সালমাদের স্বপ্নের আসর
সকালে মিরপুর একাডেমী মাঠে অনুশীলন শেষে বললেন গুয়াংজুর পরাজয়ের ক্ষতের কথা। বিকেলে দশ অধিনায়কের পরিচিতি সভায় জানান, এশিয়াডে হারের জেদটা তাদের মনে এখনও বেশ তরতাজা। আগামীকাল (আজ) মাঠে সে জেদ প্রকাশ করবে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমার এসব কথায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহিলা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচটিতে প্রতিশোধের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এর চেয়েও বড় কিছু অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। বাংলাদেশের মাটিতে তো বটেই, এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় আসর এ বিশ্বকাপ বাছাই। দশ জাতির এ টুর্নামেন্টের দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল খেলবে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী বিশ্বকাপে। আর শীর্ষ ছয়ের মধ্যে থাকতে পারলে পাওয়া যাবে ওয়ানডে স্ট্যাটাস। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য শীর্ষ ছয়ে থাকা। আর এ লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে সালমাদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসে যাবে বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেটে।
প্রতিশোধের কথা বললেও পাকিস্তানকে সমীহ করেই কথা বলেছেন সালমা, 'গুয়াংজুতে যেহেতু তারা আমাদের হারিয়েছিল, তাই তাদের বিরুদ্ধে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং_ তিনটি বিভাগেই নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।' অন্যদিকে পাকিস্তানের সুন্দরী অধিনায়ক সানা মীর এদেশের দর্শকের প্রশংসা করে বলেন, 'তিন বছর আগে এখানে এসেছিলাম আমি। এখানকার কন্ডিশন অনেকটা পাকিস্তানের মতোই। আমাদের বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। তারা এ কন্ডিশনে বেশ ভালো করবে বলেই আশা করছি। আর আমরা এখানে টুর্নামেন্টটি জিততে এসেছি।' কোচ মোহতাসিম রশিদও জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী, 'এ টুর্নামেন্টের জন্য আমরা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের ব্যাটিং-বোলিং বেশ ভালো। ভালো ক্রিকেট খেলা আমাদের মূল টার্গেট।' বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রতিশোধের কথা বললেও কোচ জানান, গুয়াংজুর ব্যাপার সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। আজ যারা ভালো খেলতে পারবে তারাই জিতবে।
তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুয়াংজুর হারের বদলার স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের কারণে। সাম্প্রতিককালে সালমা বাহিনীর ব্যাটিংয়ের অবস্থা খুবই করুণ। এই বাছাইপর্বের প্রস্তুতির জন্য ভারতের রাজ্যদল সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে জয় পেলেও শ্রীলংকায় গিয়ে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচেই যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছে তারা। এরপর ওই শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতেও ৯ এবং ১১ নম্বেভর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে বেশ বড় ব্যবধানেই পরাজিত হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এসব পরাজয়ের পেছনে দায়ী ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে টপ অর্ডার। গতকাল কোচ মমতা মাবেন এবং অধিনায়ক সালমা খাতুনও স্বীকার করেছেন, ইদানীং তাদের ব্যাটিং মোটেও ভালো হচ্ছে না। সে সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, টপ অর্ডারে পরিবর্তন আসছে। সাথিরা জাকির জেসিকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে বাদও পড়তে পারেন তিনি। আর এ যাত্রা টিকে গেলেও তার ব্যাটিং পজিশন নিচে নেমে যাবে। জেসির জায়গায় পান্না ঘোষকে ওপেন করতে পাঠানো হতে পারে। আর কোচ মমতার আশা, 'টপ অর্ডারের এ পরিবর্তন দলের ব্যাটিংয়ের বাজে চেহারা বদলে দিতে পারে। টপ অর্ডারের তিনজনের যে কেউ যদি ৬০-৭০ রানের একটি ইনিংস খেলে দিতে পারে তাহলে বেশ ভালো একটা স্কোর দাঁড়িয়ে যাবে।' ভারতীয় এ কোচ আরও জানিয়েছেন, 'এ ক'দিন প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। তাই শুধু পাকিস্তান নয়, যে কোনো দলের বিপক্ষে জিততে পারে দল।'
এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের পাঁচটি ম্যাচের চারটিতে হারলেও একটি জয়ের স্মৃতিও আছে সালমাদের। ২০০৯ সালে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে গত বিশ্বকাপে পঞ্চম হওয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া তিন বছর আগে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে দুটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে দুটিতেই পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছিল স্বাগতিকরা। আর সর্বশেষ ২০১০ এশিয়াডে গুয়াংজুতে স্বর্ণের লড়াইয়ে ১০ উইকেটে বাংলাদেশকে পরাজিত করে পাকিস্তান।
প্রতিশোধের কথা বললেও পাকিস্তানকে সমীহ করেই কথা বলেছেন সালমা, 'গুয়াংজুতে যেহেতু তারা আমাদের হারিয়েছিল, তাই তাদের বিরুদ্ধে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং_ তিনটি বিভাগেই নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।' অন্যদিকে পাকিস্তানের সুন্দরী অধিনায়ক সানা মীর এদেশের দর্শকের প্রশংসা করে বলেন, 'তিন বছর আগে এখানে এসেছিলাম আমি। এখানকার কন্ডিশন অনেকটা পাকিস্তানের মতোই। আমাদের বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। তারা এ কন্ডিশনে বেশ ভালো করবে বলেই আশা করছি। আর আমরা এখানে টুর্নামেন্টটি জিততে এসেছি।' কোচ মোহতাসিম রশিদও জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী, 'এ টুর্নামেন্টের জন্য আমরা বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের ব্যাটিং-বোলিং বেশ ভালো। ভালো ক্রিকেট খেলা আমাদের মূল টার্গেট।' বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রতিশোধের কথা বললেও কোচ জানান, গুয়াংজুর ব্যাপার সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। আজ যারা ভালো খেলতে পারবে তারাই জিতবে।
তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুয়াংজুর হারের বদলার স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের কারণে। সাম্প্রতিককালে সালমা বাহিনীর ব্যাটিংয়ের অবস্থা খুবই করুণ। এই বাছাইপর্বের প্রস্তুতির জন্য ভারতের রাজ্যদল সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে জয় পেলেও শ্রীলংকায় গিয়ে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচেই যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছে তারা। এরপর ওই শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতেও ৯ এবং ১১ নম্বেভর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে বেশ বড় ব্যবধানেই পরাজিত হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এসব পরাজয়ের পেছনে দায়ী ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে টপ অর্ডার। গতকাল কোচ মমতা মাবেন এবং অধিনায়ক সালমা খাতুনও স্বীকার করেছেন, ইদানীং তাদের ব্যাটিং মোটেও ভালো হচ্ছে না। সে সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, টপ অর্ডারে পরিবর্তন আসছে। সাথিরা জাকির জেসিকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে বাদও পড়তে পারেন তিনি। আর এ যাত্রা টিকে গেলেও তার ব্যাটিং পজিশন নিচে নেমে যাবে। জেসির জায়গায় পান্না ঘোষকে ওপেন করতে পাঠানো হতে পারে। আর কোচ মমতার আশা, 'টপ অর্ডারের এ পরিবর্তন দলের ব্যাটিংয়ের বাজে চেহারা বদলে দিতে পারে। টপ অর্ডারের তিনজনের যে কেউ যদি ৬০-৭০ রানের একটি ইনিংস খেলে দিতে পারে তাহলে বেশ ভালো একটা স্কোর দাঁড়িয়ে যাবে।' ভারতীয় এ কোচ আরও জানিয়েছেন, 'এ ক'দিন প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। তাই শুধু পাকিস্তান নয়, যে কোনো দলের বিপক্ষে জিততে পারে দল।'
এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের পাঁচটি ম্যাচের চারটিতে হারলেও একটি জয়ের স্মৃতিও আছে সালমাদের। ২০০৯ সালে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে গত বিশ্বকাপে পঞ্চম হওয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া তিন বছর আগে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে দুটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে দুটিতেই পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছিল স্বাগতিকরা। আর সর্বশেষ ২০১০ এশিয়াডে গুয়াংজুতে স্বর্ণের লড়াইয়ে ১০ উইকেটে বাংলাদেশকে পরাজিত করে পাকিস্তান।
No comments