সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীঃ বিরোধী দলকে নির্বাচনে আসতেই হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, রাজনীতি করলে বিরোধীদলীয় নেতাকে নির্বাচনে আসতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্র সফর ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল শনিবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না’—বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবে, হবে, হবে। জনগণ নির্বাচন করবে, করবে, করবে। সেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। রাজনীতি করলে বিরোধীদলীয় নেতাকে নির্বাচনে আসতেই হবে।’ বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ছেলেদের দুর্নীতির বিচার বন্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার আন্দোলন না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সফরের বিস্তারিত ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতার সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, দলীয় সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদসহ পদস্থ কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন খালেদা জিয়া নিজেই। বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। নিজস্ব লোককে প্রধান উপদেষ্টা করতে বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নিজেই প্রধান উপদেষ্টা হয়ে গিয়েছিলেন। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছিল। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্টি করা হয়, তা পূরণ হয়নি। ফলে এক-এগারোর সৃষ্টি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী ২০০৭ সালের ১ জুলাই নিউইয়র্কে দুটি টেলিকনফারেন্সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, জনগণই একদিন এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি চাইবে। তা ছাড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বলেছিলেন, দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চলছে। উনি কি সেই নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চান? উনি সে সময়ের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা এত দ্রুত ভুলে গেলেন কী করে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলছেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালে আমার নামে মামলা দেওয়া হয়। মামলা হলে সবাই ভাগে, মোকাবিলা করে না। অথচ আমি দেশে ফিরতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়, দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে একুইনোর মতো হত্যা করা হবে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছিলাম। আর উনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমি ফিরে আসায় উনি শক্ত হন। সেদিন ঝুঁকি নিয়ে ফিরেছিলাম বলেই দেশে নির্বাচন হয়েছে, গণতন্ত্র এসেছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিরোধী দলের আলোচনার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও চাই, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হোক। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আমরাও চাই। স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনে অবশ্যই আলোচনা হবে।’ চোর-বাটপারদের সঙ্গে আলোচনা না করতে চাওয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথাটা আমি ওভাবে বলিনি। এটার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছিলাম, উনার সঙ্গে বসলেই চোর ছেলেদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উৎখাত করতে চাইছেন। তাহলে আলোচনা হবে কীভাবে? আর আলোচনা করতে চাইলে সংসদে চলে আসুক। সেখানে আলোচনা হবে।’
রোডমার্চের পর বিরোধীদলীয় নেতার ফাইনাল খেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে সেমিফাইনাল হবে। তারপর ফাইনাল। উনি এখন কোন পর্যায়ে আছেন, সেটা জানতে চাই। বিরোধীদলীয় নেতা জুন পর্যন্ত আমাদের সময় দিয়েছিলেন। এখন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। একবার সময় বাড়িয়েছেন। পরে আরও বাড়াবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে যত খেলাই খেলতে চাক, খেলুক। খেলনেওয়ালারা খেলে যাবে। কাজ করনেওয়ালারা কাজ করে যাবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মানুষ অশান্তিতে আছে বলে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে উনি কেমন আছেন জানতে চাইলে প্রত্যেকেই ভালো আছেন জবাব দেন। মানুষ শান্তিতে থাকলে উনি অশান্তিতে ভোগেন। ছেলেদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট বন্ধ হয়েছে, অশান্তি তো হবেই। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অথচ সমাবেশে উনার বক্তৃতার সময় মাগরিবের আজান হলেও বক্তৃতা বন্ধ করেননি।
দ্রব্যমূল্য বাড়ার অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার সময় চালের কেজি ছিল ১০ টাকা। আর ২০০৮ সালে সেই চাল হয় ৪০-৪৫ টাকা। এখন বলছেন, ক্ষমতায় গেলে চালের দাম কমাবেন। তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মহামন্দা ও তেলের দাম বাড়ে। তেলের দাম বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এ অবস্থায় আমরা প্রত্যেকের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। এরপর মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা বাড়াই। বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে চাল কিনে মাত্র ২৪ চাকায় খোলাবাজারে বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছি। রোজায় ৫৪ লাখ পরিবারকে বিনা মূল্যে চাল দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও ৪২ ভাগ রপ্তানি বেড়েছে। ৬ দশমিক ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অর্থনীতির অবস্থা ভালো না থাকলে এসব করা সম্ভব হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি তেল, কৃষি ও খাদ্যে ২২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সবকিছুতে ভর্তুকি দিলে উন্নয়নকাজ হবে কী করে? তারপর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২২টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে। ৩৪টির কাজ চলছে। আড়াই বছরে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।
