খ্যাতিমান ক্রিকেট লেখক-বিশ্লেষক পিটার রোবাকের রহস্যঘেরা মৃত্যু-আত্মহত্যায় শেষ হলো জীবনের বর্ণাঢ্য ইনিংস-এ কেমন মৃত্যু!
কর্মস্থলে স্ট্র হ্যাট মাথায় সদা হাস্যোজ্জ্বল পিটার রোবাক! অন্যদিনের মতোই এবিসি রেডিওর ধারাভাষ্য শেষে বাইরে ডিনার সেরে নিজের হোটেল রুমে ফিরেছিলেন। ছয় তলার সেই রুম থেকেই লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে কেপটাউনের পুলিশ। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকার খবর অনুযায়ী একটা যৌন হয়রানির বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল পুলিশ।
তারই এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই জানালা দিয়ে লাফ দেন ৫৫ বছর বয়সী নামি এ ক্রিকেট লেখক এবং বিশ্লেষক। ক্রিকেটের সবসময়ের সেরা লেখকদের একজনের এমন দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে শোকাভিভূত ক্রিকেট বিশ্ব।
বিশ্বের সব প্রেস বঙ্ইে সাবেক খেলোয়াড়দের বাড়তি কদর আছে। পিটার রোবাকের আরো বেশি। ভিভ রিচার্ডস এবং ইয়ান বোথামের মতো ক্রিকেটারদের অধিনায়ক হতে যোগ্যতা লাগে। ৩৩৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৩৩ সেঞ্চুরিতে ১৭৫৫৮ রান শ্রদ্ধার সে আসন পাইয়ে দিয়েছিল রোবাককে। মাঝেমধ্যে অফস্পিনও করতেন। তবে রোবাকের আকর্ষণ ব্যাটে এবং নেতৃত্বে। ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ অঙ্ফোর্ডে জন্ম আর ক্যামব্রিজ গ্র্যাজুয়েট বলে কথা! পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নেতৃত্বগুণটাও রপ্ত তারুণ্যেই। তাই রোবাকের অধীনে সমারসেটে খেলেছেন স্টিভ ওয়াহ এবং মার্টিন ক্রোও। খেলাটা ভালো যে বুঝতেন, শুধু তা-ই নয়, ধারাভাষ্যে কিংবা নিজের কলামে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশে এতটুকু কার্পণ্য করেননি পিটার রোবাক। ধারাভাষ্যের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, মেলবোর্ন এজ এবং ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে নিয়মিত লিখতেন তিনি। নিজের মত প্রকাশের ব্যাপারে এতটাই স্বচ্ছ ছিলেন রোবাক যে অস্ট্রেলীয় কাগজেই দলটির অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সমালোচনা করেছেন তিনি। মাঠে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের অভব্য আচরণের ব্যাপারে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন রোবাক।
পিটার রোবাক তাঁর 'ইট নেভার রেইন' ডায়েরিতে লিখেছিলেন, 'কত অনিশ্চিত মানুষকে যে ক্রিকেট টানে! দৃঢ়চেতা দর্শকের জন্য এটা জঘন্য একটা খেলা। এ খেলাটায় কখনো কখনো খেলোয়াড়রাও মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলে।' রোবাকের এমন অনেক পঙ্ক্তিই যেন হতাশায় মাখা, 'চিন্তাশক্তিসম্পন্ন মানুষ এবং আদর্শবানরা এ খেলায় কখনো কখনো নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারেন।' খেলা ছেড়ে প্রেস বঙ্ েঢোকার পর থেকে প্রচুর বই লিখেছেন পিটার রোবাক। ২০০৫ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীর শিরোনামের প্রতিটি শব্দে কি যেন হাহাকার আছে, 'মাঝেমধ্যে আমি হাসতেও ভুলে যাচ্ছিলাম!'
রোবাকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে তাঁর বর্তমান চাকরির কর্তৃপক্ষ ফেয়ারফ্যাঙ্ মিডিয়া লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ হেইউডের মর্মব্যথা, 'পিটার রোবাকের মৃত্যুর খবর শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। পিটার শুধু প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়ই ছিলেন না, তিনি সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এজের জন্য অসাধারণ সব কলাম লিখেছেন। এবিসি রেডিওতে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়তম ধারাভাষ্যকার।' ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের প্রতিক্রিয়া, 'খবরটা শুনে মন ভেঙে গেছে। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর ওর লেখার হাতটা ছিল ব্যাটসম্যান শচীনের মতো।' সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচ টম মুডির স্মৃতিতে শুধুই ক্রিকেটার রোবাক, 'চমকে গেছি। ঈশ্বর তাঁকে শান্তি দিন। ওর ক্রিকেট ধ্যান-ধারণা ছিল অসাধারণ।'
সে মানুষটিই কিনা সব ছেড়ে-ছুড়ে স্বেচ্ছায় চলে গেলেন! ওয়েবসাইট
বিশ্বের সব প্রেস বঙ্ইে সাবেক খেলোয়াড়দের বাড়তি কদর আছে। পিটার রোবাকের আরো বেশি। ভিভ রিচার্ডস এবং ইয়ান বোথামের মতো ক্রিকেটারদের অধিনায়ক হতে যোগ্যতা লাগে। ৩৩৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৩৩ সেঞ্চুরিতে ১৭৫৫৮ রান শ্রদ্ধার সে আসন পাইয়ে দিয়েছিল রোবাককে। মাঝেমধ্যে অফস্পিনও করতেন। তবে রোবাকের আকর্ষণ ব্যাটে এবং নেতৃত্বে। ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ অঙ্ফোর্ডে জন্ম আর ক্যামব্রিজ গ্র্যাজুয়েট বলে কথা! পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নেতৃত্বগুণটাও রপ্ত তারুণ্যেই। তাই রোবাকের অধীনে সমারসেটে খেলেছেন স্টিভ ওয়াহ এবং মার্টিন ক্রোও। খেলাটা ভালো যে বুঝতেন, শুধু তা-ই নয়, ধারাভাষ্যে কিংবা নিজের কলামে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশে এতটুকু কার্পণ্য করেননি পিটার রোবাক। ধারাভাষ্যের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, মেলবোর্ন এজ এবং ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে নিয়মিত লিখতেন তিনি। নিজের মত প্রকাশের ব্যাপারে এতটাই স্বচ্ছ ছিলেন রোবাক যে অস্ট্রেলীয় কাগজেই দলটির অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সমালোচনা করেছেন তিনি। মাঠে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের অভব্য আচরণের ব্যাপারে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন রোবাক।
পিটার রোবাক তাঁর 'ইট নেভার রেইন' ডায়েরিতে লিখেছিলেন, 'কত অনিশ্চিত মানুষকে যে ক্রিকেট টানে! দৃঢ়চেতা দর্শকের জন্য এটা জঘন্য একটা খেলা। এ খেলাটায় কখনো কখনো খেলোয়াড়রাও মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলে।' রোবাকের এমন অনেক পঙ্ক্তিই যেন হতাশায় মাখা, 'চিন্তাশক্তিসম্পন্ন মানুষ এবং আদর্শবানরা এ খেলায় কখনো কখনো নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারেন।' খেলা ছেড়ে প্রেস বঙ্ েঢোকার পর থেকে প্রচুর বই লিখেছেন পিটার রোবাক। ২০০৫ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীর শিরোনামের প্রতিটি শব্দে কি যেন হাহাকার আছে, 'মাঝেমধ্যে আমি হাসতেও ভুলে যাচ্ছিলাম!'
রোবাকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে তাঁর বর্তমান চাকরির কর্তৃপক্ষ ফেয়ারফ্যাঙ্ মিডিয়া লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ হেইউডের মর্মব্যথা, 'পিটার রোবাকের মৃত্যুর খবর শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। পিটার শুধু প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়ই ছিলেন না, তিনি সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য এজের জন্য অসাধারণ সব কলাম লিখেছেন। এবিসি রেডিওতে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়তম ধারাভাষ্যকার।' ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের প্রতিক্রিয়া, 'খবরটা শুনে মন ভেঙে গেছে। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর ওর লেখার হাতটা ছিল ব্যাটসম্যান শচীনের মতো।' সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচ টম মুডির স্মৃতিতে শুধুই ক্রিকেটার রোবাক, 'চমকে গেছি। ঈশ্বর তাঁকে শান্তি দিন। ওর ক্রিকেট ধ্যান-ধারণা ছিল অসাধারণ।'
সে মানুষটিই কিনা সব ছেড়ে-ছুড়ে স্বেচ্ছায় চলে গেলেন! ওয়েবসাইট
No comments