হঠাৎ কমে গেছে ধানের দাম-এক মাসে মণপ্রতি দাম কমেছে ২০০ টাকা পর্যন্ত by শফিকুল ইসলাম জুয়েল
হঠাৎ করেই কমে গেছে ধানের দাম। এতে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আলু ও পাটের নিম্নমুখী দামের মতো একই অবস্থা ধানের ক্ষেত্রে হলে কৃষকদের পরিণতি বড়ই করুণ হবে।বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
ফলে গত বোরো মৌসুমের ৮০০ টাকা মণের বিআর-২৮ ও ২৯ জাতের সরু ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আর নতুন ওঠা প্রতি মণ আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। হঠাৎ কমে যাওয়া দামের কারণে লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচও পাচ্ছেন না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে জানান, ধানের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় কৃষকরা এ মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে দ্রুতই দাম বেড়ে যাবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আমন ওঠার মুহূর্তে জমা করে রাখা ধান ছেড়ে দিচ্ছেন মজুদদাররা। কিছু নতুন আমন ধান বাজারে ওঠায়ও দাম কমছে। সচিব মনে করেন, ধানের দাম কমলে দরিদ্র লোকজন খুশি হয়; কিন্তু উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে কৃষককে কম দামের ফাঁদে ফেলা উচিত নয়।
ঝিনাইদহ সদরের কৃষক বাবুল রহমান টেলিফোনে বলেন, 'গত মাসেও ৮১০ টাকা মণ বিক্রি করা বিআর-২৯ জাতের ধান গত রবিবার বিক্রি করেছি ৬৯০ টাকায়।' তিনি জানান, বাজারে ক্রেতা না থাকায় ধান কেনার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার নলতৈড় গ্রামের কৃষক সোলাইমান আলী বলেন, 'বিআর-২৮ জাতের ধান দেড় মাস আগে ৮২৫ টাকা মণ বিক্রি করেছি। একই ধান গত শনিবার বিক্রি করেছি ৬৭০ টাকায়। এ ছাড়া নতুন আমন ধান (কিছুটা ভেজা) বিক্রি করেছি মাত্র ৪৬০ টাকায়।'
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় বীজ বোর্ডের সদস্য যশোর সদরের কৃষক আলতাব হোসেন জানান, দু-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ধানের দাম কমেছে চোখে পড়ার মতো। অনেক কৃষকই ধান এনে বিক্রি করতে পারছেন না। পাইকারদেরও বাজারে আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকারও বেশি কমে গেছে।
ঢাকার বাবুবাজার, ঠাটারিবাজার, কাপ্তানবাজার, রায়বাজার, শ্যামবাজার, মোহাম্মদপুরসহ চালের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে চালের দাম কমছে। সরু চাল কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ ও মোটা চালের দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। এদিকে ফকিরাপুল, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুর, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এক মাসে চালের দাম কমেছে, তবে কেজিপ্রতি দু-এক টাকার বেশি নয়। পাইকারদের কম দামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেন, যেভাবে পাইকারি দাম কমে সেভাবে খুচরা দাম কমানো যায় না। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীদের বাজারজাতকরণে খরচ বেশি।
হাতিরপুল বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী মোরশেদ, সালাম, ব্যাংকার মাহফুজ, আসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। তাঁরা দাবি করেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বাজারে বাড়ে; কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারে কমে না। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ে; কিন্তু কমলে এর সুফল সাধারণ ক্রেতারা পায় না। সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বলেই অতিরিক্ত দামের জাঁতাকলে পিষ্ট হয় সাধারণ মানুষ।
এদিকে গত ১ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরে পেশ করা ঢাকা রেশনিং অফিসের প্রধান নিয়ন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ২৬ থেকে ৩০ টাকা ও সরু চাল ৩৬ থেকে ৪১ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মোটা ও সরু চালের দাম অব্যাহতভাবেই কমছে। আজও (বৃহস্পতিবার) চালের পাইকারি ও খুচরা দাম আগের দিনের তুলনায় নিম্নমুখী দেখা গেল।'
এ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে জানান, ধানের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় কৃষকরা এ মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে দ্রুতই দাম বেড়ে যাবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আমন ওঠার মুহূর্তে জমা করে রাখা ধান ছেড়ে দিচ্ছেন মজুদদাররা। কিছু নতুন আমন ধান বাজারে ওঠায়ও দাম কমছে। সচিব মনে করেন, ধানের দাম কমলে দরিদ্র লোকজন খুশি হয়; কিন্তু উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে কৃষককে কম দামের ফাঁদে ফেলা উচিত নয়।
ঝিনাইদহ সদরের কৃষক বাবুল রহমান টেলিফোনে বলেন, 'গত মাসেও ৮১০ টাকা মণ বিক্রি করা বিআর-২৯ জাতের ধান গত রবিবার বিক্রি করেছি ৬৯০ টাকায়।' তিনি জানান, বাজারে ক্রেতা না থাকায় ধান কেনার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার নলতৈড় গ্রামের কৃষক সোলাইমান আলী বলেন, 'বিআর-২৮ জাতের ধান দেড় মাস আগে ৮২৫ টাকা মণ বিক্রি করেছি। একই ধান গত শনিবার বিক্রি করেছি ৬৭০ টাকায়। এ ছাড়া নতুন আমন ধান (কিছুটা ভেজা) বিক্রি করেছি মাত্র ৪৬০ টাকায়।'
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় বীজ বোর্ডের সদস্য যশোর সদরের কৃষক আলতাব হোসেন জানান, দু-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ধানের দাম কমেছে চোখে পড়ার মতো। অনেক কৃষকই ধান এনে বিক্রি করতে পারছেন না। পাইকারদেরও বাজারে আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকারও বেশি কমে গেছে।
ঢাকার বাবুবাজার, ঠাটারিবাজার, কাপ্তানবাজার, রায়বাজার, শ্যামবাজার, মোহাম্মদপুরসহ চালের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে চালের দাম কমছে। সরু চাল কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ ও মোটা চালের দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। এদিকে ফকিরাপুল, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুর, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এক মাসে চালের দাম কমেছে, তবে কেজিপ্রতি দু-এক টাকার বেশি নয়। পাইকারদের কম দামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেন, যেভাবে পাইকারি দাম কমে সেভাবে খুচরা দাম কমানো যায় না। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীদের বাজারজাতকরণে খরচ বেশি।
হাতিরপুল বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী মোরশেদ, সালাম, ব্যাংকার মাহফুজ, আসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। তাঁরা দাবি করেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বাজারে বাড়ে; কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারে কমে না। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ে; কিন্তু কমলে এর সুফল সাধারণ ক্রেতারা পায় না। সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বলেই অতিরিক্ত দামের জাঁতাকলে পিষ্ট হয় সাধারণ মানুষ।
এদিকে গত ১ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরে পেশ করা ঢাকা রেশনিং অফিসের প্রধান নিয়ন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ২৬ থেকে ৩০ টাকা ও সরু চাল ৩৬ থেকে ৪১ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মোটা ও সরু চালের দাম অব্যাহতভাবেই কমছে। আজও (বৃহস্পতিবার) চালের পাইকারি ও খুচরা দাম আগের দিনের তুলনায় নিম্নমুখী দেখা গেল।'
No comments