সর্বোচ্চ সংযম দেখানো হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত তিন মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শিশুসহ শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। তবে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, সহিংস বিক্ষোভের সময় তারা ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখিয়েছে।
গত জুন মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৭ বছরের এক ছাত্র নিহত হওয়ার পর নতুন করে ফুঁসে ওঠে কাশ্মীর। এর পর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০৫ জন নিহত হয়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
কাশ্মীরে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত মাসে পুলিশপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘অহিংস পন্থায় গণবিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মপন্থা সংশোধন করা প্রয়োজন।’
অন্য দেশে বড় বড় মিছিল-সমাবেশে বিক্ষুব্ধ লোকজনের ওপর হামলা না করে তাদের শান্ত করতে পুলিশ কী ধরনের পদ্ধতি কাজে লাগায়, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সব দেশের পুলিশের কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ জমা দিতে বলেন তিনি।
কাশ্মীরে গত তিন মাসে নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ মারা গেছে পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীর সরাসরি গুলিতে। আর বেশির ভাগই আহত হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং রাবার বুলেটে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া শাখার পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, বিক্ষোভ একটি পর্যায়ে সহিংস হয়ে ওঠে কিন্তু এর পরও নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা মেনেই কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের ওপর বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
কাশ্মীরে গত তিন মাসে বিক্ষোভের সময় পুলিশ বা সেনাসদস্যদের গুলিতে নিহতদের বেশির ভাগই কিশোর ও শিশু।
তবে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) মুখপাত্র প্রভাকর ত্রিপাঠি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছি।’
প্রভাকর ত্রিপাঠি বলেন, ‘সহিংস বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এবং হতাহতের সংখ্যা কমাতে আমরা এমনকিছু অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছি, যাতে তেমন ক্ষতি হয় না।’
গত ১১ জুন শ্রীনগরে বিক্ষোভের সময় ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনার জেরে কাশ্মীরে নতুন করে এই সহিংসতার শুরু হয়। ওই ছাত্র নিহত হয়েছিল পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে। শটগানের ছোট গুলিও মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গতকাল রোববারও বিক্ষোভকারী তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার এবং এর আগে কাশ্মীরের পৃথক তিনটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংষর্ষে আহত হয়েছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তাঁরা মারা গেছেন।
রাজধানী শ্রীনগরের আশপাশের এলাকা গতকাল পুলিশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে লাউড স্পিকারে ঘোষণা দেয়, কেউ কারফিউ ভঙ্গ করলে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
শ্রীনগরের প্রধান হাসপাতালে অনেকে রোগীদের জন্য ওষুধ ও পানি আনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত জুন মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৭ বছরের এক ছাত্র নিহত হওয়ার পর নতুন করে ফুঁসে ওঠে কাশ্মীর। এর পর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০৫ জন নিহত হয়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
কাশ্মীরে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত মাসে পুলিশপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘অহিংস পন্থায় গণবিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মপন্থা সংশোধন করা প্রয়োজন।’
অন্য দেশে বড় বড় মিছিল-সমাবেশে বিক্ষুব্ধ লোকজনের ওপর হামলা না করে তাদের শান্ত করতে পুলিশ কী ধরনের পদ্ধতি কাজে লাগায়, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সব দেশের পুলিশের কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ জমা দিতে বলেন তিনি।
কাশ্মীরে গত তিন মাসে নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ মারা গেছে পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীর সরাসরি গুলিতে। আর বেশির ভাগই আহত হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং রাবার বুলেটে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া শাখার পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, বিক্ষোভ একটি পর্যায়ে সহিংস হয়ে ওঠে কিন্তু এর পরও নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা মেনেই কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের ওপর বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
কাশ্মীরে গত তিন মাসে বিক্ষোভের সময় পুলিশ বা সেনাসদস্যদের গুলিতে নিহতদের বেশির ভাগই কিশোর ও শিশু।
তবে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) মুখপাত্র প্রভাকর ত্রিপাঠি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়েছি।’
প্রভাকর ত্রিপাঠি বলেন, ‘সহিংস বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এবং হতাহতের সংখ্যা কমাতে আমরা এমনকিছু অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছি, যাতে তেমন ক্ষতি হয় না।’
গত ১১ জুন শ্রীনগরে বিক্ষোভের সময় ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনার জেরে কাশ্মীরে নতুন করে এই সহিংসতার শুরু হয়। ওই ছাত্র নিহত হয়েছিল পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে। শটগানের ছোট গুলিও মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গতকাল রোববারও বিক্ষোভকারী তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার এবং এর আগে কাশ্মীরের পৃথক তিনটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংষর্ষে আহত হয়েছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তাঁরা মারা গেছেন।
রাজধানী শ্রীনগরের আশপাশের এলাকা গতকাল পুলিশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে লাউড স্পিকারে ঘোষণা দেয়, কেউ কারফিউ ভঙ্গ করলে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
শ্রীনগরের প্রধান হাসপাতালে অনেকে রোগীদের জন্য ওষুধ ও পানি আনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
No comments