সিউলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি পিয়ংইয়ংয়ের
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্তে চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি তারা দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করারও হুমকি দিয়েছে। গতকাল বুধবার সিউলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগসংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে পিয়ংইয়ং। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রণতরীডুবির ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক তদন্তে দেখা গেছে, ২৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার একটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চেওনান নামের যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে। এতে জাহাজের ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই কোরিয়ার সমুদ্র চলাচল এবং রেডক্রস কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগসংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে এখনো দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগসংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। উত্তর কোরীয় অংশে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে স্থাপিত যৌথ শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে ওই সংযোগ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হয়। ওই শিল্পাঞ্চল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকেও বহিষ্কার করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পিসফুল রিইউনিফিকেশন অব কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় কমিটি হুমকি দিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করবে।
এ ছাড়া সীমান্তে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। মূলত ওই শিল্পাঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এটা। আর দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব প্রচারযন্ত্র সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালাবে, সেগুলোও ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে তারা। ছয় বছর আগে দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সীমান্তে স্থাপিত লাউড স্পিকারগুলো বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু সম্প্রতি এক বেতার বার্তায় সেগুলো আবার চালু করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরীয় কিছু ট্যাংককে সীমান্তের কাছে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল সিউলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বেইজিংয়ে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া একটি অমার্জনীয় উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া। এ ব্যাপারে একটি কঠোর ও নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, চীন এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী।’
তবে এ ব্যাপারে সতর্ক মন্তব্য করেছে চীন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝ্যাং ঝিজুন বলেন, তাঁরা এখনো ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সংঘাতের চেয়ে আলোচনা ভালো।
এদিকে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকেরা উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল সিউলে ৩০ জন বিক্ষোভকারী উত্তর কোরিয়াবিরোধী ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। চীনের প্রতি বলছি, উত্তর কোরিয়াকে রক্ষা করা বন্ধ করে জাতিসংঘের অবরোধকে সমর্থন করুন।’
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক তদন্তে দেখা গেছে, ২৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার একটি ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চেওনান নামের যুদ্ধজাহাজটি ডুবেছে। এতে জাহাজের ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই কোরিয়ার সমুদ্র চলাচল এবং রেডক্রস কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগসংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে এখনো দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগসংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। উত্তর কোরীয় অংশে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে স্থাপিত যৌথ শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে ওই সংযোগ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হয়। ওই শিল্পাঞ্চল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ছয়জন সরকারি কর্মকর্তাকেও বহিষ্কার করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পিসফুল রিইউনিফিকেশন অব কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় কমিটি হুমকি দিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করবে।
এ ছাড়া সীমান্তে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। মূলত ওই শিল্পাঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এটা। আর দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব প্রচারযন্ত্র সীমান্তে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালাবে, সেগুলোও ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে তারা। ছয় বছর আগে দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সীমান্তে স্থাপিত লাউড স্পিকারগুলো বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু সম্প্রতি এক বেতার বার্তায় সেগুলো আবার চালু করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরীয় কিছু ট্যাংককে সীমান্তের কাছে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল সিউলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বেইজিংয়ে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া একটি অমার্জনীয় উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া। এ ব্যাপারে একটি কঠোর ও নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, চীন এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী।’
তবে এ ব্যাপারে সতর্ক মন্তব্য করেছে চীন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝ্যাং ঝিজুন বলেন, তাঁরা এখনো ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, সংঘাতের চেয়ে আলোচনা ভালো।
এদিকে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকেরা উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল সিউলে ৩০ জন বিক্ষোভকারী উত্তর কোরিয়াবিরোধী ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। চীনের প্রতি বলছি, উত্তর কোরিয়াকে রক্ষা করা বন্ধ করে জাতিসংঘের অবরোধকে সমর্থন করুন।’
No comments