চকবাজার এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মানিক দেবনাথ (৩৭)। তিনি পেশায় একজন দর্জি শ্রমিক বলে পুলিশ জানায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, মানিক দেবনাথ চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় নিজের গুদামে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে তার উপর পড়লে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিশেষ করে শুক্রবার যাত্রী স্বল্পতার কারণে শহর এলাকার বাস-মিনিবাস চলাচল না করায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ে মানুষজন। এ সুযোগে সিএনজি-চালিত টেক্সি আর রিকশাওয়ারা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে।
এদিকে রাতভর ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে বন্দর সূত্র জানায়।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শরিফুল জানান, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
নগরীর অধিকাংশ খাল , নালা নর্দমা ভরাট ও বেদখল হয়ে যাবার কারণে অতিবৃষ্টিতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটায় জলাবদ্ধতা এখন নগরবাসীর নিত্য দুর্ভোগের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নিতে পারেনি বলে নাগরিক সমাজ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সিটি করপোরেশন সীমিত ক্ষমতা নিয়ে জলাবন্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, নতুন খাল খনন, পুরানো খাল সংস্কার, বেদখল মুক্ত করতে করপোরেশন কর্তৃক নেয়া প্রকল্পগুলো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে স্থায়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে শুক্রবার সকালে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নগরীর চকবাজার এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মানিক দেবনাথ (৩৭)। তিনি পেশায় একজন দর্জি শ্রমিক বলে পুলিশ জানায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, মানিক দেবনাথ চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় নিজের গুদামে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে তার উপর পড়লে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিশেষ করে শুক্রবার যাত্রী স্বল্পতার কারণে শহর এলাকার বাস-মিনিবাস চলাচল না করায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ে মানুষজন। এ সুযোগে সিএনজি-চালিত টেক্সি আর রিকশাওয়ারা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে।
এদিকে রাতভর ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে বন্দর সূত্র জানায়।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শরিফুল জানান, পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
নগরীর অধিকাংশ খাল , নালা নর্দমা ভরাট ও বেদখল হয়ে যাবার কারণে অতিবৃষ্টিতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটায় জলাবদ্ধতা এখন নগরবাসীর নিত্য দুর্ভোগের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নিতে পারেনি বলে নাগরিক সমাজ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সিটি করপোরেশন সীমিত ক্ষমতা নিয়ে জলাবন্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, নতুন খাল খনন, পুরানো খাল সংস্কার, বেদখল মুক্ত করতে করপোরেশন কর্তৃক নেয়া প্রকল্পগুলো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জলাবদ্ধতা দূরীকরনে স্থায়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
No comments