জনশক্তি রপ্তানিতে অচলাবস্থা-সমন্বিত উদ্যোগ দরকার
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জোগানদার জনশক্তি রপ্তানি খাতে দেখা দিয়েছে বিরূপ চিত্র। এর নেতিবাচক ধাক্কা শুধু জাতীয় অর্থনীতিতেই লাগছে না, কর্মহীন মানুষের ভারে ন্যুব্জ দেশের সমাজব্যবস্থায়ও লাগছে।জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই খাতে গত তিন দশকের মধ্যে এমন বিপর্যয় আর হয়নি। একদিকে পুরনো শ্রমবাজার বন্ধ; অন্যদিকে সন্ধান মিলছে না নতুন শ্রমবাজারেরও। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদি আরবে গত পৌনে তিন বছরে প্রবেশ ঘটেছে মাত্র ৩০ হাজার শ্রমিকের।
আর ফিরে এসেছেন ৫০ হাজার শ্রমিক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার চিত্রও একই রকম। গত দুই বছর ধরে দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতসহ অন্য দেশের চিত্রও নাজুক। শুধু সৌদি আরব, মালয়েশিয়া কিংবা কুয়েতই নয়, সম্ভাবনাময় আমাদের প্রায় প্রত্যেকটি শ্রমবাজারের যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, এ জন্য প্রথমেই কূটনৈতিক দক্ষতার প্রশ্নটি সর্বাগ্রে সামনে আসে। ১৩ নভেম্বর সহযোগী একটি দৈনিকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশ, প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশির নীরব কান্না চলছে মালদ্বীপে। মালদ্বীপ একটি মাত্র দৃষ্টান্ত; এ রকম অনেক দেশেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোতে দায়িত্বরতদের দক্ষতা-আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে এমনিতেই নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি আরো প্রকটভাবে সম্প্রতি সামনে এসেছে। বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার তাগিদ বারবার দেওয়া হলেও কার্যত কোনো ইতিবাচক ফলই মিলছে না। নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধানেও তাদের ব্যর্থতা সীমাহীন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের চিহ্ন মিলছে না। বর্তমান শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। অদক্ষদের পাশাপাশি দক্ষদের দিকে দৃষ্টিটা এখন অনেক বেশি সম্প্রসারিত। এ অবস্থায় জনসংখ্যায় ভারাক্রান্ত দেশগুলোর জন্য এ এক বিরাট সুযোগ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে এবং পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধানে দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে এগোতে পারলে আমাদের দিকে পাল্লা ভারী করা কঠিন কিছু নয়।
বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসায় ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে_এ শংকা প্রকট। রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। গত বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও রেমিট্যান্সের কারণে দেশের অর্থনীতি খুব বেশি আঘাত প্রাপ্ত হয়নি। বিদেশে আমাদের হৃত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার এবং নতুন নতুন বাজারের সন্ধানে সরকার দ্রুত ব্যাপকভাবে তৎপর হবে, এটাই প্রত্যাশা। এর পাশাপাশি সুষ্ঠু ও সমন্বিত জনশক্তি রপ্তানি নীতিমালার আলোকে একটি যৌক্তিক অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা জরুরি। বর্তমান দুরবস্থা দ্রুত কাটিয়ে তোলার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও জরুরি।
কালের কণ্ঠে প্রকাশ, প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশির নীরব কান্না চলছে মালদ্বীপে। মালদ্বীপ একটি মাত্র দৃষ্টান্ত; এ রকম অনেক দেশেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোতে দায়িত্বরতদের দক্ষতা-আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতা নিয়ে এমনিতেই নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি আরো প্রকটভাবে সম্প্রতি সামনে এসেছে। বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার তাগিদ বারবার দেওয়া হলেও কার্যত কোনো ইতিবাচক ফলই মিলছে না। নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধানেও তাদের ব্যর্থতা সীমাহীন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও এসব ক্ষেত্রে সাফল্যের চিহ্ন মিলছে না। বর্তমান শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। অদক্ষদের পাশাপাশি দক্ষদের দিকে দৃষ্টিটা এখন অনেক বেশি সম্প্রসারিত। এ অবস্থায় জনসংখ্যায় ভারাক্রান্ত দেশগুলোর জন্য এ এক বিরাট সুযোগ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে এবং পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধানে দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে এগোতে পারলে আমাদের দিকে পাল্লা ভারী করা কঠিন কিছু নয়।
বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসায় ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে_এ শংকা প্রকট। রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। গত বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও রেমিট্যান্সের কারণে দেশের অর্থনীতি খুব বেশি আঘাত প্রাপ্ত হয়নি। বিদেশে আমাদের হৃত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার এবং নতুন নতুন বাজারের সন্ধানে সরকার দ্রুত ব্যাপকভাবে তৎপর হবে, এটাই প্রত্যাশা। এর পাশাপাশি সুষ্ঠু ও সমন্বিত জনশক্তি রপ্তানি নীতিমালার আলোকে একটি যৌক্তিক অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা জরুরি। বর্তমান দুরবস্থা দ্রুত কাটিয়ে তোলার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও জরুরি।
No comments