ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন না করার পরামর্শ এসইসিকে
বাজার নিয়ন্ত্রণে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন না করে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এসইসিকে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অপেক্ষাকৃত কম মূলধনের কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আলাদা লেনদেনব্যবস্থা চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ ধরনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার ফলে সামগ্রিক বাজারকে অতিমূল্যায়িত মনে হয়। প্রকৃত অর্থে বাজার অতিমূল্যায়িত নয় উল্লেখ করে বাজারের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে কম মূলধনের অতিমূল্যায়িত কোম্পানিগুলোকে আলাদা করার যুক্তি দেওয়া হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব পরামর্শ ও সুপারিশ করা হয়। এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় সংস্থাটির সদস্য মনসুর আলম ও ইয়াসিন আলী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী, পরিচালক রকিবুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখরউদ্দিন আলী আহমদ, পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালমান এফ রহমান, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমসহ এসইসির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হক খোন্দকার বৈঠকের শুরুতে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উপস্থিত সবার মন্তব্য জানতে চান। এ সময় সালমান এফ রহমান এসইসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সব সময় বলেন বাজার অতিমূল্যায়িত। কিন্তু সামগ্রিক বাজার অতিমূল্যায়িত নয়।’
সালমান এফ রহমান সঙ্গে করে আনা কাগজ দেখিয়ে বলেন, বাজারে অনেক কোম্পানি রয়েছে, যার মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই এখনো যথেষ্ট কম। তবে এটা ঠিক, স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ার অতিমূল্যায়িত। এগুলোকে আলাদা লেনদেনব্যবস্থায় নিয়ে গেলে বাজারকে আর অতিমূল্যায়িত মনে হবে না। তবে বাজার অতিমূল্যায়িত নয়—এ বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইয়াসিন আলী। তিনি বলেন, বাজার অবশ্যই অতিমূল্যায়িত। এখান থেকে বাজারের মূল্য সংশোধন অনিবার্য। বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বাজারের পিই ৩০। এ অবস্থায় কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্তি দুই-তিন শতাংশের বেশি হবে না। অথচ ব্যাংক সুদের হার ১০ শতাংশের মতো। তাই বাজার অতিমূল্যায়িত নয়—এ বক্তব্য সঠিক নয়। জবাবে সালমান এফ রহমান কিছুটা উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘তাহলে আপনি কী চাইছেন, পিই অনুপাত ৮/৯-এ নেমে আসুক।’ এ সময় তিনি সব কোম্পানির অভিহিত মূল্য একসঙ্গে পরিবর্তন করার পক্ষে মত দেন। রকিবুর রহমান এসইসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাজারের সূচক পড়লেই আপনারা ভীত হয়ে যান কেন? ভারতেও তো কিছুদিন আগে সূচক কমেছিল। কিন্তু সেখানে কোনো মিছিল হয়নি। আর এখানে মিছিল হলেই জরুরি বৈঠকে বসে পড়বেন—এটাও ঠিক নয়।’ শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দিনক্ষণ ঘোষণা দিয়ে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের কথা বলছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে এ ভীতি ছড়াচ্ছে যে, ওই দিনের পর বাজার হয়তো আর থাকবে না। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা মাথায় রেখেই বিধিবদ্ধ নগদ জমা বা সিআরআর বাড়িয়েছে। চার-পাঁচ মাস আগেই ব্যাংকগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তখন থেকে প্রস্তুতি না নিয়ে হঠাৎ করে শেষ মুহূর্তে এসে সমন্বয় করতে গেছে। এটা ব্যাংকগুলোর তহবিল-ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা।অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় এবং সিআরআরের হার কমানো হবে কি না, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম। আরিফ খান এসইসির ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। বলেন, ‘এনএভি সূত্র প্রয়োগে না যাওয়ার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এসইসি সে সময় তা আমলেই নেয়নি। অথচ পাঁচ মাস পরে এসে এসইসি নিজেই এনএভি তুলে দিল।’
