শুধু ইংল্যান্ডই প্রতিপক্ষ নয়
লর্ডসের লং রুম দিয়ে হেঁটে যেতে কেমন লাগছে ক্রিকেটারদের? ক্রিকেট-তীর্থে টেস্ট খেলার রোমাঞ্চে কি গায়ে কাঁটা দিচ্ছে কারও! কিংবা লর্ডসের মাঠটা যে একদিকে একটু ঢালু, সেটা কি তাঁরা জানেন? এসব প্রশ্নের খুব স্বাভাবিক উত্তর দেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের কাছেই যেন লর্ডসে টেস্ট খেলা আর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলা একই ব্যাপার।
এটা যদি হয় লর্ডসের মাহাত্ম্য না বুঝে, তাহলে লজ্জার কথা। আর যদি তা হয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু প্রথম টেস্টটাকে আর দশটা টেস্টের মতো নিয়ে চাপমুক্ত থাকার কৌশল, তাহলে ভালো। লর্ডস, বাউন্সি উইকেট বা প্রতিপক্ষ—টেস্টের আগের দিন ভাবনায় এসব ঘুরপাক খেলে ভয়টাই বেশি পাওয়ার কথা। এর চেয়ে লর্ডসকে লর্ডস না ভেবে ঘরের মাঠ ভাবলে দোষের কি!
একদিক দিয়ে অবশ্য আজ থেকে শুরু দুই টেস্টের সিরিজটা দেশের মাটিতে খেলা সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের মতোই। বাংলাদেশের সিরিজের মতো এই সিরিজেও থাকছে না রিভিউ পদ্ধতি। রিভিউ পদ্ধতির খরচ বহন করবে কে—এই প্রশ্নে ইসিবির সম্প্রচার স্বত্বাধিকারী স্কাই টিভির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়াটাই কারণ। বাংলাদেশ দলের জন্য এটা দুঃসংবাদ, কারণ রিভিউ পদ্ধতি না থাকায় গত হোম সিরিজে আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তে অনেক ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তার ওপর এই সিরিজের আম্পায়ার বিলি বাউডেন আর অশোকা ডি সিলভা, মাঠে যাঁদের কেউই ঠিক বাংলাদেশের বন্ধু বলে পরিচিত নন। কাল ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেওয়ার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারদের ওপরই আস্থা রাখতে চাইলেন, ‘রিভিউ সিস্টেম নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই। হোম সিরিজেই সেটা বেশি জরুরি। তবে এখানে এটা থাকলে ভালো হতো। তার পরও আশা করি, সমস্যা হবে না। দুজন আম্পায়ারই তো অনেক অভিজ্ঞ।’
রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে সাকিব কিছু বললেও লাভ নেই। কোনো সিরিজে রিভিউ পদ্ধতি থাকবে কি না, এখন পর্যন্ত সেটা সম্পূর্ণই স্বাগতিক বোর্ড আর টেলিভিশন সম্প্রচারকারীদের ব্যাপার। তবে আইসিসি যেখানে প্রতিটি টেস্টেই এই পদ্ধতি প্রবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজে সেটি না থাকা বড় এক ধাক্কাই।
যে ধাক্কা কাল বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন ব্রিটিশ মিডিয়াকেও। কাউন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর সংবাদের জের ধরে সিরিজ শুরুর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছ থেকে জানা গেল, এ রকম প্রস্তাব বছর আড়াই আগে তাঁকেও দেওয়া হয়েছিল। টেস্টের আগের দিন এ নিয়ে ইংলিশ সাংবাদিকদের তুমুল আগ্রহ। সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে এ সংক্রান্ত প্রশ্নই। যেই সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা একটু খেলায় ফিরলেন, সাকিব দিলেন আরেকটি ধাক্কা। বাংলাদেশ লর্ডস টেস্টে জেতার কথা ভাবছে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ অধিনায়কের ঝটপট উত্তর, ‘কেন নয়? আমরা যদি ভালো খেলি, আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে সেটা হতেই পারে।’
