তালেবান জঙ্গিদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে রেডক্রস!
আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের প্রাথমিক চিকিৎসা-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রস। পাশাপাশি সংস্থাটি চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন সরঞ্জামও সরবরাহ করেছে। গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ন্যাটো ও আফগান সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত তালেবান জঙ্গিরা যাতে যুদ্ধক্ষেত্রেই চিকিৎসা সহায়তা পায়, এটা নিশ্চিত করতে এ সহায়তা দেওয়া হয়। রেডক্রস জানায়, গত মাসে অন্তত ৭০ জন তালেবান সদস্য এ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। রেডক্রসের মুখপাত্র মার্সেল ইজার্দ গতকাল বুধবার জানান, জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সবাই চিকিৎসার জন্য সমান সুযোগ পাবেন। এর আওতায় তালেবান জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
রেডক্রসের এই কার্যক্রম আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ন্যাটোসহ আফগান সেনা ও পুলিশ বাহিনী তালেবান জঙ্গিদের দমনে তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তার মধ্যে রেডক্রসের এই সহায়তাকে তিনি নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তবে রেডক্রস বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ কারণেই তালেবান সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তালেবানই নয়, রেডক্রস ১০০ জনেরও বেশি আফগান সেনা, পুলিশ ও ট্যাক্সিচালককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ট্যাক্সিচালকেরা হেলমান্দ ও কান্দাহার প্রদেশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে কাজ করেন।
রেডক্রসের মাধ্যমে তালেবান জঙ্গিদের প্রশিক্ষিত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে কান্দাহারের স্থানীয় সরকারের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তালেবান জঙ্গিরা মানুষের মতো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে না। তারা (তালেবান) পশুর সমতুল্য। তারা যাদের বন্দী করে, তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে। এরা কোনোভাবেই মানুষের মতো চিকিৎসা সহায়তা পেতে পারে না।’
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘বিতর্কিত বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কাবুলে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা রেডক্রসের এই মানবিক তৎপরতাকে সমর্থন করি। ন্যাটো সেনারাও রেডক্রসের সহায়তা পেয়ে থাকে। আমাদের মতে, রেডক্রসের মতো সংস্থার উচিত নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাওয়া।’
রেডক্রস আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সংস্থাটি ন্যাটো এবং তালেবান জঙ্গিদের বন্দীশালাও পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিচালনা করছে।
ন্যাটো ও আফগান সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত তালেবান জঙ্গিরা যাতে যুদ্ধক্ষেত্রেই চিকিৎসা সহায়তা পায়, এটা নিশ্চিত করতে এ সহায়তা দেওয়া হয়। রেডক্রস জানায়, গত মাসে অন্তত ৭০ জন তালেবান সদস্য এ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। রেডক্রসের মুখপাত্র মার্সেল ইজার্দ গতকাল বুধবার জানান, জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সবাই চিকিৎসার জন্য সমান সুযোগ পাবেন। এর আওতায় তালেবান জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
রেডক্রসের এই কার্যক্রম আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ন্যাটোসহ আফগান সেনা ও পুলিশ বাহিনী তালেবান জঙ্গিদের দমনে তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তার মধ্যে রেডক্রসের এই সহায়তাকে তিনি নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তবে রেডক্রস বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ কারণেই তালেবান সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তালেবানই নয়, রেডক্রস ১০০ জনেরও বেশি আফগান সেনা, পুলিশ ও ট্যাক্সিচালককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ট্যাক্সিচালকেরা হেলমান্দ ও কান্দাহার প্রদেশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে কাজ করেন।
রেডক্রসের মাধ্যমে তালেবান জঙ্গিদের প্রশিক্ষিত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে কান্দাহারের স্থানীয় সরকারের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তালেবান জঙ্গিরা মানুষের মতো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে না। তারা (তালেবান) পশুর সমতুল্য। তারা যাদের বন্দী করে, তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে। এরা কোনোভাবেই মানুষের মতো চিকিৎসা সহায়তা পেতে পারে না।’
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘বিতর্কিত বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কাবুলে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা রেডক্রসের এই মানবিক তৎপরতাকে সমর্থন করি। ন্যাটো সেনারাও রেডক্রসের সহায়তা পেয়ে থাকে। আমাদের মতে, রেডক্রসের মতো সংস্থার উচিত নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাওয়া।’
রেডক্রস আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সংস্থাটি ন্যাটো এবং তালেবান জঙ্গিদের বন্দীশালাও পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিচালনা করছে।
No comments