বিসিবির অধিনায়ক-ভাবনা
মাশরাফি বিন মুর্তজা নাকি সাকিব আল হাসান—ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন কে? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখন শুধু জাতীয় কৌতূহল নিবারণের জন্যই নয়, ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ভালোমন্দের বিবেচনায়ও জরুরি। অথচ বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল কাল চমকে যাওয়ার মতো তথ্যই দিলেন—বিশ্বকাপের অধিনায়কত্ব নিয়ে নাকি বোর্ডে এখনো আলোচনাই হয়নি!
‘বোর্ডে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করিনি এখনো। আলোচনা করার কোনো প্রয়োজনই মনে করিনি। যখন প্রয়োজন হবে আলোচনা করব’—কাল পল্টন ময়দানে বিশ্বকাপের রোড শো উদ্বোধন শেষে বলেছেন বিসিবির সভাপতি। বিশ্বকাপের অধিনায়ক নির্বাচনের কাজটা বোর্ডের জন্য স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে কি না—প্রশ্নের জবাবেই কথাটা বললেন তিনি। তাঁর ঠিক পেছনেই দাঁড়ানো বিসিবির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুল আনামও সমর্থনসূচক মাথা নাড়লেন, ‘একদমই না। আমরা জানি আমরা কী করছি...।’ কাল বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্ধারিত সভাটি শুরু হয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিট পরই মুলতবি হয়ে গেছে। তবে সভার আলোচ্যসূচিতে অধিনায়ক প্রসঙ্গটি ছিলই না। মুলতবি সভা হবে ২৭ ডিসেম্বর, সেদিনও নাকি এটা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বকাপের অধিনায়ক প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে পরিষ্কার মতভেদ আছে। একটা অংশ মনে করে নেতৃত্বভার সাকিবের হাতেই থাকা উচিত। কারণ মাশরাফির অনুপস্থিতিতে সাকিব সফলভাবেই নেতৃত্বভার সামলেছেন। তা ছাড়া ইনজুরিপ্রবণ মাশরাফিকে অধিনায়কত্বের বাড়তি ভার না দেওয়ার বিবেচনাও আছে। আরেকটা পক্ষ আবার মাশরাফিকেই চায়। তাদের চোখে সাকিব ছিলেন ‘আপৎকালীন’ অধিনায়ক।
একটা চাপা গুঞ্জনও আছে। অধিনায়কত্বের প্রশ্ন নাকি ঝুলে আছে আবাহনী-মোহামেডানের অদৃশ্য লড়াইয়ে! ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অনেকের মুখেই শোনা যায়, বেশির ভাগ পরিচালক সাকিবকে অধিনায়ক করার পক্ষে হলেও বোর্ড সভাপতি আবাহনীর লোক বলে তিনি আবাহনীর খেলোয়াড় মাশরাফিকে অধিনায়ক করতে চান। অভিযোগটা অবশ্য কাল উড়িয়েই দিয়েছেন মোস্তফা কামাল। তাঁর সঙ্গী হয়ে মিডিয়ার সামনে আসা মাহবুবুল আনাম আবার মোহামেডান কর্মকর্তাও। অন্যসব প্রসঙ্গের মতো এখানেও তিনি সভাপতির সঙ্গে সুর মেলালেন।
তাহলে অধিনায়ক ঘোষণায় দেরি কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া একটু কঠিন হলো, কারণ বিশ্বকাপের মাত্র দুই মাস আগেও অধিনায়ক নিয়ে অনিশ্চয়তাকে কোনো ব্যাপারই মনে করছে না বোর্ড! বিসিবি সভাপতি তো দুই দফায় পাল্টা প্রশ্নই করলেন—
বিশ্বকাপের অধিনায়কের ব্যাপারে দেরি হয়ে গেল কি না জানি না, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আগামীকাল খেলা আছে নাকি?
কোন দেশের অধিনায়ক ঠিক হয়েছে আপনারাই বলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক কে? অধিনায়ক দিলে কী কাজটা হবে আমাকে বলেন?
