অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ একজন ‘উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী’ সন্ত্রাসী। মার্কিন কূটনীতির গোপন নথি প্রকাশ করায় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন এসব কথা বলেছেন।
এর আগে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আশঙ্কা করছিলেন, তাঁকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরেও বলা হয়, মার্কিন কৌঁসুলিরা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অবশেষে এ আশঙ্কা সত্যি হতে যাচ্ছে।
এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষপর্যায় থেকে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলো। এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘এই লোকটা (অ্যাসাঞ্জ) সারা বিশ্বে মার্কিনদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মিত্র ও বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক অব্যাহত রাখা দুরূহ করে তুলেছে।’
সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে (৩৯) লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হয়। লন্ডন কারাগার থেকে ১৬ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান অ্যাসাঞ্জ। তিনি বর্তমানে পূর্ব লন্ডনে এক বন্ধুর বাড়িতে আছেন। ওই বাড়িতেই তাঁকে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মুক্তির এক দিন পর ওই বাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ঝুঁকি, যে ঝুঁকিটা নিয়ে আমরা সব সময় উদ্বিগ্ন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হতে পারে। এই ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি এবং দিনে দিনে তা বাড়ছে।’
তাঁর বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বরাবরই ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন অ্যাসাঞ্জ।
মার্কিন কূটনীতিকদের হাজার হাজার গোপন নথি প্রকাশ করে এরই মধ্যে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে উইকিলিকস। এতে অ্যাসাঞ্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোপানলে পড়েন। তাঁকে এসব গোপন নথি প্রকাশে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন। অ্যাসাঞ্জের এক কথা, জেল-ফাঁসি যা-ই হোক, সত্য তথ্য বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। এ কাজে পিছপা হবেন না তিনি। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করে যাবেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জকে রুখতে এবার কৌশল পাল্টাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের গবেষকদের বরাত দিয়ে এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গুপ্তচরবৃত্তি অথবা এ রকম অন্য কোনো আইনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচার করা হতে পারে।’
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
এর আগে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আশঙ্কা করছিলেন, তাঁকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরেও বলা হয়, মার্কিন কৌঁসুলিরা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অবশেষে এ আশঙ্কা সত্যি হতে যাচ্ছে।
এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষপর্যায় থেকে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলো। এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘এই লোকটা (অ্যাসাঞ্জ) সারা বিশ্বে মার্কিনদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মিত্র ও বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক অব্যাহত রাখা দুরূহ করে তুলেছে।’
সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে (৩৯) লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হয়। লন্ডন কারাগার থেকে ১৬ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান অ্যাসাঞ্জ। তিনি বর্তমানে পূর্ব লন্ডনে এক বন্ধুর বাড়িতে আছেন। ওই বাড়িতেই তাঁকে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মুক্তির এক দিন পর ওই বাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ঝুঁকি, যে ঝুঁকিটা নিয়ে আমরা সব সময় উদ্বিগ্ন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হতে পারে। এই ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি এবং দিনে দিনে তা বাড়ছে।’
তাঁর বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বরাবরই ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন অ্যাসাঞ্জ।
মার্কিন কূটনীতিকদের হাজার হাজার গোপন নথি প্রকাশ করে এরই মধ্যে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে উইকিলিকস। এতে অ্যাসাঞ্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোপানলে পড়েন। তাঁকে এসব গোপন নথি প্রকাশে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন। অ্যাসাঞ্জের এক কথা, জেল-ফাঁসি যা-ই হোক, সত্য তথ্য বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। এ কাজে পিছপা হবেন না তিনি। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করে যাবেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জকে রুখতে এবার কৌশল পাল্টাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের গবেষকদের বরাত দিয়ে এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গুপ্তচরবৃত্তি অথবা এ রকম অন্য কোনো আইনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচার করা হতে পারে।’
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
No comments