চট্টগ্রাম ইপিজেড-এক ফটকেই পৌনে দুই লাখ শ্রমিকের যাতায়াত! by রাশেদুল তুষার,
দেশের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি মাত্র ফটক (গেট) দিয়ে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন। কনটেইনারবাহী কয়েক শ লরি, কাভার্ড ভ্যান আর ছোট-বড় কমপক্ষে আরো দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে একই ফটক দিয়ে। এই ফটক দিয়ে শ্রমিক এবং যানবাহন একসঙ্গে চলাচল করতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সকাল ও বিকেলে কারখানা ছুটির সময় ব্যাপক যানজটের কারণে সবচেয়ে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় শ্রমিকদের।
এত বড় এই ইপিজেডে মাত্র একটি ফটক নিয়ে আপত্তি তুলেছেন পুলিশ প্রশাসন ও এই ইপিজেড ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। পুলিশ আর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, নৌ ও বিমান ঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই বিমানবন্দর সড়কে প্রতিদিনের যানজটের একটি বড় কারণই এই ইপিজেড ফটক।
সম্প্রতি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মতবিনিময় সভায় দেশের এই বৃহত্তম ইপিজেডে মাত্র একটি ফটক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ সভায় দেশের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, 'সিইপিজেডে আগমন ও বহির্গমনের একটি মাত্র পথ হওয়ায় প্রতিদিন সকাল-বিকেল এই পথে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'
তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফারুক আহমেদ বলেন, 'চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। সকাল এবং বিকালে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার মধ্যে এই পথে প্রায় পৌনে দুই লাখ শ্রমিক-কর্মচারী আসা-যাওয়া করেন। আবার সিইপিজেডে প্রতিদিন যাতায়াত করা লরি, কাভার্ডভ্যানসহ হাজার দুয়েক যানবাহনের ফটকও এটি। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমিকরা।'
আবার সড়কটি যুক্ত হয়েছে বিমানবন্দর, সমুদ্রসৈকত, নৌ ও বিমান ঘাঁটিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তার সঙ্গে। ফলে এই বিমানবন্দরের সড়কটিকে অস্বাভাবিক চাপ সইতে হয়। তাই এখনো পরিকল্পনা মাফিক যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের সময় আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিইপিজেড সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩৮ বছর আগে যখন চট্টগ্রামের ফ্রি-পোর্ট এলাকায় ইপিজেড স্থাপন করা হয়, সে সময় এখানে গার্মেন্ট শ্রমিকের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। এরপর বৃহত্তম এই ইপিজেড শুধু সম্প্রসারণই হয়েছে। কারখানা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকসংখ্যা। বর্তমানে চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন; কিন্তু এখানকার ফটক সংখ্যা বাড়েনি।
আপাতত নতুন কোনো ফটক নির্মাণের পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম আবদুর রশিদ।
কালের কণ্ঠকে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সিইপিজেডের অভ্যন্তরে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য দুটি পকেট গেট আছে। নিরাপত্তাজনিত কারণেই বন্ডেড এলাকার মধ্যে এর বেশি গেট থাকে না।'
সম্প্রতি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মতবিনিময় সভায় দেশের এই বৃহত্তম ইপিজেডে মাত্র একটি ফটক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ সভায় দেশের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, 'সিইপিজেডে আগমন ও বহির্গমনের একটি মাত্র পথ হওয়ায় প্রতিদিন সকাল-বিকেল এই পথে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'
তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফারুক আহমেদ বলেন, 'চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। সকাল এবং বিকালে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার মধ্যে এই পথে প্রায় পৌনে দুই লাখ শ্রমিক-কর্মচারী আসা-যাওয়া করেন। আবার সিইপিজেডে প্রতিদিন যাতায়াত করা লরি, কাভার্ডভ্যানসহ হাজার দুয়েক যানবাহনের ফটকও এটি। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমিকরা।'
আবার সড়কটি যুক্ত হয়েছে বিমানবন্দর, সমুদ্রসৈকত, নৌ ও বিমান ঘাঁটিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তার সঙ্গে। ফলে এই বিমানবন্দরের সড়কটিকে অস্বাভাবিক চাপ সইতে হয়। তাই এখনো পরিকল্পনা মাফিক যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের সময় আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিইপিজেড সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩৮ বছর আগে যখন চট্টগ্রামের ফ্রি-পোর্ট এলাকায় ইপিজেড স্থাপন করা হয়, সে সময় এখানে গার্মেন্ট শ্রমিকের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। এরপর বৃহত্তম এই ইপিজেড শুধু সম্প্রসারণই হয়েছে। কারখানা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকসংখ্যা। বর্তমানে চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন; কিন্তু এখানকার ফটক সংখ্যা বাড়েনি।
আপাতত নতুন কোনো ফটক নির্মাণের পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম আবদুর রশিদ।
কালের কণ্ঠকে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সিইপিজেডের অভ্যন্তরে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য দুটি পকেট গেট আছে। নিরাপত্তাজনিত কারণেই বন্ডেড এলাকার মধ্যে এর বেশি গেট থাকে না।'
No comments