পেছন থেকে মাহবুবুল আনাম উপসংহার টানতে চেয়েছেন, ‘সময় হলেই আমরা অধিনায়ক ঘোষণা করব।’
আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের চূড়ান্ত দল জমা দিতে হবে আইসিসির কাছে। বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, তার আগেই অধিনায়ক ঠিক করা হবে, ‘আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। যথাসময়ে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। আগে আমাদের দল ঠিক করতে হবে। আমাদের হাতে তো এখনো চূড়ান্ত দলই নেই।’ কিন্তু আগে দল পরে অধিনায়ক মানেই তো দল নির্বাচনে অধিনায়কের মতামত না থাকা! এই প্রশ্নের উত্তরে বোর্ড সভাপতি ঠিক কী বলতে চাইলেন বোঝা গেল না, ‘অধিনায়কের মতামত অবশ্যই থাকবে। আগে দল হবে। পরে অধিনায়ক।’
তবে মোস্তফা কামাল যেন এটাও বোঝাতে চাইলেন, বিশ্বকাপের অধিনায়ক নির্বাচন একটু কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘কিছু জায়গা আছে খুব স্পর্শকাতর। সেখানে আবেগ কাজ করবে না, পেশাদার হতে হবে। কেউ এসে বলল, আমার দরকার (অধিনায়কত্ব) নেই। আমি নেব না, এটা ও রকম ব্যাপার না। এটা সিরিয়াস ইস্যু। পুরো জাতি এখানে সম্পৃক্ত। সবাইকে বুঝিয়ে, সবার সমর্থন নিয়ে করা কঠিন কাজ।’ বোর্ড সভাপতির কথা শুনে এমন মনে হওয়াও স্বাভাবিক, বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক হওয়ার মতো খেলোয়াড়ের খুব অভাব, ‘আমাদের অধিনায়ক হওয়ার মতো ও রকম ক্রিকেটার থাকলে এই প্রশ্ন উঠত না। সাকিবকে দিয়ে আমরা এত দিন করিয়েছি, মাশরাফি ছিল না বলেই করিয়েছি।’
অধিনায়ক ‘সংকটের’ কথা বলতে গিয়ে জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড সভাপতি। নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও দলের সার্বিক পারফরম্যান্সকে সন্তোষজনক মানতে রাজি নন তিনি।
‘বোর্ডে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করিনি এখনো। আলোচনা করার কোনো প্রয়োজনই মনে করিনি। যখন প্রয়োজন হবে আলোচনা করব’—কাল পল্টন ময়দানে বিশ্বকাপের রোড শো উদ্বোধন শেষে বলেছেন বিসিবির সভাপতি। বিশ্বকাপের অধিনায়ক নির্বাচনের কাজটা বোর্ডের জন্য স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে কি না—প্রশ্নের জবাবেই কথাটা বললেন তিনি। তাঁর ঠিক পেছনেই দাঁড়ানো বিসিবির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুল আনামও সমর্থনসূচক মাথা নাড়লেন, ‘একদমই না। আমরা জানি আমরা কী করছি...।’ কাল বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্ধারিত সভাটি শুরু হয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিট পরই মুলতবি হয়ে গেছে। তবে সভার আলোচ্যসূচিতে অধিনায়ক প্রসঙ্গটি ছিলই না। মুলতবি সভা হবে ২৭ ডিসেম্বর, সেদিনও নাকি এটা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বকাপের অধিনায়ক প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যে পরিষ্কার মতভেদ আছে। একটা অংশ মনে করে নেতৃত্বভার সাকিবের হাতেই থাকা উচিত। কারণ মাশরাফির অনুপস্থিতিতে সাকিব সফলভাবেই নেতৃত্বভার সামলেছেন। তা ছাড়া ইনজুরিপ্রবণ মাশরাফিকে অধিনায়কত্বের বাড়তি ভার না দেওয়ার বিবেচনাও আছে। আরেকটা পক্ষ আবার মাশরাফিকেই চায়। তাদের চোখে সাকিব ছিলেন ‘আপৎকালীন’ অধিনায়ক।
