ভারত ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ করতে কাজ চলছে
ভারত ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। তবে কবে নাগাদ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, সে সম্পর্কে মন্ত্রী বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়, এমন কিছুই এফটিএতে থাকবে না। এ জন্যই চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হতে কিছুটা সময় লাগছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি দেশের সঙ্গে এই এফটিএ করা বাংলাদেশের জন্য কতটা ফলপ্রসূ হবে, বর্তমানে তার খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ চুক্তি থেকে কীভাবে এবং কতটুকু সুবিধা পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত হচ্ছি আমরা।’
যেকোনো দুই দেশের মধ্যে এফটিএ থাকলে নিজেদের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা ভোগ করা যায়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আলোচনা চললেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে পারেনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নীতিনির্ধারক মহল এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়।
এফটিএ আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী এম এ তসলিমকে প্রধান করে গত বছর ১২ সদস্যের একটি কোর গ্রুপ গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
কমিটি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে হলে সে দেশের পণ্য ও সেবাভিত্তিক বাণিজ্যিক খাতের অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে হবে। সুপারিশে ভারত, মালয়েশিয়া ও নেপালের সঙ্গে পৃথক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো পণ্য রপ্তানির প্রবেশাধিকার বাড়িয়ে বাণিজ্য-ঘাটতি কমিয়ে আনা। উল্লিখিত দুই দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সংকলিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে সে দেশে ৩২ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-ঘাটতি ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
একই অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে ১২২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে মাত্র সাত কোটি ডলারের পণ্য রপ্তাানি করেছে। ফলে এ দেশটির সঙ্গেও পণ্যবাণিজ্যের ঘাটতি ১০০ কোটি ডলারের ওপর চলে গেছে
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশের স্বার্থ লঙ্ঘিত হয়, এমন কিছুই এফটিএতে থাকবে না। এ জন্যই চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হতে কিছুটা সময় লাগছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি দেশের সঙ্গে এই এফটিএ করা বাংলাদেশের জন্য কতটা ফলপ্রসূ হবে, বর্তমানে তার খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ চুক্তি থেকে কীভাবে এবং কতটুকু সুবিধা পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত হচ্ছি আমরা।’
যেকোনো দুই দেশের মধ্যে এফটিএ থাকলে নিজেদের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা ভোগ করা যায়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আলোচনা চললেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে পারেনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নীতিনির্ধারক মহল এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়।
এফটিএ আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী এম এ তসলিমকে প্রধান করে গত বছর ১২ সদস্যের একটি কোর গ্রুপ গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
কমিটি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের সঙ্গে এফটিএ করতে হলে সে দেশের পণ্য ও সেবাভিত্তিক বাণিজ্যিক খাতের অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে হবে। সুপারিশে ভারত, মালয়েশিয়া ও নেপালের সঙ্গে পৃথক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো পণ্য রপ্তানির প্রবেশাধিকার বাড়িয়ে বাণিজ্য-ঘাটতি কমিয়ে আনা। উল্লিখিত দুই দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সংকলিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে সে দেশে ৩২ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-ঘাটতি ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
একই অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে ১২২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে মাত্র সাত কোটি ডলারের পণ্য রপ্তাানি করেছে। ফলে এ দেশটির সঙ্গেও পণ্যবাণিজ্যের ঘাটতি ১০০ কোটি ডলারের ওপর চলে গেছে
No comments