পাকিস্তান থেকে আল-কায়েদার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পাকিস্তানি ভূখণ্ড ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই আফগানিস্তানে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নতুনভাবে দৃষ্টি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা জন ব্রেনান গত বুধবার এ কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদবিষয়ক সহকারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রেনান বলেন, ‘চলমান সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কৌশল একেবারেই অভিন্ন।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা গতকাল বৃহস্পতিবার সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কৌশলের ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণার এক দিন আগে প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন জন ব্রেনান। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে জড়িত। আমরা আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অধিকতর দৃষ্টি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা দায়িত্ব নিয়ে ইরাক যুদ্ধ শেষ করছেন। কেননা ৯/১১ ঘটনার সঙ্গে ইরাক যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ব্যাপারে নতুন করে মনোযোগ দিয়েছেন।
ব্রেনান বলেন, ‘আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে পরাস্ত করতে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। তারা যেখানেই ষড়যন্ত্র করবে এবং প্রশিক্ষণ নেবে সেখানেই হামলা চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও এর বাইরে আমরা কেবল আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি না; পাশাপাশি আমরা এসব দেশের সরকারকেও সাহায্য করছি; যাতে তারা নিজস্ব নিরাপত্তার মাধ্যমে আল-কায়েদার মূলোৎপাটন করতে পারে। তা ছাড়া সন্ত্রাসীরা যাতে সীমানা পেরিয়ে এসব দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়েও তাদের সাহায্য করা হচ্ছে।’
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিনি সন্দেহভাজন জঙ্গি ডেভিড হেডলির কথা উল্লেখ করে ব্রেনান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি চরমপন্থী আদর্শে গড়ে উঠেছে। সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকেরা মিনেসোটা থেকে সোমালিয়ায় গিয়ে লড়াই করছে। ভার্জিনিয়ার পাঁচ বাসিন্দা সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। শিকাগোর বাসিন্দা ডেভিড হেডলি মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। ডেনমার্কের এক কার্টুনিস্ট হত্যার ঘটনার সঙ্গে পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা জিহাদ জেনি জড়িত।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এসব সন্ত্রাসী ব্যক্তির কারণে যে নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হয়েছে তা প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে প্রতিফলিত হয়েছে।
পাকিস্তানে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গি নাজিবুল্লাহ জাজির কথাও উল্লেখ করেছেন ব্রেনান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী অনেকেই অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন। তাঁরা অবাধে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে ভ্রমণ করছেন, আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছেন। তবে তাঁদের ভয়ানক কিছু পরিকল্পনা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী ভণ্ডুল করে দিয়েছে।
ব্রেনান বলেন, ‘ওবামার নতুন কৌশল অনুয়ায়ী আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে অবশ্যই পরাভূত করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শক্তিশালী ও স্বাভাবিক স্থিতিপূর্ণ একটি রাষ্ট্র তৈরি করব। মার্কিনিদের মূল্যবোধ আমরা ধরে রাখব। এভাবেই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হব।
হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা জন ব্রেনান গত বুধবার এ কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদবিষয়ক সহকারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রেনান বলেন, ‘চলমান সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কৌশল একেবারেই অভিন্ন।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা গতকাল বৃহস্পতিবার সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কৌশলের ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণার এক দিন আগে প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন জন ব্রেনান। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে জড়িত। আমরা আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অধিকতর দৃষ্টি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা দায়িত্ব নিয়ে ইরাক যুদ্ধ শেষ করছেন। কেননা ৯/১১ ঘটনার সঙ্গে ইরাক যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ব্যাপারে নতুন করে মনোযোগ দিয়েছেন।
ব্রেনান বলেন, ‘আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে পরাস্ত করতে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। তারা যেখানেই ষড়যন্ত্র করবে এবং প্রশিক্ষণ নেবে সেখানেই হামলা চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও এর বাইরে আমরা কেবল আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি না; পাশাপাশি আমরা এসব দেশের সরকারকেও সাহায্য করছি; যাতে তারা নিজস্ব নিরাপত্তার মাধ্যমে আল-কায়েদার মূলোৎপাটন করতে পারে। তা ছাড়া সন্ত্রাসীরা যাতে সীমানা পেরিয়ে এসব দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়েও তাদের সাহায্য করা হচ্ছে।’
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিনি সন্দেহভাজন জঙ্গি ডেভিড হেডলির কথা উল্লেখ করে ব্রেনান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি চরমপন্থী আদর্শে গড়ে উঠেছে। সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকেরা মিনেসোটা থেকে সোমালিয়ায় গিয়ে লড়াই করছে। ভার্জিনিয়ার পাঁচ বাসিন্দা সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। শিকাগোর বাসিন্দা ডেভিড হেডলি মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। ডেনমার্কের এক কার্টুনিস্ট হত্যার ঘটনার সঙ্গে পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা জিহাদ জেনি জড়িত।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এসব সন্ত্রাসী ব্যক্তির কারণে যে নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হয়েছে তা প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে প্রতিফলিত হয়েছে।
পাকিস্তানে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গি নাজিবুল্লাহ জাজির কথাও উল্লেখ করেছেন ব্রেনান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী অনেকেই অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন। তাঁরা অবাধে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে ভ্রমণ করছেন, আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছেন। তবে তাঁদের ভয়ানক কিছু পরিকল্পনা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী ভণ্ডুল করে দিয়েছে।
ব্রেনান বলেন, ‘ওবামার নতুন কৌশল অনুয়ায়ী আল-কায়েদা ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে অবশ্যই পরাভূত করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শক্তিশালী ও স্বাভাবিক স্থিতিপূর্ণ একটি রাষ্ট্র তৈরি করব। মার্কিনিদের মূল্যবোধ আমরা ধরে রাখব। এভাবেই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হব।
No comments