চার মাসে রপ্তানিতে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি by নাজমুল আলম শিশির
দেশের রপ্তানি খাতে ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কেবল অক্টোবরেই রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের ওপরে। ফলে প্রথম চার মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের রপ্তানিতে কিছুটা নিম্নমুখী ধারা দেখা দিয়েছে।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি আয় ৮১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০.৭৯ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৬৭২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। আর শুধু অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৯৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় ১৫.৪৪ শতাংশ বেশি। বিগত বছরের অক্টাবর মাসে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আয় ছিল ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, রপ্তানিতে নিম্ন ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানিতে বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া তুলার দাম কমে যাওয়ায় পোশাকের দামের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এশিয়া অঞ্চলে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকেই সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে। যদিও নিট পোশাক খাতের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি মোট প্রবৃদ্ধির থেকে কিছুটা কম। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৮৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে নিট পোশাকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলারেরও বেশি। গত বছরের এই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৮৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর নিটওয়্যার খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশের বেশি।
ওভেন গার্মেন্টস খাত থেকে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এই খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৩৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর এ বছর রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩ কোটি ৯২ লাখ ডলারেরও বেশি।
তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কাঁচা পাট রপ্তানি আগের চেয়ে কিছুটা কমে গেছে। কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের আয় হলেও চলতি বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের মত। ফলে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশেরও ওপরে।
চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ২ লাখ ডলারের কিছু বেশি। প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্যে ২১ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি হয়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কৃষিজাত পণ্য থেকে রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২৭.৩৩ শতাংশ। চা, শাকসবজি, টোবাকো, ফুল, ফল, মসলা এবং শুকনা খাদ্যে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে বেড়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, রপ্তানিতে নিম্ন ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানিতে বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া তুলার দাম কমে যাওয়ায় পোশাকের দামের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আগের তুলনায় এশিয়া অঞ্চলে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকেই সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে। যদিও নিট পোশাক খাতের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি মোট প্রবৃদ্ধির থেকে কিছুটা কম। এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৮৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে নিট পোশাকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলারেরও বেশি। গত বছরের এই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৮৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর নিটওয়্যার খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশের বেশি।
ওভেন গার্মেন্টস খাত থেকে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এই খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৩৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর এ বছর রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩ কোটি ৯২ লাখ ডলারেরও বেশি।
তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কাঁচা পাট রপ্তানি আগের চেয়ে কিছুটা কমে গেছে। কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের আয় হলেও চলতি বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের মত। ফলে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশেরও ওপরে।
চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ২ লাখ ডলারের কিছু বেশি। প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্যে ২১ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি হয়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কৃষিজাত পণ্য থেকে রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২৭.৩৩ শতাংশ। চা, শাকসবজি, টোবাকো, ফুল, ফল, মসলা এবং শুকনা খাদ্যে প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে বেড়েছে।
No comments