একটা চাপা গুঞ্জনও আছে। অধিনায়কত্বের প্রশ্ন নাকি ঝুলে আছে আবাহনী-মোহামেডানের অদৃশ্য লড়াইয়ে! ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট অনেকের মুখেই শোনা যায়, বেশির ভাগ পরিচালক সাকিবকে অধিনায়ক করার পক্ষে হলেও বোর্ড সভাপতি আবাহনীর লোক বলে তিনি আবাহনীর খেলোয়াড় মাশরাফিকে অধিনায়ক করতে চান। অভিযোগটা অবশ্য কাল উড়িয়েই দিয়েছেন মোস্তফা কামাল। তাঁর সঙ্গী হয়ে মিডিয়ার সামনে আসা মাহবুবুল আনাম আবার মোহামেডান কর্মকর্তাও। অন্যসব প্রসঙ্গের মতো এখানেও তিনি সভাপতির সঙ্গে সুর মেলালেন।
তাহলে অধিনায়ক ঘোষণায় দেরি কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া একটু কঠিন হলো, কারণ বিশ্বকাপের মাত্র দুই মাস আগেও অধিনায়ক নিয়ে অনিশ্চয়তাকে কোনো ব্যাপারই মনে করছে না বোর্ড! বিসিবি সভাপতি তো দুই দফায় পাল্টা প্রশ্নই করলেন—
বিশ্বকাপের অধিনায়কের ব্যাপারে দেরি হয়ে গেল কি না জানি না, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আগামীকাল খেলা আছে নাকি?
কোন দেশের অধিনায়ক ঠিক হয়েছে আপনারাই বলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক কে? অধিনায়ক দিলে কী কাজটা হবে আমাকে বলেন?
পেছন থেকে মাহবুবুল আনাম উপসংহার টানতে চেয়েছেন, ‘সময় হলেই আমরা অধিনায়ক ঘোষণা করব।’
আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের চূড়ান্ত দল জমা দিতে হবে আইসিসির কাছে। বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, তার আগেই অধিনায়ক ঠিক করা হবে, ‘আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। যথাসময়ে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে। আগে আমাদের দল ঠিক করতে হবে। আমাদের হাতে তো এখনো চূড়ান্ত দলই নেই।’ কিন্তু আগে দল পরে অধিনায়ক মানেই তো দল নির্বাচনে অধিনায়কের মতামত না থাকা! এই প্রশ্নের উত্তরে বোর্ড সভাপতি ঠিক কী বলতে চাইলেন বোঝা গেল না, ‘অধিনায়কের মতামত অবশ্যই থাকবে। আগে দল হবে। পরে অধিনায়ক।’
তবে মোস্তফা কামাল যেন এটাও বোঝাতে চাইলেন, বিশ্বকাপের অধিনায়ক নির্বাচন একটু কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘কিছু জায়গা আছে খুব স্পর্শকাতর। সেখানে আবেগ কাজ করবে না, পেশাদার হতে হবে। কেউ এসে বলল, আমার দরকার (অধিনায়কত্ব) নেই। আমি নেব না, এটা ও রকম ব্যাপার না। এটা সিরিয়াস ইস্যু। পুরো জাতি এখানে সম্পৃক্ত। সবাইকে বুঝিয়ে, সবার সমর্থন নিয়ে করা কঠিন কাজ।’ বোর্ড সভাপতির কথা শুনে এমন মনে হওয়াও স্বাভাবিক, বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক হওয়ার মতো খেলোয়াড়ের খুব অভাব, ‘আমাদের অধিনায়ক হওয়ার মতো ও রকম ক্রিকেটার থাকলে এই প্রশ্ন উঠত না। সাকিবকে দিয়ে আমরা এত দিন করিয়েছি, মাশরাফি ছিল না বলেই করিয়েছি।’
অধিনায়ক ‘সংকটের’ কথা বলতে গিয়ে জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড সভাপতি। নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও দলের সার্বিক পারফরম্যান্সকে সন্তোষজনক মানতে রাজি নন তিনি।
No comments