পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বার্লিনে বিক্ষোভ
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের একাংশ |
দেশের পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো আগামী এক দশক বা আরও বেশি দিন সচল রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জার্মানির হাজার হাজার মানুষ শনিবার বিক্ষোভ করেছে। রাজধানী বার্লিনে এ বিক্ষোভের সময় চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়। তারা পার্লামেন্টের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীরা পরমাণু প্রযুক্তিবিরোধী ব্যানার বহন করে। কর্মসূচির আয়োজকদের দাবি, এক লাখ মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু চুল্লিতে দুর্ঘটনার পর এ ধরনের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি। তবে জার্মানির পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভ-কারীদের সংখ্যা ৩৭ হাজারের কাছাকাছি ছিল।
জার্মান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির ১৭টি পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জীবনকাল আগের সময়সূচির চেয়ে গড়ে ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। সে অনুযায়ী সর্বশেষ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে ২০৪০ সাল লেগে যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভকারীদের জড়ো করতে বিশেষ ট্রেন ও দেড় শটি বাস ভাড়া করা হয়। জার্মানিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ নতুন না হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এত সক্রিয় বিরোধিতা এর আগে দেখা যায়নি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, ‘আমরা প্রতারিত হয়েছি। পরমাণু বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে এবং আমরা এখনো জানি না, এগুলো দিয়ে কী করা হবে। কোম্পানিগুলোর সামনে নতজানু হয়ে পড়েছে সরকার।’
আয়োজকেরা জানান, উৎপাদন প্রক্রিয়ার শেষে যে বর্জ্য জমা হয়, তা থেকে দূষণ এবং উৎপাদনকেন্দ্রগুলোতে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহতাকে স্মরণ করিয়ে দিতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল থেকেই লোকজন এই সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করে। তারা পার্লামেন্ট এবং চ্যান্সেলর ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পার্লেও সেখানকার একটি পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে হাজারখানেক মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ নাগরিক এই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
বিরোধী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও পরিবেশবাদী গ্রিন দলের নেতারা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিকল্প নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা পরমাণু প্রযুক্তিবিরোধী ব্যানার বহন করে। কর্মসূচির আয়োজকদের দাবি, এক লাখ মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু চুল্লিতে দুর্ঘটনার পর এ ধরনের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি। তবে জার্মানির পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভ-কারীদের সংখ্যা ৩৭ হাজারের কাছাকাছি ছিল।
জার্মান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির ১৭টি পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জীবনকাল আগের সময়সূচির চেয়ে গড়ে ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। সে অনুযায়ী সর্বশেষ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে ২০৪০ সাল লেগে যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভকারীদের জড়ো করতে বিশেষ ট্রেন ও দেড় শটি বাস ভাড়া করা হয়। জার্মানিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ নতুন না হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এত সক্রিয় বিরোধিতা এর আগে দেখা যায়নি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, ‘আমরা প্রতারিত হয়েছি। পরমাণু বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে এবং আমরা এখনো জানি না, এগুলো দিয়ে কী করা হবে। কোম্পানিগুলোর সামনে নতজানু হয়ে পড়েছে সরকার।’
আয়োজকেরা জানান, উৎপাদন প্রক্রিয়ার শেষে যে বর্জ্য জমা হয়, তা থেকে দূষণ এবং উৎপাদনকেন্দ্রগুলোতে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহতাকে স্মরণ করিয়ে দিতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল থেকেই লোকজন এই সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করে। তারা পার্লামেন্ট এবং চ্যান্সেলর ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পার্লেও সেখানকার একটি পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে হাজারখানেক মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ নাগরিক এই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
বিরোধী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও পরিবেশবাদী গ্রিন দলের নেতারা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিকল্প নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
No comments