র্যাব ও পুলিশ নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব তাঁর সৃষ্টি। ক্রসফায়ার সম্পর্কে তিনি ২০০৫ সালে বলেছিলেন, এটা পুলিশ ও অপরাধীদের বন্দুকযুদ্ধ। নিজের জীবন রক্ষা করার অধিকার পুলিশের আছে। ২০০৪ সালে দুই হাজার লোক ক্রসফায়ারে নিহত হয়। একমাত্র আমিই সে সময় ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে বলেছি।’
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছি না। তবে কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সফরের বিস্তারিত ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতার সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, দলীয় সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদসহ পদস্থ কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন খালেদা জিয়া নিজেই। বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। নিজস্ব লোককে প্রধান উপদেষ্টা করতে বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নিজেই প্রধান উপদেষ্টা হয়ে গিয়েছিলেন। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছিল। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্টি করা হয়, তা পূরণ হয়নি। ফলে এক-এগারোর সৃষ্টি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী ২০০৭ সালের ১ জুলাই নিউইয়র্কে দুটি টেলিকনফারেন্সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, জনগণই একদিন এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি চাইবে। তা ছাড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বলেছিলেন, দেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চলছে। উনি কি সেই নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চান? উনি সে সময়ের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা এত দ্রুত ভুলে গেলেন কী করে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলছেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালে আমার নামে মামলা দেওয়া হয়। মামলা হলে সবাই ভাগে, মোকাবিলা করে না। অথচ আমি দেশে ফিরতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়, দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে একুইনোর মতো হত্যা করা হবে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছিলাম। আর উনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমি ফিরে আসায় উনি শক্ত হন। সেদিন ঝুঁকি নিয়ে ফিরেছিলাম বলেই দেশে নির্বাচন হয়েছে, গণতন্ত্র এসেছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিরোধী দলের আলোচনার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও চাই, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হোক। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আমরাও চাই। স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনে অবশ্যই আলোচনা হবে।’ চোর-বাটপারদের সঙ্গে আলোচনা না করতে চাওয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথাটা আমি ওভাবে বলিনি। এটার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছিলাম, উনার সঙ্গে বসলেই চোর ছেলেদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উৎখাত করতে চাইছেন। তাহলে আলোচনা হবে কীভাবে? আর আলোচনা করতে চাইলে সংসদে চলে আসুক। সেখানে আলোচনা হবে।’
রোডমার্চের পর বিরোধীদলীয় নেতার ফাইনাল খেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে সেমিফাইনাল হবে। তারপর ফাইনাল। উনি এখন কোন পর্যায়ে আছেন, সেটা জানতে চাই। বিরোধীদলীয় নেতা জুন পর্যন্ত আমাদের সময় দিয়েছিলেন। এখন সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। একবার সময় বাড়িয়েছেন। পরে আরও বাড়াবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে যত খেলাই খেলতে চাক, খেলুক। খেলনেওয়ালারা খেলে যাবে। কাজ করনেওয়ালারা কাজ করে যাবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মানুষ অশান্তিতে আছে বলে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে উনি কেমন আছেন জানতে চাইলে প্রত্যেকেই ভালো আছেন জবাব দেন। মানুষ শান্তিতে থাকলে উনি অশান্তিতে ভোগেন। ছেলেদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট বন্ধ হয়েছে, অশান্তি তো হবেই। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অথচ সমাবেশে উনার বক্তৃতার সময় মাগরিবের আজান হলেও বক্তৃতা বন্ধ করেননি।
দ্রব্যমূল্য বাড়ার অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার সময় চালের কেজি ছিল ১০ টাকা। আর ২০০৮ সালে সেই চাল হয় ৪০-৪৫ টাকা। এখন বলছেন, ক্ষমতায় গেলে চালের দাম কমাবেন। তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মহামন্দা ও তেলের দাম বাড়ে। তেলের দাম বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এ অবস্থায় আমরা প্রত্যেকের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। এরপর মন্ত্রী-এমপিদের বেতন-ভাতা বাড়াই। বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে চাল কিনে মাত্র ২৪ চাকায় খোলাবাজারে বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছি। রোজায় ৫৪ লাখ পরিবারকে বিনা মূল্যে চাল দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও ৪২ ভাগ রপ্তানি বেড়েছে। ৬ দশমিক ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অর্থনীতির অবস্থা ভালো না থাকলে এসব করা সম্ভব হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি তেল, কৃষি ও খাদ্যে ২২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সবকিছুতে ভর্তুকি দিলে উন্নয়নকাজ হবে কী করে? তারপর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২২টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে। ৩৪টির কাজ চলছে। আড়াই বছরে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।
র্যাব ও পুলিশ নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব তাঁর সৃষ্টি। ক্রসফায়ার সম্পর্কে তিনি ২০০৫ সালে বলেছিলেন, এটা পুলিশ ও অপরাধীদের বন্দুকযুদ্ধ। নিজের জীবন রক্ষা করার অধিকার পুলিশের আছে। ২০০৪ সালে দুই হাজার লোক ক্রসফায়ারে নিহত হয়। একমাত্র আমিই সে সময় ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে বলেছি।’
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছি না। তবে কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না।’
No comments