আজই বাংলাদেশের ‘ফাইনাল’
কক্সবাজারের বিডিআর মাঠটা এক টুকরো সবুজের গালিচা। সারি সারি নারকেলগাছে ঘেরা ছোট্ট মাঠে অনুশীলনে আসার কথা বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের। সেই অপেক্ষায় ঢাকা থেকে আসা জনা বিশেক সাংবাদিক। দুই দফা সময় বদলে অবশেষে লাল-সবুজ জার্সি পরে বেলা দেড়টায় এল মহিলা দল। হাসি ফুটল সাংবাদিকদের মুখে। শুধু এই বিশ জন সাংবাদিক নন, আজ সারা দেশের ফুটবল অনুরাগীদের মুখেই হাসি ফোটানোর দায়িত্ব এই মেয়েদের। নেপালের বিপক্ষে সেমিফাইনাল জিতে তা কি ফোটাতে পারবেন সাবিনা, অম্রা, সুইনু প্রুরা?
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে যা খেলা হয়েছে, তাতে নেপালকেই একটু এগিয়ে রাখতে হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষে আছে নিজেদের মাঠ ও দর্শক সমর্থন। তবে সেটি কি আবার উল্টো চাপও নয়? স্ট্রাইকার অম্রা চিং মারমা প্রশ্নটাকে উড়িয়ে দিতে চাইলেন। চুইংগাম চিবাতে চিবাতে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না। চাপ কিসের?’
তবে সেমিফাইনালটা যে জীবন-মরণ পরীক্ষা, সেটি বুঝিয়ে দিলেন পরের কথাতেই, ‘যে করেই হোক, এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, এটা সত্যি। তবে এই ম্যাচে অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব।’ আরেক স্ট্রাইকার সাবিনা ফাইনালের স্বপ্ন পূরণে করণীয়টাও বলে দিলেন, ‘ওদের অনু লামা ও যমুনা বিপজ্জনক খেলোয়াড়। এ দুজনকেই আটকাতে হবে আমাদের।’ কোচ গোলাম রব্বানীরও ভয় ওই দুজনকে নিয়েই, ‘ওদের কড়া মার্কিংয়ে রেখে নেপালকে নিষ্ক্রিয় করতে চাই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, এটাই আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ।’সকালে পুলিশ লাইন মাঠে ঘণ্টা খানেকের অনুশীলন শেষে দুপুরে জেলা স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে এল নেপাল দল। মাঠে গোল করায় যেমন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে, তেমনই টিম বাস থেকেও সবার আগে নামলেন অনু লামা ও যমুনা। টুর্নামেন্টে টানা তিন হ্যাটট্রিকসহ ১০ গোল করেছেন অনু লামা। বলে দিলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করতে চাই।’ যমুনারও একটি হ্যাটট্রিক আছে, গোল করেছেন ৮টি। তাঁর কথা শুনে তো মনে হলো ফাইনাল নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছি না। গোল করে দলকে ফাইনালে ওঠাতে চাই।’
গত এসএ গেমসে এই যমুনার গোলেই গ্রুপ ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই নেপালের চেয়ে গতিতে, কৌশলে, অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে এই নেপাল। আর বাংলাদেশ বাস্তবতা বুঝেছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর অবশ্য প্রশংসাই করলেন বাংলাদেশকে, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। ওদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তা ছাড়া স্বাগতিক হিসেবেও এগিয়ে থাকবে ওরা। চেষ্টা করব আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে।’এসএ গেমসে হারের বদলা, নাকি আবারও হার? উত্তরের জন্য না হয় আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষাতেই থাকুন।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে যা খেলা হয়েছে, তাতে নেপালকেই একটু এগিয়ে রাখতে হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষে আছে নিজেদের মাঠ ও দর্শক সমর্থন। তবে সেটি কি আবার উল্টো চাপও নয়? স্ট্রাইকার অম্রা চিং মারমা প্রশ্নটাকে উড়িয়ে দিতে চাইলেন। চুইংগাম চিবাতে চিবাতে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না। চাপ কিসের?’
তবে সেমিফাইনালটা যে জীবন-মরণ পরীক্ষা, সেটি বুঝিয়ে দিলেন পরের কথাতেই, ‘যে করেই হোক, এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, এটা সত্যি। তবে এই ম্যাচে অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব।’ আরেক স্ট্রাইকার সাবিনা ফাইনালের স্বপ্ন পূরণে করণীয়টাও বলে দিলেন, ‘ওদের অনু লামা ও যমুনা বিপজ্জনক খেলোয়াড়। এ দুজনকেই আটকাতে হবে আমাদের।’ কোচ গোলাম রব্বানীরও ভয় ওই দুজনকে নিয়েই, ‘ওদের কড়া মার্কিংয়ে রেখে নেপালকে নিষ্ক্রিয় করতে চাই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, এটাই আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ।’সকালে পুলিশ লাইন মাঠে ঘণ্টা খানেকের অনুশীলন শেষে দুপুরে জেলা স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে এল নেপাল দল। মাঠে গোল করায় যেমন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে, তেমনই টিম বাস থেকেও সবার আগে নামলেন অনু লামা ও যমুনা। টুর্নামেন্টে টানা তিন হ্যাটট্রিকসহ ১০ গোল করেছেন অনু লামা। বলে দিলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করতে চাই।’ যমুনারও একটি হ্যাটট্রিক আছে, গোল করেছেন ৮টি। তাঁর কথা শুনে তো মনে হলো ফাইনাল নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছি না। গোল করে দলকে ফাইনালে ওঠাতে চাই।’
গত এসএ গেমসে এই যমুনার গোলেই গ্রুপ ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই নেপালের চেয়ে গতিতে, কৌশলে, অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে এই নেপাল। আর বাংলাদেশ বাস্তবতা বুঝেছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর অবশ্য প্রশংসাই করলেন বাংলাদেশকে, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। ওদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তা ছাড়া স্বাগতিক হিসেবেও এগিয়ে থাকবে ওরা। চেষ্টা করব আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে।’এসএ গেমসে হারের বদলা, নাকি আবারও হার? উত্তরের জন্য না হয় আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষাতেই থাকুন।
No comments