ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি তিক্ততাপূর্ণ
বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি তিক্ততাপূর্ণ। জামায়াতে ইসলামীর আশঙ্কা অন্যান্য ইসলামিক দল তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। ২০০৫ সালের ১৯ জুলাই ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত দৈনিক 'ইনকিলাব' পত্রিকার সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে ইসলামীকে ইসলামের প্রধান শত্রু বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ব্যক্তিদের সঙ্গে এক বৈঠকের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। সেই বৈঠকে ইসলামী চিন্তাবিদরা জামায়াতে ইসলামী সম্বন্ধে তার কাছে অনুরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন বলে দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন বাহাউদ্দিন। উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তাটি ২০০৫ সালের ১৯ জুলাই ঢাকা দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছিল। জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল মূলধারার জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দেশের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করছিলেন বাহাউদ্দিন। বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই ইসলামী ঐক্যজোটের উপদলগুলোকে এ লক্ষ্যে সংগঠিত করছিলেন ইনকিলাব সম্পাদক। তারবার্তায় বলা হয়, মার্কিন রাজনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতে বাহাউদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের ইসলামী অনুশীলনকারী মূলধারার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আঘাত করার চেষ্টা
করছে। দেশের শীর্ষ ইসলামী আলেম ব্যক্তিরা জামায়াতকে এ কারণে ইসলামের প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ প্রসঙ্গে এএমএম বাহাউদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের মাজার এবং পীরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাই জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামী দলের মধ্যে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের ১০ শতাংশ আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং অধিকাংশ কওমি মাদ্রাসা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে।
ওই বছর ১১ জুলাই মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, চারদলীয় জোটের মধ্যে ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। যারা সমালোচনা করছেন তারা ক্ষমতায় নেই, আমরা আছি। এ প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইসলামী দলগুলোর বাইরের শক্তি জোটকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে এবং এ ব্যাপারে গণমাধ্যম পরিবেশিত অতিরঞ্জিত খবরকে দায়ী করেন তিনি। তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিরোধীরা জামায়াতে ইসলামীকে সমালোচনা করলেও বিএনপি-জামায়াত জোট এসব বাক্যবাণের বিরুদ্ধেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
করছে। দেশের শীর্ষ ইসলামী আলেম ব্যক্তিরা জামায়াতকে এ কারণে ইসলামের প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ প্রসঙ্গে এএমএম বাহাউদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের মাজার এবং পীরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাই জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামী দলের মধ্যে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের ১০ শতাংশ আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং অধিকাংশ কওমি মাদ্রাসা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে।
ওই বছর ১১ জুলাই মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, চারদলীয় জোটের মধ্যে ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। যারা সমালোচনা করছেন তারা ক্ষমতায় নেই, আমরা আছি। এ প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইসলামী দলগুলোর বাইরের শক্তি জোটকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে এবং এ ব্যাপারে গণমাধ্যম পরিবেশিত অতিরঞ্জিত খবরকে দায়ী করেন তিনি। তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিরোধীরা জামায়াতে ইসলামীকে সমালোচনা করলেও বিএনপি-জামায়াত জোট এসব বাক্যবাণের বিরুদ্ধেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
No comments