ভারতের ভবিষ্যৎ কোচ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও এখনো পুরোপুরি ছাড়েননি ক্রিকেট। আইপিএল খেলছেন, মাঝেমধ্যে ধারাভাষ্য-কক্ষে বসছেন, পত্রিকায়-টিভিতে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মতামতও। ভবিষ্যতে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কটাকে আরও পাকাপোক্ত করতে চান সৌরভ গাঙ্গুলী। সাবেক অধিনায়ক হতে চান ভারতের কোচ! চমকে ওঠার কারণ নেই, সাবেক সতীর্থদের এখনই কোচিং করানোর ইচ্ছা নেই সৌরভের। কোচ হতে চান ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে।
ভারত যে এখন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, এর প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল সৌরভের সময় থেকেই। ভারতীয় দলটায় খুনে মানসিকতা জন্ম দেওয়ার কৃতিত্ব অনেকটাই তাঁর। ভারতকে সবচেয়ে বেশি ৪৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন সবচেয়ে বেশি ২১ টেস্ট। জয়ের হারেও ভারতে তাঁর ধারেকাছে নেই কেউ। তাঁর আবেগের অনেকটুকু জুড়েই আছে এই দল। খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে আবেগের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন দলের জন্য। এবার দিতে চান অন্য ভূমিকায়ও, ‘কোচ তো হতেই চাই, তবে খুব শিগগির নয়। জীবনের কোনো একটা পর্যায়ে অবশ্যই চাই। কারণ, দলকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করাটা বাড়তি একটা সন্তুষ্টির ব্যাপার। খেলাটায় আরও অনেক সহজ কাজই আছে, যেমন লেখা, ধারাভাষ্য দেওয়া। কিন্তু কোচিং করানো অনেক কঠিন। পাদপ্রদীপের আলোটা এখানে ঠিক থাকে না, একটি-দুটি জয় বা হারই ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তবু আমি কোচই হতে চাই। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত থাকতে পারাটাই বিশাল সম্মানের।’
কোচিং প্রসঙ্গ যখন উঠেছে, এসেছে গ্রেগ চ্যাপেলের কথাও। ভারতের সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচের সঙ্গে সৌরভের ‘শীতলযুদ্ধ’ তোলপাড় তুলেছিল ক্রিকেট বিশ্বে। সত্যি কোচিংয়ে এলে চ্যাপেল করেছিলেন এমন কোন পাঁচটি কাজ করবেন না সৌরভ? ‘দাদা’র দুষ্টুমিভরা তাৎক্ষণিক উত্তরেও যেন বেরিয়ে এল চ্যাপেল-জমানার ক্ষোভ, ‘সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বেশি মাখামাখি থাকবে না, খেলোয়াড়দের প্রতি সৎ থাকব, নিজের চিন্তাভাবনা সংবাদমাধ্যমের আশ্রয়ে প্রকাশ করব না; খেলোয়াড়দের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। কারণ, ফলাফল ওরাই এনে দেবে, যেটা গ্যারি কারস্টেনও খুব ভালো করছেন। খেলোয়াড়দের বিশ্বাস অর্জন করব, পর্দার আড়ালে থাকব, অধিনায়কই সব সময় দলের আসল নেতা, দলটা সে-ই চালায়।’
সৌরভ যখন কোচ হবেন, সেই দলে শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। টেন্ডুলকার কোথায় থামবেন, বলা মুশকিল। তবে একটা পর্যায়ে থামতে তো হবেই। শেষের ডাক শুনতে পাচ্ছেন বাকি দুজনও। তিন মহারথীর শূন্যতা পূরণের গভীরতা কি ভারতের আছে? সৌরভ কিন্তু দারুণ আশাবাদী, ‘হয়তো অনেক ‘‘গাঙ্গুলি’’ পাওয়া যাবে, “দ্রাবিড়’’ আরেকটু কম পাওয়া যাবে, ‘‘টেন্ডুলকার’’ খুব একটা পাওয়াই যাবে না। কিন্তু ভারতে প্রতিভার ঘাটতি নেই। সুনীল গাভাস্কারের অবসরের পর কেউ কি ভাবতে পেরেছিল টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়রা এসে তাঁর অভাব পূরণ করবেন? টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়ের মতো কেউ নেই, তবে আমি বলতে পারি, কারা দীর্ঘসময় খেলতে পারে। সুরেশ রায়না পারে, চেতেশ্বর পূজারাও পারে। দুজনেরই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’
