সীমান্তে অস্ত্র মজুদ বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া: সিউল
অর্থনৈতিক দুরবস্থা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত বরাবর অস্ত্র মজুদ বাড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, সুরক্ষিত সীমান্ত বরাবর আরও ২০০ বহুমুখী রকেট লঞ্চার বসিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
২৪০ মিলিমিটারের এই রকেট লঞ্চার প্রতি ৩৫ মিনিটে সর্বোচ্চ ২২টি রকেট ছুড়তে পারে এবং তা ৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। ফলে ওই রকেটের আওতার মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে এটি একটি উদ্বেগের বিষয়।
কমিউনিস্ট শাসিত দেশ উত্তর কোরিয়ার এ হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন সেনারা সেখানে আছে। অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে আরও দুই হাজার ১০০ কামান ও ৩০০ ট্যাংক মোতায়েন করেছে। উত্তর কোরিয়ার কাছে বর্তমানে ১০ হাজার ৫০০ কামান ও চার হাজার ২০০ ট্যাংক আছে।
দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার কাছে আট হাজার ৫০০ কামান ও তিন হাজার ৯০০ ট্যাংক আছে।
ওই সূত্র দাবি করে, নাজুক অর্থনীতি ও খাদ্যঘাটতি সত্ত্বেও সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধির ফলে এটাই প্রমাণিত হয় যে উত্তর কোরিয়ার সামরিক উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের সেনাবাহিনীর আকারও বিশাল। সেনাসদস্যের সংখ্যা ১২ লাখ, যা বিশ্বের অন্যতম বড় সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়া গত মার্চে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধজাহাজে হামলা এবং ৪৬ সেনাকে হত্যার অভিযোগ করার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তর কোরিয়া ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়তে থাকে।
উত্তেজনা প্রশমনে নিজেদের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দুই কোরিয়া। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে শিগগির। আলেচানার প্রস্তাব দিয়েছে পিয়ংইয়ং। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় নিতে চাচ্ছে সিউল। তবে গতকাল রোববার সিউলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর এ আলোচনা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচ্যসূচির মধ্যে আমাদের জাহাজে হামলা এবং পীতসাগর উপকূলের উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ও থাকতে হবে।
২৪০ মিলিমিটারের এই রকেট লঞ্চার প্রতি ৩৫ মিনিটে সর্বোচ্চ ২২টি রকেট ছুড়তে পারে এবং তা ৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। ফলে ওই রকেটের আওতার মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে এটি একটি উদ্বেগের বিষয়।
কমিউনিস্ট শাসিত দেশ উত্তর কোরিয়ার এ হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন সেনারা সেখানে আছে। অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে আরও দুই হাজার ১০০ কামান ও ৩০০ ট্যাংক মোতায়েন করেছে। উত্তর কোরিয়ার কাছে বর্তমানে ১০ হাজার ৫০০ কামান ও চার হাজার ২০০ ট্যাংক আছে।
দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার কাছে আট হাজার ৫০০ কামান ও তিন হাজার ৯০০ ট্যাংক আছে।
ওই সূত্র দাবি করে, নাজুক অর্থনীতি ও খাদ্যঘাটতি সত্ত্বেও সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধির ফলে এটাই প্রমাণিত হয় যে উত্তর কোরিয়ার সামরিক উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়া তাদের সেনাবাহিনীর আকারও বিশাল। সেনাসদস্যের সংখ্যা ১২ লাখ, যা বিশ্বের অন্যতম বড় সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়া গত মার্চে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধজাহাজে হামলা এবং ৪৬ সেনাকে হত্যার অভিযোগ করার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তর কোরিয়া ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়তে থাকে।
উত্তেজনা প্রশমনে নিজেদের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দুই কোরিয়া। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে শিগগির। আলেচানার প্রস্তাব দিয়েছে পিয়ংইয়ং। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় নিতে চাচ্ছে সিউল। তবে গতকাল রোববার সিউলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর এ আলোচনা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচ্যসূচির মধ্যে আমাদের জাহাজে হামলা এবং পীতসাগর উপকূলের উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ও থাকতে হবে।
No comments