আরিফ খান ঋণ দেওয়ার বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিই বেঁধে দেওয়ার সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, এর ফলে কোম্পানিগুলোর মধ্যে আয়-কারসাজির প্রবণতা বাড়বে।এ ছাড়া বৈঠকে এসইসিতে যেসব কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) জমা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত অনুমোদনের তাগিদ দেওয়া হয়।
পরে বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে জিয়াউল হক খোন্দকার বলেন, ‘বৈঠকে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন থেকে আমরা শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবো। এ ছাড়া স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোকে আলাদা লেনদেনব্যবস্থায় নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।’
সালমান এফ রহমান সঙ্গে করে আনা কাগজ দেখিয়ে বলেন, বাজারে অনেক কোম্পানি রয়েছে, যার মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই এখনো যথেষ্ট কম। তবে এটা ঠিক, স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ার অতিমূল্যায়িত। এগুলোকে আলাদা লেনদেনব্যবস্থায় নিয়ে গেলে বাজারকে আর অতিমূল্যায়িত মনে হবে না। তবে বাজার অতিমূল্যায়িত নয়—এ বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ইয়াসিন আলী। তিনি বলেন, বাজার অবশ্যই অতিমূল্যায়িত। এখান থেকে বাজারের মূল্য সংশোধন অনিবার্য। বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বাজারের পিই ৩০। এ অবস্থায় কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্তি দুই-তিন শতাংশের বেশি হবে না। অথচ ব্যাংক সুদের হার ১০ শতাংশের মতো। তাই বাজার অতিমূল্যায়িত নয়—এ বক্তব্য সঠিক নয়। জবাবে সালমান এফ রহমান কিছুটা উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘তাহলে আপনি কী চাইছেন, পিই অনুপাত ৮/৯-এ নেমে আসুক।’ এ সময় তিনি সব কোম্পানির অভিহিত মূল্য একসঙ্গে পরিবর্তন করার পক্ষে মত দেন। রকিবুর রহমান এসইসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাজারের সূচক পড়লেই আপনারা ভীত হয়ে যান কেন? ভারতেও তো কিছুদিন আগে সূচক কমেছিল। কিন্তু সেখানে কোনো মিছিল হয়নি। আর এখানে মিছিল হলেই জরুরি বৈঠকে বসে পড়বেন—এটাও ঠিক নয়।’ শাকিল রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দিনক্ষণ ঘোষণা দিয়ে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের কথা বলছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে এ ভীতি ছড়াচ্ছে যে, ওই দিনের পর বাজার হয়তো আর থাকবে না। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা মাথায় রেখেই বিধিবদ্ধ নগদ জমা বা সিআরআর বাড়িয়েছে। চার-পাঁচ মাস আগেই ব্যাংকগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তখন থেকে প্রস্তুতি না নিয়ে হঠাৎ করে শেষ মুহূর্তে এসে সমন্বয় করতে গেছে। এটা ব্যাংকগুলোর তহবিল-ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা।অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় এবং সিআরআরের হার কমানো হবে কি না, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম। আরিফ খান এসইসির ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। বলেন, ‘এনএভি সূত্র প্রয়োগে না যাওয়ার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এসইসি সে সময় তা আমলেই নেয়নি। অথচ পাঁচ মাস পরে এসে এসইসি নিজেই এনএভি তুলে দিল।’
আরিফ খান ঋণ দেওয়ার বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিই বেঁধে দেওয়ার সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, এর ফলে কোম্পানিগুলোর মধ্যে আয়-কারসাজির প্রবণতা বাড়বে।এ ছাড়া বৈঠকে এসইসিতে যেসব কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) জমা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত অনুমোদনের তাগিদ দেওয়া হয়।
পরে বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে জিয়াউল হক খোন্দকার বলেন, ‘বৈঠকে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন থেকে আমরা শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখতে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবো। এ ছাড়া স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোকে আলাদা লেনদেনব্যবস্থায় নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।’
No comments