দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আজ বোধন
সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আজ রবিবার। আনন্দ-উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে ভক্তিভরে বরণ করে নিতে প্রস্তুত কোটি ভক্ত। আজ রবিবার ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গতিনাশিনীর বোধনের মাধ্যমে সূচিত হবে দেবীর আরাধনা। আগামী ৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের।
সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর ষষ্ঠী, বোধন ও ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা আর শঙ্খধ্বনি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে জাগরিত হবে বিশ্ব থেকে অশুভকে বিদায় দেওয়ার পণ।
গতকাল শনিবার সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে চলছিল প্রতিমায় শেষ তুলির আঁচড়। পূজারিরা ছিলেন মহাব্যস্ত। রাজধানীর পুরান ঢাকায় দেখা গেছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ ঢাকেশ্বরীতেও ছিল সেই আবহ। এ ছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির প্রভৃতি পূজামণ্ডপে ছিল উৎসবের আমেজ। নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মণ্ডপের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতারা জানান, এবার সারা দেশে ২৮ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে এই সংখ্যা ১৯৬টি। গতবারের চেয়ে সারা দেশে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বেশি।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ ষষ্ঠী পূজার পর আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে হবে দেবীর মহাসপ্তমী পূজা ও বস্ত্র বিতরণ। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহা অষ্টমী পূজা আরম্ভ ও প্রসাদ বিতরণ। এ দিনই রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। ৫ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর মহানবমী পূজা আরম্ভ ও সন্ধ্যায় থাকবে আরতি প্রতিযোগিতা। ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর দশমী পূজা, সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। এর পরই দুপুর ১২টায় বের হবে শোভাযাত্রা। বিকেল ৪টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হবে সমাপনী উৎসব।
পূজা কমিটির নেতাদের কিছু দাবি : দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন। মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেবনাথ ৯-দফা দাবি উপস্থাপন করেন। কমিটির নেতারা পূজার সময় বড় বড় ভবনে আলোকসজ্জা করার দাবি জানান। অন্যতম আরেকটি দাবি হচ্ছে পূজার সময় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রাখা। কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নাম উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, সরস্বতী পূজার দিনও এসব স্কুল খোলা থাকে। সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর-উত্তম, বীরেশ চন্দ্র সাহা, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ, নির্মল চ্যাটার্জি প্রমুখ।
নিরাপত্তায় সর্বশক্তি নিয়োগের ঘোষণা ডিএমপির : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেছেন, সনাতন ধর্মের সার্বজনীন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্যাপন নিশ্চিত করতে পুলিশ পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবে। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পূজার শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব পূজামণ্ডপে লোক সমাগম বেশি হয়, সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি আলাদা খেয়াল রাখা হবে। এ ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় তদারক করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুচারু করতে সব গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করছে পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ২০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। র্যাব-পুলিশের সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে।
গতকাল শনিবার সারা দেশের মণ্ডপগুলোতে চলছিল প্রতিমায় শেষ তুলির আঁচড়। পূজারিরা ছিলেন মহাব্যস্ত। রাজধানীর পুরান ঢাকায় দেখা গেছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ ঢাকেশ্বরীতেও ছিল সেই আবহ। এ ছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির প্রভৃতি পূজামণ্ডপে ছিল উৎসবের আমেজ। নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মণ্ডপের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতারা জানান, এবার সারা দেশে ২৮ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে এই সংখ্যা ১৯৬টি। গতবারের চেয়ে সারা দেশে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বেশি।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ ষষ্ঠী পূজার পর আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে হবে দেবীর মহাসপ্তমী পূজা ও বস্ত্র বিতরণ। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহা অষ্টমী পূজা আরম্ভ ও প্রসাদ বিতরণ। এ দিনই রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। ৫ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর মহানবমী পূজা আরম্ভ ও সন্ধ্যায় থাকবে আরতি প্রতিযোগিতা। ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে দেবীর দশমী পূজা, সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। এর পরই দুপুর ১২টায় বের হবে শোভাযাত্রা। বিকেল ৪টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হবে সমাপনী উৎসব।
পূজা কমিটির নেতাদের কিছু দাবি : দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন। মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেবনাথ ৯-দফা দাবি উপস্থাপন করেন। কমিটির নেতারা পূজার সময় বড় বড় ভবনে আলোকসজ্জা করার দাবি জানান। অন্যতম আরেকটি দাবি হচ্ছে পূজার সময় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রাখা। কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নাম উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, সরস্বতী পূজার দিনও এসব স্কুল খোলা থাকে। সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর-উত্তম, বীরেশ চন্দ্র সাহা, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ, নির্মল চ্যাটার্জি প্রমুখ।
নিরাপত্তায় সর্বশক্তি নিয়োগের ঘোষণা ডিএমপির : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেছেন, সনাতন ধর্মের সার্বজনীন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদ্যাপন নিশ্চিত করতে পুলিশ পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবে। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পূজার শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব পূজামণ্ডপে লোক সমাগম বেশি হয়, সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি আলাদা খেয়াল রাখা হবে। এ ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় তদারক করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুচারু করতে সব গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করছে পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ২০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। র্যাব-পুলিশের সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে।
No comments