সমালোচনার জবাব দিতেও সেরা খেলাটা খুব জরুরি বাংলাদেশ দলের জন্য। বাংলাদেশের টেস্ট খেলা উচিত কি না, এই প্রশ্নটা উঠি-উঠি করে কাল উঠেই গেল ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সংবাদ সম্মেলনে। স্ট্রাউস অবশ্য সৌজন্যই দেখালেন, ‘গত দুই বছরে তারা যে রকম উন্নতি করছে, তাতে তাদের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিত। তবে উন্নতির ধারাটা ধরে রাখা জরুরি। এখানে (ইংল্যান্ড) খেলাটা ওদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হবে।’ জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটাও সমর্থন করছেন স্ট্রাউস। সে সঙ্গে শুনিয়ে দিচ্ছেন সতর্কবার্তা, ‘বাংলাদেশকে ছোট করে দেখাটা ঠিক নয়। বিপজ্জনক কিছু খেলোয়াড় আছে দলটাতে। অতীতে তাদের বিপক্ষে অনেক দলকেই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’
ইংল্যান্ডে আসার পর থেকে একটার পর একটা অশুভ বাতাস তাড়া করেছে বাংলাদেশ দলকে। ছোটখাটো চোট আঘাত ছিল অনেকেরই, সাকিব পড়লেন জলবসন্তে। তামিম ইকবালের হাতের ইনজুরি তো পারলে দেশেই ফেরত পাঠায় তাঁকে। তবে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ সেরা দলটাই মাঠে নামাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৬ জনের স্কোয়াড থেকে দলের বাইরে থাকছেন আবদুর রাজ্জাক, মাহবুবুল আলম, নাঈম ইসলাম ও শামসুর রহমান। বাকি ১২ জনের মধ্যে দ্বাদশ ব্যক্তি হওয়ার সম্ভাবনা শফিউল ইসলামেরই বেশি। অন্যদিকে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড জোর দিচ্ছে ব্যাটিংয়ের ওপর। টেস্ট অভিষেকের প্রতিযোগিতায় তাই পেসার আজমল শেহজাদকে হারিয়ে দিতে পারেন এউইন মরগান।
স্ট্রাউসের এই দলটার সঙ্গে প্রথম টেস্টে আবহাওয়ারও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার কথা বাংলাদেশের। দুই দিন ধরে আবারও তীব্র শীত পড়েছে লন্ডনে। পূর্বাভাস মানলে আজ নাকি তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসবে! সাকিব অবশ্য লর্ডস বা প্রতিপক্ষের মতো ইংলিশ কন্ডিশন নিয়েও ভাবতে রাজি নন, ‘আবহাওয়া-উইকেট এসব নিয়ে ভেবে আসলে লাভ নেই। আমাদের মূল কাজটা ঠিকভাবে করতে হবে। সেটা করতে পারলেই ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব।’
এটা যদি হয় লর্ডসের মাহাত্ম্য না বুঝে, তাহলে লজ্জার কথা। আর যদি তা হয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু প্রথম টেস্টটাকে আর দশটা টেস্টের মতো নিয়ে চাপমুক্ত থাকার কৌশল, তাহলে ভালো। লর্ডস, বাউন্সি উইকেট বা প্রতিপক্ষ—টেস্টের আগের দিন ভাবনায় এসব ঘুরপাক খেলে ভয়টাই বেশি পাওয়ার কথা। এর চেয়ে লর্ডসকে লর্ডস না ভেবে ঘরের মাঠ ভাবলে দোষের কি!
