সমর্থক নাম্বার ওয়ান
সাকিব আল হাসানকে একটা অনুরোধ করেছেন তিনি। সিরিজ চলার সময় হোটেলে বাংলাদেশ দলের আশপাশে একটা রুম ভাড়া নিয়ে রাখতে বলেছেন। বাংলাদেশ দলের কাছাকাছি থাকতে চান। এমন ‘আবদারের’ পক্ষে ভদ্রলোকের একটা যুক্তিও আছে, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আমি বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার। তাই আমার দলের কাছেই থাকা উচিত না?’
কে এই ‘নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার’? নাম তাঁর তামিম ইকবাল খান! হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দলের সমর্থক হয়েই থাকতে হচ্ছে তামিমকে। বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার অভিষেকের পর এই প্রথমবারের মতো দলের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে গত কিছুদিন দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানকে।
সমর্থক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকার জন্য প্রস্তুতির শেষ নেই তামিমের। মজা করে হোটেলে থাকার কথা তো বললেনই। সঙ্গে বলে দিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচ মাঠে বসে দেখব। গায়ে থাকবে জাতীয় দলের জার্সি। ম্যাচের আগে-পরে দেখতে পাবেন, ব্যাট হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি দলে নেই, কেউ বুঝতেই পারবে না। হা হা হা।’
হেসে কি কষ্ট উড়িয়ে দিতে চাইছেন? হয়তো তাই। কিন্তু হাসিতেও কি আর কষ্ট চাপা পড়ে? পরের কথাটিই শোনাল হাহাকারের মতো, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর ৮৫টি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। হয়তো অভিষেকের পর থেকে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটাও করে ফেলতে পারতাম। ইনজুরির কারণে হলো না।’
নিজেই যেন নিজেকে সান্ত্বনা দিলেন এরপর, ‘আসলে একটা সিরিজের বিনিময়ে ক্যারিয়ারটা আরেকটা লম্বা করার চেষ্টায় আছি। এই চোটটা সঙ্গে থাকলে হয়তো একসময় সেটা আমার ব্যাটিংয়েই প্রভাব ফেলত। এর চেয়ে একটা সিরিজ মিস করা ভালো না?’
তা তো ভালোই। কিন্তু তামিমের সতীর্থরা যে তাঁর অভাবটা ভুলতে পারছে না। যা শুনে তামিম বলছেন, ‘শুধু আমার কেন, যেকোনো ইনফর্ম খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি দলের জন্য ক্ষতিকর। কিছু রান করতে পারলে তো দলেরই উপকার হয়।’
তবে তামিমের আশা, তাঁর অভাব ভুলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এই বাংলাদেশ দলের আছে। বিশেষ করে তাঁর জায়গায় দলে আসা শাহরিয়ার নাফীসের ওপর দারুণ ভরসা, ‘আমাদের এই দলটা এখন আর একজনের ওপর নির্ভর করে না। শাহরিয়ার নাফীস কী পারে, সেটা সবাই জানে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সে এই সিরিজে দুর্দান্ত কিছু করে দেখাবে।’
শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাটসম্যান সম্পর্কে উচ্চাশা জানিয়েই তামিম তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তা শেষ করলেন না। ব্যতিক্রমী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে অনুমান করতে গিয়েও, ‘বিশ্বাস করুন, বাংলাদেশের এই সিরিজটা জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে। অন্তত ২টি ম্যাচ তো আমরা জিতবই, বেশিও জিততে পারি।’
কে বলে, তামিমের হাতে ব্যাট নেই!
কে এই ‘নাম্বার ওয়ান সাপোর্টার’? নাম তাঁর তামিম ইকবাল খান! হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দলের সমর্থক হয়েই থাকতে হচ্ছে তামিমকে। বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার অভিষেকের পর এই প্রথমবারের মতো দলের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে গত কিছুদিন দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানকে।
সমর্থক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকার জন্য প্রস্তুতির শেষ নেই তামিমের। মজা করে হোটেলে থাকার কথা তো বললেনই। সঙ্গে বলে দিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচ মাঠে বসে দেখব। গায়ে থাকবে জাতীয় দলের জার্সি। ম্যাচের আগে-পরে দেখতে পাবেন, ব্যাট হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি দলে নেই, কেউ বুঝতেই পারবে না। হা হা হা।’
হেসে কি কষ্ট উড়িয়ে দিতে চাইছেন? হয়তো তাই। কিন্তু হাসিতেও কি আর কষ্ট চাপা পড়ে? পরের কথাটিই শোনাল হাহাকারের মতো, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর ৮৫টি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। হয়তো অভিষেকের পর থেকে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটাও করে ফেলতে পারতাম। ইনজুরির কারণে হলো না।’
নিজেই যেন নিজেকে সান্ত্বনা দিলেন এরপর, ‘আসলে একটা সিরিজের বিনিময়ে ক্যারিয়ারটা আরেকটা লম্বা করার চেষ্টায় আছি। এই চোটটা সঙ্গে থাকলে হয়তো একসময় সেটা আমার ব্যাটিংয়েই প্রভাব ফেলত। এর চেয়ে একটা সিরিজ মিস করা ভালো না?’
তা তো ভালোই। কিন্তু তামিমের সতীর্থরা যে তাঁর অভাবটা ভুলতে পারছে না। যা শুনে তামিম বলছেন, ‘শুধু আমার কেন, যেকোনো ইনফর্ম খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি দলের জন্য ক্ষতিকর। কিছু রান করতে পারলে তো দলেরই উপকার হয়।’
তবে তামিমের আশা, তাঁর অভাব ভুলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এই বাংলাদেশ দলের আছে। বিশেষ করে তাঁর জায়গায় দলে আসা শাহরিয়ার নাফীসের ওপর দারুণ ভরসা, ‘আমাদের এই দলটা এখন আর একজনের ওপর নির্ভর করে না। শাহরিয়ার নাফীস কী পারে, সেটা সবাই জানে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সে এই সিরিজে দুর্দান্ত কিছু করে দেখাবে।’
শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাটসম্যান সম্পর্কে উচ্চাশা জানিয়েই তামিম তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তা শেষ করলেন না। ব্যতিক্রমী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে অনুমান করতে গিয়েও, ‘বিশ্বাস করুন, বাংলাদেশের এই সিরিজটা জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে। অন্তত ২টি ম্যাচ তো আমরা জিতবই, বেশিও জিততে পারি।’
কে বলে, তামিমের হাতে ব্যাট নেই!
No comments