ফেনী সদর হাসপাতালঃ ২৫০ শয্যার উন্নয়নকাজ সাড়ে চার বছরেও শেষ হয়নি
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ সাড়ে চার বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তিনবার সময় বাড়ানো হলেও উপকরণের দাম বাড়ার অজুহাতে কাজে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্থান সংকুলানের অভাবে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ্য হন। ভর্তি হওয়া রোগীদেরও উপযুক্ত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ রোগী ভর্তি থাকেন এবং প্রায় এক হাজার রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ২০০৬ সালের শেষ ভাগে ১৫০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আট কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ছিদ্দিক অ্যান্ড কোং নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
হাসপাতাল ভবন সম্প্রসারণের জন্য বর্তমান হাসপাতাল ভবন সংলগ্ন ফেনী সরকারি কলেজের ছয় একর জমি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
সূত্র মতে, ২০০৭ সালের ৮ মার্চ দেওয়া কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০০৯ সালের মার্চে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো তা শেষ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে তিনবার সময় সীমা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সময় পার হয়ে গেছে গত জুনে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হাসিনা আক্তার জানান, বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে ২৫০ জনেরও বেশি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রায় এক হাজার রোগী। তিনি জানান, ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশপাশের এলাকার উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ফেনী জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়, নোয়াখালীর সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে অনেক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহাব উদ্দিন জানান, সরকার ইতিমধ্যে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল ভবন নির্মাণ শেষ না হলে মেডিকেল কলেজের ব্যবহারিক কাজও ব্যাহত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন পাটোয়ারী বলেন, ‘হাসপাতালের মূল ভবনের ৮৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গ্যাস লাইন, পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও সীমানা প্রাচীরসহ অনেক কাজ বাকি রয়েছে।’
হাসপাতাল ভবন নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন তত্ত্বাবধায়ক নাম প্রকাশ না করে জানান, ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক ধাপে সাত কোটি টাকার কিছু বেশি বিল তারা পেয়েছেন। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে অর্থ ছাড় পেতে দেরি হওয়ায় এবং ইতিমধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের লোকসানেই কাজ করতে হচ্ছে। তাই কাজে কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে চিকিৎসকেরা জানান, পুরোনো হাসপাতাল ভবন থেকে নতুন ভবনের দূরত্ব প্রায় ৫০ মিটার। দুই ভবনের মধ্যে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগী ও তাদের অভিভাবকদের যাতায়াতের জন্য গ্যাংওয়ে নির্মাণ জরুরি। মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় না করলে এসব কাজ করতে আরও সময় লাগবে। তা ছাড়া পুরোনো হাসপাতাল ভবনেরও সংস্কার প্রয়োজন।
হাসপাতাল ভবন সম্প্রসারণের জন্য বর্তমান হাসপাতাল ভবন সংলগ্ন ফেনী সরকারি কলেজের ছয় একর জমি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
সূত্র মতে, ২০০৭ সালের ৮ মার্চ দেওয়া কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০০৯ সালের মার্চে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো তা শেষ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে তিনবার সময় সীমা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সময় পার হয়ে গেছে গত জুনে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হাসিনা আক্তার জানান, বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে ২৫০ জনেরও বেশি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রায় এক হাজার রোগী। তিনি জানান, ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশপাশের এলাকার উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ফেনী জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়, নোয়াখালীর সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে অনেক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহাব উদ্দিন জানান, সরকার ইতিমধ্যে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল ভবন নির্মাণ শেষ না হলে মেডিকেল কলেজের ব্যবহারিক কাজও ব্যাহত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফেনী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন পাটোয়ারী বলেন, ‘হাসপাতালের মূল ভবনের ৮৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গ্যাস লাইন, পানির লাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও সীমানা প্রাচীরসহ অনেক কাজ বাকি রয়েছে।’
হাসপাতাল ভবন নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন তত্ত্বাবধায়ক নাম প্রকাশ না করে জানান, ইতিমধ্যে ৮৫ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক ধাপে সাত কোটি টাকার কিছু বেশি বিল তারা পেয়েছেন। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে অর্থ ছাড় পেতে দেরি হওয়ায় এবং ইতিমধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের লোকসানেই কাজ করতে হচ্ছে। তাই কাজে কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে চিকিৎসকেরা জানান, পুরোনো হাসপাতাল ভবন থেকে নতুন ভবনের দূরত্ব প্রায় ৫০ মিটার। দুই ভবনের মধ্যে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগী ও তাদের অভিভাবকদের যাতায়াতের জন্য গ্যাংওয়ে নির্মাণ জরুরি। মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় না করলে এসব কাজ করতে আরও সময় লাগবে। তা ছাড়া পুরোনো হাসপাতাল ভবনেরও সংস্কার প্রয়োজন।
No comments