একদিক দিয়ে অবশ্য আজ থেকে শুরু দুই টেস্টের সিরিজটা দেশের মাটিতে খেলা সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের মতোই। বাংলাদেশের সিরিজের মতো এই সিরিজেও থাকছে না রিভিউ পদ্ধতি। রিভিউ পদ্ধতির খরচ বহন করবে কে—এই প্রশ্নে ইসিবির সম্প্রচার স্বত্বাধিকারী স্কাই টিভির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়াটাই কারণ। বাংলাদেশ দলের জন্য এটা দুঃসংবাদ, কারণ রিভিউ পদ্ধতি না থাকায় গত হোম সিরিজে আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তে অনেক ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তার ওপর এই সিরিজের আম্পায়ার বিলি বাউডেন আর অশোকা ডি সিলভা, মাঠে যাঁদের কেউই ঠিক বাংলাদেশের বন্ধু বলে পরিচিত নন। কাল ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেওয়ার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারদের ওপরই আস্থা রাখতে চাইলেন, ‘রিভিউ সিস্টেম নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই। হোম সিরিজেই সেটা বেশি জরুরি। তবে এখানে এটা থাকলে ভালো হতো। তার পরও আশা করি, সমস্যা হবে না। দুজন আম্পায়ারই তো অনেক অভিজ্ঞ।’
রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে সাকিব কিছু বললেও লাভ নেই। কোনো সিরিজে রিভিউ পদ্ধতি থাকবে কি না, এখন পর্যন্ত সেটা সম্পূর্ণই স্বাগতিক বোর্ড আর টেলিভিশন সম্প্রচারকারীদের ব্যাপার। তবে আইসিসি যেখানে প্রতিটি টেস্টেই এই পদ্ধতি প্রবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজে সেটি না থাকা বড় এক ধাক্কাই।
যে ধাক্কা কাল বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন ব্রিটিশ মিডিয়াকেও। কাউন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর সংবাদের জের ধরে সিরিজ শুরুর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছ থেকে জানা গেল, এ রকম প্রস্তাব বছর আড়াই আগে তাঁকেও দেওয়া হয়েছিল। টেস্টের আগের দিন এ নিয়ে ইংলিশ সাংবাদিকদের তুমুল আগ্রহ। সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে এ সংক্রান্ত প্রশ্নই। যেই সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা একটু খেলায় ফিরলেন, সাকিব দিলেন আরেকটি ধাক্কা। বাংলাদেশ লর্ডস টেস্টে জেতার কথা ভাবছে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ অধিনায়কের ঝটপট উত্তর, ‘কেন নয়? আমরা যদি ভালো খেলি, আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে সেটা হতেই পারে।’
সমালোচনার জবাব দিতেও সেরা খেলাটা খুব জরুরি বাংলাদেশ দলের জন্য। বাংলাদেশের টেস্ট খেলা উচিত কি না, এই প্রশ্নটা উঠি-উঠি করে কাল উঠেই গেল ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের সংবাদ সম্মেলনে। স্ট্রাউস অবশ্য সৌজন্যই দেখালেন, ‘গত দুই বছরে তারা যে রকম উন্নতি করছে, তাতে তাদের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিত। তবে উন্নতির ধারাটা ধরে রাখা জরুরি। এখানে (ইংল্যান্ড) খেলাটা ওদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হবে।’ জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটাও সমর্থন করছেন স্ট্রাউস। সে সঙ্গে শুনিয়ে দিচ্ছেন সতর্কবার্তা, ‘বাংলাদেশকে ছোট করে দেখাটা ঠিক নয়। বিপজ্জনক কিছু খেলোয়াড় আছে দলটাতে। অতীতে তাদের বিপক্ষে অনেক দলকেই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’
ইংল্যান্ডে আসার পর থেকে একটার পর একটা অশুভ বাতাস তাড়া করেছে বাংলাদেশ দলকে। ছোটখাটো চোট আঘাত ছিল অনেকেরই, সাকিব পড়লেন জলবসন্তে। তামিম ইকবালের হাতের ইনজুরি তো পারলে দেশেই ফেরত পাঠায় তাঁকে। তবে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ সেরা দলটাই মাঠে নামাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৬ জনের স্কোয়াড থেকে দলের বাইরে থাকছেন আবদুর রাজ্জাক, মাহবুবুল আলম, নাঈম ইসলাম ও শামসুর রহমান। বাকি ১২ জনের মধ্যে দ্বাদশ ব্যক্তি হওয়ার সম্ভাবনা শফিউল ইসলামেরই বেশি। অন্যদিকে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড জোর দিচ্ছে ব্যাটিংয়ের ওপর। টেস্ট অভিষেকের প্রতিযোগিতায় তাই পেসার আজমল শেহজাদকে হারিয়ে দিতে পারেন এউইন মরগান।
স্ট্রাউসের এই দলটার সঙ্গে প্রথম টেস্টে আবহাওয়ারও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার কথা বাংলাদেশের। দুই দিন ধরে আবারও তীব্র শীত পড়েছে লন্ডনে। পূর্বাভাস মানলে আজ নাকি তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসবে! সাকিব অবশ্য লর্ডস বা প্রতিপক্ষের মতো ইংলিশ কন্ডিশন নিয়েও ভাবতে রাজি নন, ‘আবহাওয়া-উইকেট এসব নিয়ে ভেবে আসলে লাভ নেই। আমাদের মূল কাজটা ঠিকভাবে করতে হবে। সেটা করতে পারলেই ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব।’
No comments