পেশাদার বনাম পিতা তেভেজ
একটা জিনিসই শুধু পাল্টায়নি। তাঁর জার্সি নম্বর। ওয়েস্টহামে ছিল ৩২, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও তিন-দুই, সিটিতেও। কিন্তু ইংলিশ ফুটবলে পা রাখার প্রথম দিন থেকেই কার্লোস তেভেজের জীবনে উথাল-পাতাল পরিবর্তনের ঢেউ। পাল্টেছে সবকিছুই। ওয়েস্টহামের বেতনের ছোট অঙ্কটা সিটিতে এসে ছুঁয়েছে আকাশ। এসেছে বিপুল তারকাখ্যাতি। পেয়েছিলেন সিটির অধিনায়কত্বও। কত পরিবর্তন...নাহ্, জার্সি নম্বরের মতো আরেকটা জায়গায় তেভেজ হয়তো পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়—বিতর্ক!
ওয়েস্টহামে আসার পর থেকেই বিতর্ক ছায়াসঙ্গী। করিন্থিয়ানসের সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০১০ পর্যন্ত। কিন্তু ব্রাজিলের ক্লাবটির হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ২০০৬-এ চলে আসেন ওয়েস্টহামে। বিতর্কের সেই শুরু। ওয়েস্টহামের সঙ্গে তাঁর চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। অনেক জল ঘোলার পর ধারে ২০০৭ সালে ম্যানইউতে নাম লেখালেন। ম্যানইউ ছাড়লেন অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে ঝামেলা করে। নাম লেখালেন ম্যানইউরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান সিটিতে।
ভালোই চলছিল। গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তি হয়তো ঠিক করে রেখেছিল বিতর্ক পিছু ছাড়বে না। গত ডিসেম্বরে প্রথম জানালেন, সিটিতে মন টিকছে না। ইংল্যান্ডের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ভালো লাগে না। এমনকি ইংল্যান্ড ছাড়ার পর আর কোনো দিন ছুটি কাটাতেও এখানে পা রাখবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, দুই মেয়ে ফ্লোরেন্সিয়া আর কাতিয়ার জন্য মনটা সব সময় কাঁদে। মেয়েদের পাশে থাকার জন্য এই বিত্ত, যশ-খ্যাতি সব ছেড়েছুড়ে দিতে চান।
অনেক বোঝানো হয়েছে। কদিন সব ঠিকঠাক থাকার পর আবারও মাথায় ভূত চাপে। এই করে করে শেষ পর্যন্ত এই মৌসুমের শুরুতে তেভেজকে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যুতসই দাম দিতে পারেনি কেউই, সময়টাও পেরিয়ে গিয়েছিল। ফলে সিটিতে বাধ্য হয়েই থেকে যান। কিন্তু মন উঠে যাওয়ার পর এভাবে কি বেশি দিন চলে? সম্পর্কের অনিবার্য ফাটলটাই বেরিয়ে এল বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে। সিটিতেও শেষের ঘণ্টা বাজছে।
পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে তেভেজকে দুষতে পারেন। কিন্তু ওপরের ছবিটা দেখুন। একজন স্নেহময় বাবা পরম মমতায় আগলে রাখতে চাইছেন তাঁর সন্তানকে। ‘পিতা তেভেজ’-এর চাওয়াটাকেই তখন মনে হবে পৃথিবীর সবকিছুর ঊর্ধ্বে!
ভালোই চলছিল। গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তি হয়তো ঠিক করে রেখেছিল বিতর্ক পিছু ছাড়বে না। গত ডিসেম্বরে প্রথম জানালেন, সিটিতে মন টিকছে না। ইংল্যান্ডের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ভালো লাগে না। এমনকি ইংল্যান্ড ছাড়ার পর আর কোনো দিন ছুটি কাটাতেও এখানে পা রাখবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, দুই মেয়ে ফ্লোরেন্সিয়া আর কাতিয়ার জন্য মনটা সব সময় কাঁদে। মেয়েদের পাশে থাকার জন্য এই বিত্ত, যশ-খ্যাতি সব ছেড়েছুড়ে দিতে চান।
অনেক বোঝানো হয়েছে। কদিন সব ঠিকঠাক থাকার পর আবারও মাথায় ভূত চাপে। এই করে করে শেষ পর্যন্ত এই মৌসুমের শুরুতে তেভেজকে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যুতসই দাম দিতে পারেনি কেউই, সময়টাও পেরিয়ে গিয়েছিল। ফলে সিটিতে বাধ্য হয়েই থেকে যান। কিন্তু মন উঠে যাওয়ার পর এভাবে কি বেশি দিন চলে? সম্পর্কের অনিবার্য ফাটলটাই বেরিয়ে এল বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে। সিটিতেও শেষের ঘণ্টা বাজছে।
পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে তেভেজকে দুষতে পারেন। কিন্তু ওপরের ছবিটা দেখুন। একজন স্নেহময় বাবা পরম মমতায় আগলে রাখতে চাইছেন তাঁর সন্তানকে। ‘পিতা তেভেজ’-এর চাওয়াটাকেই তখন মনে হবে পৃথিবীর সবকিছুর ঊর্ধ্বে!
No comments