দানা বাঁধছে অনিশ্চয়তা
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে কি হবে না, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী জোটের মুখোমুখি অবস্থানে উদ্বিগ্ন দেশের বিশিষ্টজনরা। তাঁরা মনে করছেন, দুই জোটের এই অবস্থান দেশকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অচলাবস্থা দূর করতে হলে খোলা মন নিয়ে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। অতীত থেকে সবাইকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এরপর গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে এবং খালেদা জিয়াকে ওই নির্বাচনে আসতে হবে।
এ বিষয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ন্যাপের সভাপতি
অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা রাজনীতিতে সমঝোতা বা কথা বলার কোনো সুযোগ রাখিনি। অতীত থেকে শিক্ষাও নিচ্ছি না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। রাজনীতিতে রেষারেষি ও পরস্পরবিদ্বেষী মনোভাবের ফলে দেশে আবারও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে।' সংকট নিরসনের জন্য দুই পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মোজাফফর বলেন, 'নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। তার আগেই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হতে হবে।'
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাদের (দুই জোটের নেতা) এ মন্তব্যের ফলে কী হবে আমরা সবাই তা জানি।' বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, 'নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন তারাই অংশ নেবে। অতএব তারাই ঠিক করবে, কী ভূমিকা নেওয়া উচিত।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সংকট তো আগে থেকেই লেগে আছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে, এ ধরনের সংকট দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও তা কল্যাণ বয়ে আনবে না। আমরা আশা করব, তারা আরো আলোচনা করবে এবং কঠোর অবস্থানে না থেকে সমাধানের পথ খুঁজবে। আর এটাও ঠিক, নির্বাচনে কোনো বড় দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন অর্থবহ হয় না।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বললেন, "এই সংকটময় মুহূর্তে এসব বিষয়ে কথা বলাটাই বিপজ্জনক। আর আমি কোনো কথা বললেই তা নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এই বয়সে আর এসব ভালো লাগে না। আমি একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিকে 'বাজিকর' বলেছিলাম। এখন অবশ্য অনেকেই তা বলছে।"
ওই উপদেষ্টা বলেন, 'আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে থাকি। তবে নিরপেক্ষ কাউকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হলে সেটা ভালো হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো_কে কাকে দায়িত্ব দেবেন।'
এ বিষয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ন্যাপের সভাপতি
অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা রাজনীতিতে সমঝোতা বা কথা বলার কোনো সুযোগ রাখিনি। অতীত থেকে শিক্ষাও নিচ্ছি না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। রাজনীতিতে রেষারেষি ও পরস্পরবিদ্বেষী মনোভাবের ফলে দেশে আবারও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে।' সংকট নিরসনের জন্য দুই পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মোজাফফর বলেন, 'নির্বাচন এখনো অনেক দূরে। তার আগেই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হতে হবে।'
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাদের (দুই জোটের নেতা) এ মন্তব্যের ফলে কী হবে আমরা সবাই তা জানি।' বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, 'নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন তারাই অংশ নেবে। অতএব তারাই ঠিক করবে, কী ভূমিকা নেওয়া উচিত।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সংকট তো আগে থেকেই লেগে আছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে, এ ধরনের সংকট দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও তা কল্যাণ বয়ে আনবে না। আমরা আশা করব, তারা আরো আলোচনা করবে এবং কঠোর অবস্থানে না থেকে সমাধানের পথ খুঁজবে। আর এটাও ঠিক, নির্বাচনে কোনো বড় দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন অর্থবহ হয় না।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বললেন, "এই সংকটময় মুহূর্তে এসব বিষয়ে কথা বলাটাই বিপজ্জনক। আর আমি কোনো কথা বললেই তা নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এই বয়সে আর এসব ভালো লাগে না। আমি একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিকে 'বাজিকর' বলেছিলাম। এখন অবশ্য অনেকেই তা বলছে।"
ওই উপদেষ্টা বলেন, 'আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে থাকি। তবে নিরপেক্ষ কাউকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হলে সেটা ভালো হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো_কে কাকে দায়িত্ব দেবেন।'
No comments