প্রস্তুত হচ্ছে সাগরিকা, দুশ্চিন্তা বৃষ্টি নিয়ে by আরিফুল হক
বাংলাদেশের সাগরপারের একমাত্র ক্রিকেট ভেন্যুর নাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এই ভেন্যুটির অনেক দিকে মিল রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েকটি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে একেবারে সাগর তীর ঘেঁষেই। এত মিল থাকলেও চট্টগ্রামের এই স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখানে একটি টেস্ট ও একটি এক দিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২১ অক্টোবর থেকে। এখন চলছে তারই প্রস্তুতি—মাঠ ও উইকেট তৈরি, ধোয়া-মোছা ইত্যাদি কাজ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর এটি হবে এই মাঠের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর। সেদিক থেকে আয়োজকদের স্বস্তির বিষয় কাজ করতেই পারে। কারণ বিশ্বকাপ উপলক্ষে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো, উন্নতমানের আধুনিক প্রেসবক্স নির্মাণ— সবকিছুই হয়ে গেছে। আর মাঠের অবস্থাও আগের চেয়ে উন্নত। কারণ, বিশ্বকাপ উপলক্ষে গলফ ক্লাবের বিশেষজ্ঞ মাঠকর্মীদের দিয়ে মাঠের পরিচর্যা করা হয়।
তবে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে আগে থেকেই অস্বস্তি রয়েছে। এর পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা দুর্বল। এ কারণে এখানে আগে দু-তিনটি ম্যাচ বাতিলও হয়েছে। মাঠ শুকাতে সময় লাগে। এটা একটা স্থায়ী সমস্যা। তাই স্থায়ী সমাধান ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়। তবে আশার কথা, অক্টোবরের শেষ দিকে খেলা। তত দিনে বর্ষা বিদায় নেবে। তাই বৃষ্টির ভয় খুব একটা নেই। ঠিক এ কারণেই কি না কিউরেটর জাহিদ রেজার কণ্ঠে দৃঢ়তা—‘উইকেট ঠিক আছে। মাঠের ঘাসও কাটা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের জন্য কোনো সমস্যা হবে না। তবে এই মাঠের পানি নিষ্কাশনের সমস্যা অনেক দিনের।’
মাঠের বিষয় গেল। কিন্তু বিশ্বকাপের পর পরিচর্যার অভাবে স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। মূল ফটকের পাশের বড় নালা আবর্জনায় ভরে গেছে। সড়কের দুই ধারে সিটি করপোরেশনের বাগান প্রকল্পও অবহেলায়-অনাদরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বেশির ভাগ গাছ বা লতা মরে গেছে।
বৃষ্টির সময় প্যাভিলিয়ন ভবনের প্রধান ফটকের সামনের সিলিং চুইয়ে পানি পড়ে সিলিং খুলে ঝুলে আছে। দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে রংও নষ্ট হয়েছে। ঝড়োহাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্লাস খুলে পড়ে গেলেও এখনো ঠিক করা হয়নি। গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নের অনেক চেয়ার নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির পানি ঢুকে লিফটও বিকল হয়ে গেছে।
তবে এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী এসে সমস্যাগুলো দেখে গেছেন বলে জানা গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসার আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে—এমন আশাবাদ কর্মকর্তাদের।
মাঠের বিষয় গেল। কিন্তু বিশ্বকাপের পর পরিচর্যার অভাবে স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। মূল ফটকের পাশের বড় নালা আবর্জনায় ভরে গেছে। সড়কের দুই ধারে সিটি করপোরেশনের বাগান প্রকল্পও অবহেলায়-অনাদরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বেশির ভাগ গাছ বা লতা মরে গেছে।
বৃষ্টির সময় প্যাভিলিয়ন ভবনের প্রধান ফটকের সামনের সিলিং চুইয়ে পানি পড়ে সিলিং খুলে ঝুলে আছে। দেয়াল বেয়ে পানি পড়ে রংও নষ্ট হয়েছে। ঝড়োহাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্লাস খুলে পড়ে গেলেও এখনো ঠিক করা হয়নি। গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নের অনেক চেয়ার নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির পানি ঢুকে লিফটও বিকল হয়ে গেছে।
তবে এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী এসে সমস্যাগুলো দেখে গেছেন বলে জানা গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসার আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে—এমন আশাবাদ কর্মকর্তাদের।
No comments