সৌরভের ‘জহুরি’ চোখের কল্যাণেই ভারত আজ পেয়েছে একজন শেবাগ, যুবরাজ, হরভজন, জহির খানকে। সেই সৌরভ যখন বলেছেন, চোখ রাখুন রায়না ও পূজারার ওপর।
ভারত যে এখন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, এর প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল সৌরভের সময় থেকেই। ভারতীয় দলটায় খুনে মানসিকতা জন্ম দেওয়ার কৃতিত্ব অনেকটাই তাঁর। ভারতকে সবচেয়ে বেশি ৪৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন সবচেয়ে বেশি ২১ টেস্ট। জয়ের হারেও ভারতে তাঁর ধারেকাছে নেই কেউ। তাঁর আবেগের অনেকটুকু জুড়েই আছে এই দল। খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে আবেগের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন দলের জন্য। এবার দিতে চান অন্য ভূমিকায়ও, ‘কোচ তো হতেই চাই, তবে খুব শিগগির নয়। জীবনের কোনো একটা পর্যায়ে অবশ্যই চাই। কারণ, দলকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করাটা বাড়তি একটা সন্তুষ্টির ব্যাপার। খেলাটায় আরও অনেক সহজ কাজই আছে, যেমন লেখা, ধারাভাষ্য দেওয়া। কিন্তু কোচিং করানো অনেক কঠিন। পাদপ্রদীপের আলোটা এখানে ঠিক থাকে না, একটি-দুটি জয় বা হারই ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তবু আমি কোচই হতে চাই। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত থাকতে পারাটাই বিশাল সম্মানের।’
কোচিং প্রসঙ্গ যখন উঠেছে, এসেছে গ্রেগ চ্যাপেলের কথাও। ভারতের সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচের সঙ্গে সৌরভের ‘শীতলযুদ্ধ’ তোলপাড় তুলেছিল ক্রিকেট বিশ্বে। সত্যি কোচিংয়ে এলে চ্যাপেল করেছিলেন এমন কোন পাঁচটি কাজ করবেন না সৌরভ? ‘দাদা’র দুষ্টুমিভরা তাৎক্ষণিক উত্তরেও যেন বেরিয়ে এল চ্যাপেল-জমানার ক্ষোভ, ‘সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বেশি মাখামাখি থাকবে না, খেলোয়াড়দের প্রতি সৎ থাকব, নিজের চিন্তাভাবনা সংবাদমাধ্যমের আশ্রয়ে প্রকাশ করব না; খেলোয়াড়দের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। কারণ, ফলাফল ওরাই এনে দেবে, যেটা গ্যারি কারস্টেনও খুব ভালো করছেন। খেলোয়াড়দের বিশ্বাস অর্জন করব, পর্দার আড়ালে থাকব, অধিনায়কই সব সময় দলের আসল নেতা, দলটা সে-ই চালায়।’
সৌরভ যখন কোচ হবেন, সেই দলে শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। টেন্ডুলকার কোথায় থামবেন, বলা মুশকিল। তবে একটা পর্যায়ে থামতে তো হবেই। শেষের ডাক শুনতে পাচ্ছেন বাকি দুজনও। তিন মহারথীর শূন্যতা পূরণের গভীরতা কি ভারতের আছে? সৌরভ কিন্তু দারুণ আশাবাদী, ‘হয়তো অনেক ‘‘গাঙ্গুলি’’ পাওয়া যাবে, “দ্রাবিড়’’ আরেকটু কম পাওয়া যাবে, ‘‘টেন্ডুলকার’’ খুব একটা পাওয়াই যাবে না। কিন্তু ভারতে প্রতিভার ঘাটতি নেই। সুনীল গাভাস্কারের অবসরের পর কেউ কি ভাবতে পেরেছিল টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়রা এসে তাঁর অভাব পূরণ করবেন? টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়ের মতো কেউ নেই, তবে আমি বলতে পারি, কারা দীর্ঘসময় খেলতে পারে। সুরেশ রায়না পারে, চেতেশ্বর পূজারাও পারে। দুজনেরই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’
সৌরভের ‘জহুরি’ চোখের কল্যাণেই ভারত আজ পেয়েছে একজন শেবাগ, যুবরাজ, হরভজন, জহির খানকে। সেই সৌরভ যখন বলেছেন, চোখ রাখুন রায়না ও পূজারার ওপর।
No comments