খানাখন্দে ভরা কুষ্টিয়ার দুটি সড়ক সংস্কারের দাবি-১৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা by তারিকুল হক তারিক,
খানাখন্দে ভরা কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়ক ও কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়ক সংস্কারের দাবিতে দুই দফা পরিবহন ধর্মঘট করলেও কর্তৃপক্ষ সড়ক দুটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ অবস্থায় কুষ্টিয়া পরিবহন মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ১৬ নভেম্বর থেকে আবারও লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। জানা যায়, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মধ্যে যাতায়াত করতে গেলে কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম মজমপুর গেট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
অথচ দেশের দুই বঙ্গের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশপথের কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা হয়ে প্রাগপুর পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার এবং কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়কের ২৭ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা এত নাজুক যে অনেক তা যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কের কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট থেকে লালন শাহ ব্রিজের অ্যাপ্রোস সড়ক হয়ে প্রাগপুর পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার এবং কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের কুষ্টিয়ার বটতৈল থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সড়ক দুটি দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে এবং প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। কুষ্টিয়া জেলা পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান, কুষ্টিয়া মজমপুর গেট থেকে ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত পেঁৗছতে আগে সময় লাগত ১৫-২০ মিনিট, এখন তা লাগছে ১ ঘণ্টারও বেশি। আবার বারমাইল থেকে ভেড়ামারা হয়ে প্রাগপুরের সড়কটির অবস্থা আরো করুণ। বাসগুলো সময়মতো নির্ধারিত স্থানে পেঁৗছতে পারছে না।
কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিক ও চালকরা জানান, এ সড়কের মজমপুর গেট থেকেই ভাঙনের শুরু, এরপর দাদাপুর সড়কে ভাঙনের দৃশ্য আরো বেশি। ত্রিমোহিনী মোড় পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার অধিকাংশ স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে আলমডাঙ্গা সড়কের বটতৈল মোড় থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমানে সড়কটি যানবাহন চলাচলের একবারে অনুপোযোগী। গত তিন বছর ধরে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি।
কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হাসান আবুল ফজল সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য নতুন করে ধর্মঘট আহ্বান করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। কেননা, সব ধরনের যোগাযোগ এবং এর আগে দুবার ধর্মঘট করেও কোনো কাজ হয়নি।' কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ হাসিবুর রহমান সড়ক দুটির নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, কিছু সড়কের দরপত্র শেষ হয়েছে, আর কিছু সড়কের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এগুলো শেষ হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কের কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট থেকে লালন শাহ ব্রিজের অ্যাপ্রোস সড়ক হয়ে প্রাগপুর পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার এবং কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের কুষ্টিয়ার বটতৈল থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সড়ক দুটি দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে এবং প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। কুষ্টিয়া জেলা পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান, কুষ্টিয়া মজমপুর গেট থেকে ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত পেঁৗছতে আগে সময় লাগত ১৫-২০ মিনিট, এখন তা লাগছে ১ ঘণ্টারও বেশি। আবার বারমাইল থেকে ভেড়ামারা হয়ে প্রাগপুরের সড়কটির অবস্থা আরো করুণ। বাসগুলো সময়মতো নির্ধারিত স্থানে পেঁৗছতে পারছে না।
কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিক ও চালকরা জানান, এ সড়কের মজমপুর গেট থেকেই ভাঙনের শুরু, এরপর দাদাপুর সড়কে ভাঙনের দৃশ্য আরো বেশি। ত্রিমোহিনী মোড় পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার অধিকাংশ স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে আলমডাঙ্গা সড়কের বটতৈল মোড় থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমানে সড়কটি যানবাহন চলাচলের একবারে অনুপোযোগী। গত তিন বছর ধরে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি।
কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হাসান আবুল ফজল সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য নতুন করে ধর্মঘট আহ্বান করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। কেননা, সব ধরনের যোগাযোগ এবং এর আগে দুবার ধর্মঘট করেও কোনো কাজ হয়নি।' কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ হাসিবুর রহমান সড়ক দুটির নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, কিছু সড়কের দরপত্র শেষ হয়েছে, আর কিছু সড়কের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এগুলো শেষ হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
No comments