‘আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে’
রাজপ্রাসাদ ছাড়ার দুই বছর পর নেপালের সর্বশেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ অবশেষে তাঁর নীরবতা ভেঙেছেন। নেপালের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর সঙ্গে যেসব চুক্তি করে, তা তারা রক্ষা করেনি। তারা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।
গত রোববার জ্ঞানেন্দ্র (৬২) দেশের দক্ষিণে তরাই এলাকা সফরকালে একটি হিন্দু মন্দিরে যান। এ সময় রাজপরিবারের ভক্তরা তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানায়। খারাপ আবহাওয়ার জন্য জ্ঞানেন্দ্র সেখানে রাত কাটাতে বাধ্য হন। এ সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি সাক্ষাৎকার দেন।
জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু শর্তের বিনিময়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলো রাজার সিংহাসন রক্ষা করবে, এমন কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা সে ওয়াদা থেকে সরে যায়।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই জানে আমাদের মধ্যে কী সমঝোতা হয়েছিল। এর বিচারের ভার আমি নেপালের জনগণের কাছেই ছেড়ে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা করতে চাই না। ’
জ্ঞানেন্দ্র বাবা-মায়ের ছোট ছেলে হওয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে কখনো তাঁরর্ সিংহাসনে বসার কথা ছিল না। এর পরও ঘটনাচক্রে তিনি দুবার ওই সিংহাসনে আরোহণ করেন। তবে তা কোনো সুফল বয়ে আনেনি। বরং তাