সালমান তাসিরের খুনির মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত গতকাল শনিবার এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মালিক মুমতাজ হুসাইন কাদরি তাসিরের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বিতর্কিত ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা নিরোধ আইন) আইনের বিরোধিতা করায় সালমানকে হত্যা করেন কাদরি। তাঁকে দুই লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সদস্য তাসিরকে গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে গুলি করে হত্যা করেন কাদরি। অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাসিরকে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। স্বীকারোক্তিতে কাদরি বলেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের পক্ষে কাজ করায় তাসিরকে হত্যা করেছেন তিনি। পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামী নেতারা তাসিরের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন জানান এবং কাদরির মুক্তির দাবি করেন।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছরের নভেম্বরে পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামে খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান খারিজসহ আরো কিছু পরিবর্তনের দাবিতে ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের দাবি জানান তাঁরা। পার্লামেন্টে উত্থাপন করা এ-সংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেন তাসির। রাওয়ালপিন্ডির আধিয়ালা কারাগারে স্থাপিত সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গতকাল কাদরির সাজা ঘোষণা করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শুজা-উর-রহমান বলেন, 'আদালত আমার মক্কেলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। তাঁকে দুই লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।' রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি। আপিলের জন্য আদালত সাত দিন সময় দিয়েছেন। গতকাল রায় ঘোষণার সময় কারাগারের বাইরে প্রায় ৫০০ লোক কাদরির মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। কাদরিকে ক্ষমা করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানায় তারা। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিপিপি নেতা বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড সালমান তাসিরের ঘটনা। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির। তাসিরের হত্যার দুই মাস পর সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। খ্রিস্টান ওই মন্ত্রীও ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। গত ২৬ আগস্ট তাসিরের ছেলে শাহবাজকে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোর থেকে অপহরণ করা হয়। পুলিশ এ ঘটনার জন্য এখন পর্যন্ত কাউকে দায়ী করতে পারেনি। তবে শাহবাজের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, কাদরির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছরের নভেম্বরে পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামে খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান খারিজসহ আরো কিছু পরিবর্তনের দাবিতে ব্লাসফেমি আইন সংশোধনের দাবি জানান তাঁরা। পার্লামেন্টে উত্থাপন করা এ-সংক্রান্ত বিলে সমর্থন দেন তাসির। রাওয়ালপিন্ডির আধিয়ালা কারাগারে স্থাপিত সন্ত্রাসবিরোধী আদালত গতকাল কাদরির সাজা ঘোষণা করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শুজা-উর-রহমান বলেন, 'আদালত আমার মক্কেলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। তাঁকে দুই লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।' রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি। আপিলের জন্য আদালত সাত দিন সময় দিয়েছেন। গতকাল রায় ঘোষণার সময় কারাগারের বাইরে প্রায় ৫০০ লোক কাদরির মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। কাদরিকে ক্ষমা করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানায় তারা। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিপিপি নেতা বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড সালমান তাসিরের ঘটনা। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির। তাসিরের হত্যার দুই মাস পর সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। খ্রিস্টান ওই মন্ত্রীও ব্লাসফেমি আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। গত ২৬ আগস্ট তাসিরের ছেলে শাহবাজকে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোর থেকে অপহরণ করা হয়। পুলিশ এ ঘটনার জন্য এখন পর্যন্ত কাউকে দায়ী করতে পারেনি। তবে শাহবাজের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, কাদরির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
No comments