তোপের মুখে শেখ জামাল
পাতানো ম্যাচ খেলার কলঙ্কের ঘা একদিন আগে দগদগে করেছেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক ইরান শেখ। চতুর্থ বাংলাদেশ লীগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচটি পাতানো খেলেছেন বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্বীকার করেছেন ইরান শেখ। ঘা-মুখেই গতকাল নতুন মৌসুমের দলবদল করতে এসেছিল শেখ জামাল। পাতানো ইস্যু নিয়ে রীতিমতো মিডিয়ার তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ লীগ চ্যাম্পিয়নরা।
ফুটবল দলের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল, ক্লাবের দুই পরিচালক এনায়েত কবীর চঞ্চল ও মোখলেসুর রহমান টয় এবং অধিনায়ক আমিনুল হককে নতুন দল নিয়ে ব্রিফ করার আগেই নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয় পাতানো খেলা নিয়ে। তখন তাদের ঘিরে দাঁড়ানো রেজিস্ট্র্রেশন করতে আসা নতুন-পুরনো ফুটবলাররা হন বিব্রত। যদিও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের কর্মকর্তারা জোরালোভাবেই পাতানো খেলার কথা অস্বীকার করেছেন। এমনকি বাফুফে পাতানো খেলা তদন্ত করে তাদের যে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে, তাও দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। জরিমানা পরিশোধ করতে হবেই_ বাফুফে এ সিদ্ধান্তে অটল থাকলে বাংলাদেশ লীগ থেকে দল প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য, পাতানো খেলার অভিযোগ উঠলেও প্রমাণিত হয়নি। রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক যেখানে স্বীকার করেছেন ওই ম্যাচটি তাকে দিয়ে পাতানো খেলা হয়েছে, তারপর আর প্রমাণের কী আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এনায়েত কবীর চঞ্চল বলেন, 'অভিযোগ উঠেছে কিন্তু তা প্রমাণিত হয়নি। ইরান শেখ কোরআন ছুঁয়ে বলেছিলেন পাতানো খেলেননি, এখন কী করে বলেন?' এ সময় তার পাশে বসা দলের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল বলেন, 'আমরা ওই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমাদের সভাপতি আগেই বলেছেন, জরিমানা দিয়ে খেলতে হলে দল প্রত্যাহার করে নেব।' অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, 'ইরান শেখ টিভিতে কী বলেছেন শুনিনি।'
পাতানো প্রসঙ্গ শেষে এবারের দল কেমন হলো_ মিডিয়া থেকে এমন প্রশ্ন শুরুর পর যেন স্বস্তি ফিরে পেলেন শেখ জামালের কর্মকর্তারা। এবার শেখ জামালের ঘর ভেঙে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও আবাহনী। তবে চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যানেজারের আশা, 'শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই আমরা দল গড়েছি। আমাদের এবারের দল অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেলে তৈরি করা হয়েছে।' দলটি গতবারের মতো কেন তারকাসমৃদ্ধ হলো না, তার ব্যাখ্যা অধিনায়ক আমিনুল দিয়েছেন এভাবে_ 'গত বছর জাতীয় দলের অনেকেই সাইড বেঞ্চে বসেছিলেন। এবার যাদের নিয়েছি তাদের অনেকে হয়তো স্বনামধন্য নন, তবে তারাও পারফরম্যান্সেও কম নন।' যারা শেখ জামাল ছেড়েছেন তাদের অনেকের অভিযোগ, দলে কোন্দল ছিল। আমিনুল মনে করেন, 'কোন্দল বলে কিছু ছিল না দলে। কোচ যাকে ভালো মনে করেছেন তাকেই খেলিয়েছেন।'
দলবদলের প্রথম দিনে চ্যাম্পিয়নরা নতুন-পুরনো মিলিয়ে ২০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। পুরনোদের মধ্যে আছেন আমিনুল, অসীম, মিন্টু শেখ, মিশু, এনি, কোমল ও সবুজ। নতুন এসেছেন আবাহনীর অরূপ, মোহামেডানের শরীফ, শেখ রাসেলের রাজু, ফেনী সকারের পিরু, সোহেল রানা, ফরাশগঞ্জের ভাষানী, রহমতগঞ্জের রিমন, আরামবাগের খালিদ সাইফুল্লাহ এবং ব্রাদার্সের ইউছুপ ও ইমরোজ। বিদেশিদের মধ্যে গতবার খেলা ইয়োকা ও ফেমি এবং ব্রাদার্সের এভারটন।
পাতানো প্রসঙ্গ শেষে এবারের দল কেমন হলো_ মিডিয়া থেকে এমন প্রশ্ন শুরুর পর যেন স্বস্তি ফিরে পেলেন শেখ জামালের কর্মকর্তারা। এবার শেখ জামালের ঘর ভেঙে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও আবাহনী। তবে চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যানেজারের আশা, 'শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই আমরা দল গড়েছি। আমাদের এবারের দল অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেলে তৈরি করা হয়েছে।' দলটি গতবারের মতো কেন তারকাসমৃদ্ধ হলো না, তার ব্যাখ্যা অধিনায়ক আমিনুল দিয়েছেন এভাবে_ 'গত বছর জাতীয় দলের অনেকেই সাইড বেঞ্চে বসেছিলেন। এবার যাদের নিয়েছি তাদের অনেকে হয়তো স্বনামধন্য নন, তবে তারাও পারফরম্যান্সেও কম নন।' যারা শেখ জামাল ছেড়েছেন তাদের অনেকের অভিযোগ, দলে কোন্দল ছিল। আমিনুল মনে করেন, 'কোন্দল বলে কিছু ছিল না দলে। কোচ যাকে ভালো মনে করেছেন তাকেই খেলিয়েছেন।'
দলবদলের প্রথম দিনে চ্যাম্পিয়নরা নতুন-পুরনো মিলিয়ে ২০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। পুরনোদের মধ্যে আছেন আমিনুল, অসীম, মিন্টু শেখ, মিশু, এনি, কোমল ও সবুজ। নতুন এসেছেন আবাহনীর অরূপ, মোহামেডানের শরীফ, শেখ রাসেলের রাজু, ফেনী সকারের পিরু, সোহেল রানা, ফরাশগঞ্জের ভাষানী, রহমতগঞ্জের রিমন, আরামবাগের খালিদ সাইফুল্লাহ এবং ব্রাদার্সের ইউছুপ ও ইমরোজ। বিদেশিদের মধ্যে গতবার খেলা ইয়োকা ও ফেমি এবং ব্রাদার্সের এভারটন।
No comments