টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন-ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নেবে না ইসরায়েল
ইরানে হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো আগাম তথ্য দিতে নারাজ ইসরায়েল। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ওবামা প্রশাসনকে সে ব্যাপারে আগেই জানানোর প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ইসরায়েল হয়তো এককভাবে তেহরানে হামলার পরিকল্পনা করছে। আর সেটা হতে পারে আগামী গ্রীষ্ম নাগাদ।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ গত শনিবার বিষয়টি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি চিঠি নিয়ে গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা ইসরায়েল সফর করেন। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি এ সফর করেন বলে সরকারিভাবে জানানো হলেও তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করা। ওই বৈঠকে অতি বিশ্বস্ত কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরই একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিগ্রাফকে জানান, চিঠিতে ওবামা হোয়াইট হাউসের অজ্ঞাতে ইসরায়েল ইরানে কোনো হামলা চালাবে না_এমন একটি নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু রূঢ় ভাষায় তাঁর এ দাবি নাকচ করে দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েল জানায়, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের আর নেই। হামলার ব্যাপারে বেশ কৌশলের সঙ্গে প্যানেট্টার প্রশ্নের জবাব দেন ইসরায়েলের দুই নেতা। সূত্র জানায়, 'সামরিক হামলার পরিকল্পনা চলছে বা হামলা আসন্ন কি না, সে প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্যই করেননি তাঁরা। হামলার আগে এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের অনুমতি নেওয়ার নিশ্চয়তাও দেননি। এমনকি হামলার সময় বিষয়টি ওয়াশিংটনকে জানানো হবে_এমন কোনো প্রতিশ্রুতিও দেননি।'
নেতানিয়াহুর এ অবস্থানে হতাশ ওবামা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে ইসরায়েলের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলের মতিগতি বোঝাই হবে এ নজরদারির প্রধান উদ্দেশ্য।
নেতানিয়াহুর এ অবস্থানে হতাশ ওবামা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে ইসরায়েলের ওপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলের মতিগতি বোঝাই হবে এ নজরদারির প্রধান উদ্দেশ্য।
No comments