যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইনকে ঘিরে রাজনৈতিক মেরুকরণ
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইনের কড়াকড়ি নিয়ে রিপাবলিকান পার্টিই এখন বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য অভিবাসীদের সমর্থন প্রয়োজন, অন্যদিকে দলের রক্ষণশীলদের দলীয় চেতনা অভিবাসন বিষয়ে শক্ত অবস্থানের পক্ষে। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টিও অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ নয়। অতি উদারনৈতিক মহল অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে এ ধারণাটি জনপ্রিয় নয়।
রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণেই ডেমোক্রেটিক পার্টির উল্লেখযোগ্য অংশ অভিবাসন প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তবে সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা বারবার উচ্চারণ করছেন। কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। আইনপ্রণেতাদের উদ্যোগ ও ঐকমত্য ছাড়া মার্কিন অভিবাসন সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ এখন প্রবল হয়ে উঠেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশ কাটিয়ে গত মাসে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রিপাবলিকানদের উদ্যোগে প্রণীত এ আইন গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিবাসনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পুলিশকে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রভাবশালী রিপাবলিকান গভর্নরদের অনেকেই অ্যারিজোনার অভিবাসন আইনের সমালোচনায় মুখর। নেভাদা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জিম গিবন, ভার্জিনিয়ার গভর্নর রবার্ট ম্যাকডোনাল, টেক্সাসের গভর্নর রিক পেরি এমন কঠোর আইন প্রণয়নের বিপক্ষে। অপরদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচন প্রত্যাশী ম্যাগ হুইটম্যান রাজনৈতিক ঝুঁকিতে পড়েছেন অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের কারণে। গত দুই মাসে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমে গেছে। রিপাবলিকান হুইটম্যান অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল ম্যাককলাম দুই সপ্তাহ আগেও অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশায় এখন তিনি অ্যারিজোনার আইনের সমর্থনে বক্তব্য রাখছেন। অভিবাসন আইনের সংস্কার এখন রাজনৈতিক মেরুকরণের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠের হালচাল বিবেচনা করে অবস্থান পরিবর্তন করছেন অনেকেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের অন্যতম উপদেষ্টা কার্ল রভ বলেছেন, অভিবাসন নিয়ে তাঁদের সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের প্রশংসা করেছেন।
অভিবাসন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলম্বিত উদ্যোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। স্থানীয়ভাবে সমস্যা মোকাবিলার জন্য অঙ্গরাজ্যের সরকারগুলো আইন প্রণয়নে বাধ্য হচ্ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি অঙ্গরাজ্যে এক হাজার ১৮০টি অভিবাসন-সম্পর্কিত আইনের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়েছে।
রিপাবলিকান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ উড বলেছেন, অভিবাসন সমস্যা সমাধানে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক কারণেই শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে অনিচ্ছুক। ফলে রাজ্য সরকারগুলোকে প্রায়ই শক্ত অবস্থান নিতে হচ্ছে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস কর্তৃক পরিচালিত জরিপে অভিবাসন নিয়ে সাধারণ মার্কিন জনগণের মিশ্র মনোভাব উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৭ শতাংশ লোক অভিবাসন সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পক্ষে। যদিও এ জরিপে ৫১ শতাংশ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রণীত আইন যথার্থ বলে মতামত দিয়েছে।
রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণেই ডেমোক্রেটিক পার্টির উল্লেখযোগ্য অংশ অভিবাসন প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তবে সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা বারবার উচ্চারণ করছেন। কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। আইনপ্রণেতাদের উদ্যোগ ও ঐকমত্য ছাড়া মার্কিন অভিবাসন সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ এখন প্রবল হয়ে উঠেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে পাশ কাটিয়ে গত মাসে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রিপাবলিকানদের উদ্যোগে প্রণীত এ আইন গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিবাসনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পুলিশকে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রভাবশালী রিপাবলিকান গভর্নরদের অনেকেই অ্যারিজোনার অভিবাসন আইনের সমালোচনায় মুখর। নেভাদা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জিম গিবন, ভার্জিনিয়ার গভর্নর রবার্ট ম্যাকডোনাল, টেক্সাসের গভর্নর রিক পেরি এমন কঠোর আইন প্রণয়নের বিপক্ষে। অপরদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচন প্রত্যাশী ম্যাগ হুইটম্যান রাজনৈতিক ঝুঁকিতে পড়েছেন অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের কারণে। গত দুই মাসে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমে গেছে। রিপাবলিকান হুইটম্যান অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল ম্যাককলাম দুই সপ্তাহ আগেও অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশায় এখন তিনি অ্যারিজোনার আইনের সমর্থনে বক্তব্য রাখছেন। অভিবাসন আইনের সংস্কার এখন রাজনৈতিক মেরুকরণের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠের হালচাল বিবেচনা করে অবস্থান পরিবর্তন করছেন অনেকেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের অন্যতম উপদেষ্টা কার্ল রভ বলেছেন, অভিবাসন নিয়ে তাঁদের সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি অ্যারিজোনায় প্রণীত আইনের প্রশংসা করেছেন।
অভিবাসন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলম্বিত উদ্যোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। স্থানীয়ভাবে সমস্যা মোকাবিলার জন্য অঙ্গরাজ্যের সরকারগুলো আইন প্রণয়নে বাধ্য হচ্ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি অঙ্গরাজ্যে এক হাজার ১৮০টি অভিবাসন-সম্পর্কিত আইনের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়েছে।
রিপাবলিকান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ উড বলেছেন, অভিবাসন সমস্যা সমাধানে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক কারণেই শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে অনিচ্ছুক। ফলে রাজ্য সরকারগুলোকে প্রায়ই শক্ত অবস্থান নিতে হচ্ছে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস কর্তৃক পরিচালিত জরিপে অভিবাসন নিয়ে সাধারণ মার্কিন জনগণের মিশ্র মনোভাব উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৭ শতাংশ লোক অভিবাসন সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পক্ষে। যদিও এ জরিপে ৫১ শতাংশ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রণীত আইন যথার্থ বলে মতামত দিয়েছে।
No comments