পাবনার ডিসি-এসপি প্রত্যাহার -এই পদক্ষেপ জনপ্রশাসনে কী বার্তা পৌঁছাবে
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের পরীক্ষার হলে হামলা ও ভাঙচুরের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মুখোমুখি অবস্থান যে পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে সন্ত্রাসী ঘটনার পরপরই সরকার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যেত। বিলম্বে হলেও প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করায় ধারণা করা গিয়েছিল, পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সেখানে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের সফরের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাবনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হলো। এর আগেই অবশ্য সদর উপজেলার ইউএনওকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। আরও অনেককে সরিয়ে দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপ জনপ্রশাসনের কাছে কী বার্তা পৌঁছে দেয়? সরকারি চাকরিতে বদলি স্বাভাবিক ঘটনা হলেও একসঙ্গে দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার স্বাভাবিক নয়। পুলিশ সুপার মাত্র আট মাস আগে সেখানে বদলি হয়েছিলেন। কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়িত্বে অবহেলা বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ীই সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ থাকা উচিত।
গত কয়েক দিনে পাবনায় যে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য প্রশাসন কতটা দায়ী? ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বদলির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন। সে সম্পর্কে সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা কিছু বলেননি। তবে নাগরিক সমাজের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা আহ্বান আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁদের করারই বা কী ছিল? আচরণবিধিটি আক্ষরিক অর্থে না দেখে একজন অভিজ্ঞ সাবেক আমলা হিসেবে উপদেষ্টা সেখানকার কর্মকর্তারা কী পরিস্থিতিতে কাজটি করেছেন, তা আমলে নিতে পারতেন। সরকারি কর্মকর্তাদের অবশ্যই সরকারি আইনকানুন মেনে কাজ করতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্তের পরই ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু তার আগেই সরকার তাঁদের সরিয়ে দেওয়ায় সারা দেশেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তটস্থ থাকবেন। ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাবেন। সে ধরনের পরিস্থিতি কি আইনের শাসনের সহায়ক হবে?
জনপ্রশাসন চলবে আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। পাবনায় সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। এটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দলীয় সন্ত্রাস দমনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু আক্রমণকারী ও আক্রান্তের প্রতি সরকারের সম-দৃষ্টিভঙ্গি কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিরোধের কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি এভাবে বদলি বা হয়রানির শিকার হন, তাহলে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে বাধ্য।
গত কয়েক দিনে পাবনায় যে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য প্রশাসন কতটা দায়ী? ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বদলির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন। সে সম্পর্কে সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা কিছু বলেননি। তবে নাগরিক সমাজের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা আহ্বান আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁদের করারই বা কী ছিল? আচরণবিধিটি আক্ষরিক অর্থে না দেখে একজন অভিজ্ঞ সাবেক আমলা হিসেবে উপদেষ্টা সেখানকার কর্মকর্তারা কী পরিস্থিতিতে কাজটি করেছেন, তা আমলে নিতে পারতেন। সরকারি কর্মকর্তাদের অবশ্যই সরকারি আইনকানুন মেনে কাজ করতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্তের পরই ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু তার আগেই সরকার তাঁদের সরিয়ে দেওয়ায় সারা দেশেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তটস্থ থাকবেন। ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাবেন। সে ধরনের পরিস্থিতি কি আইনের শাসনের সহায়ক হবে?
জনপ্রশাসন চলবে আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। পাবনায় সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। এটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দলীয় সন্ত্রাস দমনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু আক্রমণকারী ও আক্রান্তের প্রতি সরকারের সম-দৃষ্টিভঙ্গি কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিরোধের কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা যদি এভাবে বদলি বা হয়রানির শিকার হন, তাহলে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে বাধ্য।
No comments