ঢাকায় এলেই দাম দ্বিগুণ by আবুল হাসনাত
ঢাকায় এলেই সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বগুড়ার কৃষক যে বেগুন ২৫ টাকায় বিক্রি করছেন, সেই বেগুন ঢাকায় বসে কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। পরিস্থিতির বদল হচ্ছে না গাজীপুর থেকে বেগুন আনলেও। কেবল বেগুনই নয়, প্রায় প্রতিটি সবজির দামই ঢাকায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি আসছে ঢাকায়। পথে চাঁদাবাজির কারণে দাম বাড়ে এক দফা। বাকিটা বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। শুধু লাভ পান না কৃষক।
ঢাকার সবজির বাজার এখন চড়া। আগের বছরগুলোকে এই সময়টায় সবজির দাম খুব বেশি থাকে না। ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, পটোল পাওয়া যেত ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বলা যায়, একমাত্র পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই হার গত ৪৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। চাল ও আটার দামের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সীমিত আয়ের মানুষ মাছ-মাংস প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। ভরসা ছিল সবজি। সেই সবজির বাজারেও এখন আগুন। ফলে জীবনযাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের।
হাত ঘুরলেই বাড়ছে দাম: গাজীপুর শহর থেকে মাত্র পাঁচ-সাত কিলোমিটার দক্ষিণে নীলেরপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের কৃষক লালমোহন ও মনীন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কাঁকরোল, লালশাক ও মুলাশাক। বাড়ির চারপাশে রয়েছে পেঁপেবাগান। প্রতিদিন খেত থেকে লালশাক ও মুলাশাক তুলে তাঁরা হারিনাল বাজারে নিয়ে যান। সেখানে পাইকারেরা কিনে নেন ২০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল বিক্রি করেন ৩০ টাকায়। একইভাবে গাজীপুরের অন্যান্য চাষিও গতকাল শনিবার পাইকারদের কাছে ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটোল ও বেগুন ২৫ টাকা এবং করলা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কেমতলী গ্রামের সবজিচাষি মোহাম্মদ আলী প্রতিদিন নিমসার তরকারি বাজারে যান। গতকাল শনিবার তিনি বেগুন ২৫ টাকা, শসা ২০ টাকা ও করলা ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। একই বাজারে আসা উপজেলার কোরপাই গ্রামের মোতালেব হোসেন মুলা ২০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা, লতি ২০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
আবার বগুড়ার পাইকারি বাজার মহাস্থানহাট ও নরসিংদীর যোশর বাজারে গতকাল প্রতি কেজি করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁপে সাড়ে ৮ থেকে ১২ টাকা, পটোল ২৫ থেকে ২৭ টাকা, কাঁকরোল ২৫ থেকে ২৮ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রায় একই দাম ঝিনাইদহের বারোবাজারেও। এখানে গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকায়, শিম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ২৬ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ২২ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ২৮ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ২০ থেকে ২২ টাকা, কচুর মুখি ১৮ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও করলা ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
এসব সবজির দাম ঢাকায় এসেই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এসব সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে গতকাল টমেটোর দাম ছিল ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও করলা ৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, বরবটি, শসা ও ঝিঙে ৫০ টাকা, পটোল ও ধুন্দুল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর মুখি ৩৫ টাকা এবং পেঁপে ও জালি কুমড়ার দাম ছিল ২০ টাকা। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও এসব সবজির দাম ছিল ৫ থেকে ১০ টাকা কম।
বাজারভেদেও পার্থক্য: ঢাকায় বাজারভেদেও সবজির দর এক থাকছে না। কারওয়ান বাজার থেকে অন্য বাজারে গেলেই দাম বাড়ছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। যেমন—হাতিরপুল ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে টমেটোর দাম এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও করলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা, বরবটি, শসা ও ঝিঙে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পটোল ও ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৩৫ টাকা এবং পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর এই সময়ে সবজির দর বর্তমান দরের চেয়ে অনেক কম ছিল। এ বছর ফলন কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। তবে শীতের সবজি এলে কোরবানির ঈদের আগেই সবজির বাজার স্থির হবে।
বৃষ্টিতে ফলন নষ্ট: কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি আসে সবার আগে। তারপর সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী থেকে আসে। সবশেষে আসে কুমিল্লা থেকে। এ বছর টানা বর্ষণ ও বৃষ্টির কারণে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোরসহ বেশ কিছু অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে।
আবার বৃষ্টিতে অনেক ফসলের বীজও নষ্ট হয়ে গেছে বলে কৃষকেরা জানান। কৃষকেরা নতুন করে ফসল বুনেছেন। সে কারণে কিছু সবজি আসবে এক-দেড় মাস দেরিতে। তাই সবজির সরবরাহে ঘাটতি আছে।
বগুড়ার মহাস্থানহাটে অন্যান্য বছর এত বেশি তরিতরকারি আসে যে, হাটে জায়গায় সংকুলান হয় না। কিন্তু এ বছরের চিত্র ভিন্ন। সাম্প্রতিক টানা বর্ষণে সবজিখেত নষ্ট হওয়ায় এবার বগুড়ার শিবগঞ্জ, কাহালু ও গাবতলী উপজেলা থেকে সবজি আসছে কম।
মুন্সিগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাঁও বাজারের সততা বাণিজ্যালয়ের মালিক মফিজুল শেখ বলেন, ‘আড়তে আমরা যে সবজি ৩৫ টাকায় বিক্রি করি, সেটা খুচরা বাজারে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। কারণ, বৃষ্টিতে এবার সবজির ফলন ভালো হয়নি, তাই সরবরাহ কম।’
কারওয়ান বাজারে কথা হয় খুলনার সবজি ব্যাপারি মো. স্বপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাটে এখন সবজি কম। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বিক্রিও করি বেশি দামে।’
