মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রকল্পে ২৫ হাজার টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে-* বছরে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন -* বরফকল স্থাপনের দাবি চাষিদের by মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় মৎস্য খাতে বছরে লেনদেন হয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। উপজেলার ইছাখালী ও ওসমানপুরের মুহুরী প্রকল্পে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদিত মাছের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার টন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে ৩৪ দশমিক ৭৮ লাখ টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। মন্ত্রীর এ লক্ষ্যমাত্রার একটি বিশাল অংশ পূরণ করতে সক্ষম মৎস্য জোন খ্যাত এ উপজেলাটি।
চট্টগ্রামের মোট মাছের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ মিরসরাইয়ে উৎপাদিত মাছ দিয়ে মেটে। পর্যায়ক্রমে এ উপজেলায় মাছের উৎপাদনের হার বেড়েছে। তবে নিজেদের অসুবিধা ও অপ্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে নানা আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা। এর মধ্যে বরফকল স্থাপন অতি জরুরি বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। কালের কণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে মৎস্যচাষি সমবায় সমিতির একাধিক নেতা তাঁদের নানা সংকট ও সমস্যা-সম্ভাবনার কথা জানান।
মিরসরাই উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাইয়ে ৫০০ হেক্টর জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন হয়। এ আয়তনের জলাশয়ে প্রতি মৌসুমে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার টন।
তিনি আরো বলেন, মিরসরাইয়ের ইছাখালী, ওসমানপুর ও ধুম ইউনিয়নে মৎস্য উৎপাদনের হার বেশি। উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের অধীন ৩৬টি স্থানীয় মৎস্যচাষিদল রয়েছে। প্রতি দলে সদস্য ১৫ জন। এই প্রকল্প ছাড়াও মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে মাছের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাইয়ে মাছ উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতায় মাছের উৎপাদন আশানুরূপ বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তৃণমূল পর্যায়ের চাষিরা। তবে এর চেয়েও ভয়াবহ সমস্যা বরফকলের অভাব। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় নানা নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বর্তমানে মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
মৎস্য সমবায় সমিতির নেতা নাজমুল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, অতি দারিদ্র্যের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাছ চাষ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অন্তত একটি বরফকল থাকলে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা আরো অধিক উপকৃত হতেন।
ইছাখালী ইউনিয়নের মাছচাষি পারভেজ হোসেন, মাঈন উদ্দিনসহ বিভিন্ন স্থানের মৎস্যচাষিদের অভিযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা থমকে দিচ্ছে এখানকার মাছের কারবারের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। জোরারগঞ্জ-আবুরহাট-ইছাখালী, জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট, মুহুরী প্রজেক্ট-ইছাখালী সড়ক হচ্ছে মৎস্য সরবরাহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। এসব সড়কে এখন যানবাহন চলাচল করছে হাতে গোনা কয়েকটি। একাধিক স্থানে পায়ে চলাও কঠিন।
ওসমানপুর ইউনিয়নের মাছচাষি মুক্তিযোদ্ধা মহসিন বলেন, 'বরফকল না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব সংকট না থাকলে আরো অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে।'
তবে বরফকল স্থাপনের আগে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বরফকল স্থাপনের বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাইয়ে ৫০০ হেক্টর জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন হয়। এ আয়তনের জলাশয়ে প্রতি মৌসুমে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার টন।
তিনি আরো বলেন, মিরসরাইয়ের ইছাখালী, ওসমানপুর ও ধুম ইউনিয়নে মৎস্য উৎপাদনের হার বেশি। উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের অধীন ৩৬টি স্থানীয় মৎস্যচাষিদল রয়েছে। প্রতি দলে সদস্য ১৫ জন। এই প্রকল্প ছাড়াও মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে মাছের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাইয়ে মাছ উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতায় মাছের উৎপাদন আশানুরূপ বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তৃণমূল পর্যায়ের চাষিরা। তবে এর চেয়েও ভয়াবহ সমস্যা বরফকলের অভাব। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় নানা নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বর্তমানে মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
মৎস্য সমবায় সমিতির নেতা নাজমুল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, অতি দারিদ্র্যের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাছ চাষ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অন্তত একটি বরফকল থাকলে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা আরো অধিক উপকৃত হতেন।
ইছাখালী ইউনিয়নের মাছচাষি পারভেজ হোসেন, মাঈন উদ্দিনসহ বিভিন্ন স্থানের মৎস্যচাষিদের অভিযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা থমকে দিচ্ছে এখানকার মাছের কারবারের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। জোরারগঞ্জ-আবুরহাট-ইছাখালী, জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট, মুহুরী প্রজেক্ট-ইছাখালী সড়ক হচ্ছে মৎস্য সরবরাহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। এসব সড়কে এখন যানবাহন চলাচল করছে হাতে গোনা কয়েকটি। একাধিক স্থানে পায়ে চলাও কঠিন।
ওসমানপুর ইউনিয়নের মাছচাষি মুক্তিযোদ্ধা মহসিন বলেন, 'বরফকল না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব সংকট না থাকলে আরো অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে।'
তবে বরফকল স্থাপনের আগে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেন মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বরফকল স্থাপনের বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে।
No comments