লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই বড় দরপতন, বিক্ষোভ
সাপ্তাহিক বন্ধ ও ঈদের ছুটিসহ ৯ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার প্রথম কার্যর্দিবসেই বড় দরপতনের মুখে পড়ে দেশের উভয় শেয়ারবাজার। কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া ২৪৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০৮টির দর কমেছে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ। সূচকের পতন হয়েছে তিন শতাংশেরও বেশি। দরপতন অব্যাহত থাকলে সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নিচে চলে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে প্রায় তিন বছর পর ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ ২০ কোম্পানির কোনোটিরই লেনদেন গতকাল ১০ কোটি টাকা
অতিক্রম করেনি। শীর্ষ লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এমন নেতিবাচক অবস্থা ও দর পতনের প্রতিবাদে গতকালও বিনিয়োগকারীরা রাজধানীতে ডিএসই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা অবশ্য কয়েকদিনের মধ্যে দর পতন রোধ হবে বলে আশা করছেন।
গতকাল শেয়ারবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ফলে লেনদেন বোর্ডে শেয়ার কেনাবেচার আদেশও কম ছিল। লেনদেনের বেশির ভাগ সময় অন্তত ১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও সাতটি মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো ক্রেতা ছিলেন না। এ নেতিবাচক অবস্থার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগ নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও সব বিনিয়োগকারী এখনও বিনিয়োগে ফেরেননি। এ অবস্থায় একদিনের লেনদেন দেখে দর পতন অব্যাহত থাকবে কি-না তা বলা সম্ভব নয়। তারা বলেন, প্রতিশ্রুতির পর ব্যাংকগুলো কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগে না ফেরায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশাহত হয়েছেন।
বাজার পরিস্থিতি : গতকাল উভয় শেয়ারবাজারে দর পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। দর পতনের এ ধারা শেষ পর্যন্ত ছিল। লেনদেন শেষে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ১৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪টি। সাধারণ সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৬৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে ক্লোজ হয় ৫০৪২ দশমিক ২৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয় মাত্র ২০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টি। নির্বাচিত খাত সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫৮ পয়েন্ট কমে ক্লোজ হয় ৯২৪৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয় মাত্র ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ।
লেনদেনের বেশির ভাগ সময় ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট লিজ ইন্টারন্যাশনাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইসিবি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সসহ অন্তত ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা ছিলেন না। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রয় আদেশ ছিল অনেক কম। যেসব শেয়ারের দর বেশি কমেছে সেগুলোর বিক্রি আদেশের তুলনায় ক্রয় আদেশ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি।
বিক্ষোভ : ডিএসই কার্যালয়ের সামনে গতকাল বিকেল ৩টায় লেনদেন শেষে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ হয়। এতে কিছু সময়ের জন্য মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে পুনরায় বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর তিন সপ্তাহ পার হলেও বিনিয়োগ হয়নি। দর পতন রোধে অবিলম্বে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে বাধ্য করার দাবি জানান ঐক্য পরিষদ নেতারা। অব্যাহত দর পতন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
বিশ্লেষকদের মতামত : বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগ নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, টানা দর পতনের কারণে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনাবেচায় অংশ নিতে পারছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, কেবল প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা বর্তমান অবস্থা উত্তরণে কাজ করতে পারেন।
অতিক্রম করেনি। শীর্ষ লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এমন নেতিবাচক অবস্থা ও দর পতনের প্রতিবাদে গতকালও বিনিয়োগকারীরা রাজধানীতে ডিএসই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা অবশ্য কয়েকদিনের মধ্যে দর পতন রোধ হবে বলে আশা করছেন।
গতকাল শেয়ারবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ফলে লেনদেন বোর্ডে শেয়ার কেনাবেচার আদেশও কম ছিল। লেনদেনের বেশির ভাগ সময় অন্তত ১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও সাতটি মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো ক্রেতা ছিলেন না। এ নেতিবাচক অবস্থার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগ নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও সব বিনিয়োগকারী এখনও বিনিয়োগে ফেরেননি। এ অবস্থায় একদিনের লেনদেন দেখে দর পতন অব্যাহত থাকবে কি-না তা বলা সম্ভব নয়। তারা বলেন, প্রতিশ্রুতির পর ব্যাংকগুলো কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগে না ফেরায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশাহত হয়েছেন।
বাজার পরিস্থিতি : গতকাল উভয় শেয়ারবাজারে দর পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। দর পতনের এ ধারা শেষ পর্যন্ত ছিল। লেনদেন শেষে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ১৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪টি। সাধারণ সূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৬৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে ক্লোজ হয় ৫০৪২ দশমিক ২৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয় মাত্র ২০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫২টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টি। নির্বাচিত খাত সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫৮ পয়েন্ট কমে ক্লোজ হয় ৯২৪৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয় মাত্র ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ।
লেনদেনের বেশির ভাগ সময় ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট লিজ ইন্টারন্যাশনাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইসিবি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সসহ অন্তত ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা ছিলেন না। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রয় আদেশ ছিল অনেক কম। যেসব শেয়ারের দর বেশি কমেছে সেগুলোর বিক্রি আদেশের তুলনায় ক্রয় আদেশ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি।
বিক্ষোভ : ডিএসই কার্যালয়ের সামনে গতকাল বিকেল ৩টায় লেনদেন শেষে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ হয়। এতে কিছু সময়ের জন্য মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে পুনরায় বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর তিন সপ্তাহ পার হলেও বিনিয়োগ হয়নি। দর পতন রোধে অবিলম্বে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে বাধ্য করার দাবি জানান ঐক্য পরিষদ নেতারা। অব্যাহত দর পতন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
বিশ্লেষকদের মতামত : বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগ নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেন, টানা দর পতনের কারণে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনাবেচায় অংশ নিতে পারছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, কেবল প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা বর্তমান অবস্থা উত্তরণে কাজ করতে পারেন।
No comments