ফলন কম হওয়ার এই সুযোগটাও এখন নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো ধরনের উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় না থাকলেও একধরনের মধ্যস্বত্বভোগীরা কেবল সবজি এক জায়গা থেকে কিনে অন্য জায়গায় নিয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছেন।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বগুড়া, কুমিল্লা, নরসিংদী ও ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং কালিয়াকৈর (গাজীপুর) ও মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি)
দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখন ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই হার গত ৪৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। চাল ও আটার দামের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সীমিত আয়ের মানুষ মাছ-মাংস প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। ভরসা ছিল সবজি। সেই সবজির বাজারেও এখন আগুন। ফলে জীবনযাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের।
হাত ঘুরলেই বাড়ছে দাম: গাজীপুর শহর থেকে মাত্র পাঁচ-সাত কিলোমিটার দক্ষিণে নীলেরপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের কৃষক লালমোহন ও মনীন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কাঁকরোল, লালশাক ও মুলাশাক। বাড়ির চারপাশে রয়েছে পেঁপেবাগান। প্রতিদিন খেত থেকে লালশাক ও মুলাশাক তুলে তাঁরা হারিনাল বাজারে নিয়ে যান। সেখানে পাইকারেরা কিনে নেন ২০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল বিক্রি করেন ৩০ টাকায়। একইভাবে গাজীপুরের অন্যান্য চাষিও গতকাল শনিবার পাইকারদের কাছে ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটোল ও বেগুন ২৫ টাকা এবং করলা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কেমতলী গ্রামের সবজিচাষি মোহাম্মদ আলী প্রতিদিন নিমসার তরকারি বাজারে যান। গতকাল শনিবার তিনি বেগুন ২৫ টাকা, শসা ২০ টাকা ও করলা ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। একই বাজারে আসা উপজেলার কোরপাই গ্রামের মোতালেব হোসেন মুলা ২০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা, লতি ২০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
আবার বগুড়ার পাইকারি বাজার মহাস্থানহাট ও নরসিংদীর যোশর বাজারে গতকাল প্রতি কেজি করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁপে সাড়ে ৮ থেকে ১২ টাকা, পটোল ২৫ থেকে ২৭ টাকা, কাঁকরোল ২৫ থেকে ২৮ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রায় একই দাম ঝিনাইদহের বারোবাজারেও। এখানে গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকায়, শিম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ২৬ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ২২ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ২৮ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ২০ থেকে ২২ টাকা, কচুর মুখি ১৮ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও করলা ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
এসব সবজির দাম ঢাকায় এসেই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এসব সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে গতকাল টমেটোর দাম ছিল ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও করলা ৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা, বরবটি, শসা ও ঝিঙে ৫০ টাকা, পটোল ও ধুন্দুল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর মুখি ৩৫ টাকা এবং পেঁপে ও জালি কুমড়ার দাম ছিল ২০ টাকা। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও এসব সবজির দাম ছিল ৫ থেকে ১০ টাকা কম।
বাজারভেদেও পার্থক্য: ঢাকায় বাজারভেদেও সবজির দর এক থাকছে না। কারওয়ান বাজার থেকে অন্য বাজারে গেলেই দাম বাড়ছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। যেমন—হাতিরপুল ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে টমেটোর দাম এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও করলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা, বরবটি, শসা ও ঝিঙে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পটোল ও ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৩৫ টাকা এবং পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর এই সময়ে সবজির দর বর্তমান দরের চেয়ে অনেক কম ছিল। এ বছর ফলন কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। তবে শীতের সবজি এলে কোরবানির ঈদের আগেই সবজির বাজার স্থির হবে।
বৃষ্টিতে ফলন নষ্ট: কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে সবজি আসে সবার আগে। তারপর সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী থেকে আসে। সবশেষে আসে কুমিল্লা থেকে। এ বছর টানা বর্ষণ ও বৃষ্টির কারণে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোরসহ বেশ কিছু অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে।
আবার বৃষ্টিতে অনেক ফসলের বীজও নষ্ট হয়ে গেছে বলে কৃষকেরা জানান। কৃষকেরা নতুন করে ফসল বুনেছেন। সে কারণে কিছু সবজি আসবে এক-দেড় মাস দেরিতে। তাই সবজির সরবরাহে ঘাটতি আছে।
বগুড়ার মহাস্থানহাটে অন্যান্য বছর এত বেশি তরিতরকারি আসে যে, হাটে জায়গায় সংকুলান হয় না। কিন্তু এ বছরের চিত্র ভিন্ন। সাম্প্রতিক টানা বর্ষণে সবজিখেত নষ্ট হওয়ায় এবার বগুড়ার শিবগঞ্জ, কাহালু ও গাবতলী উপজেলা থেকে সবজি আসছে কম।
মুন্সিগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাঁও বাজারের সততা বাণিজ্যালয়ের মালিক মফিজুল শেখ বলেন, ‘আড়তে আমরা যে সবজি ৩৫ টাকায় বিক্রি করি, সেটা খুচরা বাজারে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। কারণ, বৃষ্টিতে এবার সবজির ফলন ভালো হয়নি, তাই সরবরাহ কম।’
কারওয়ান বাজারে কথা হয় খুলনার সবজি ব্যাপারি মো. স্বপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাটে এখন সবজি কম। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বিক্রিও করি বেশি দামে।’
ফলন কম হওয়ার এই সুযোগটাও এখন নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো ধরনের উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় না থাকলেও একধরনের মধ্যস্বত্বভোগীরা কেবল সবজি এক জায়গা থেকে কিনে অন্য জায়গায় নিয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছেন।
(প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বগুড়া, কুমিল্লা, নরসিংদী ও ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং কালিয়াকৈর (গাজীপুর) ও মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি)
No comments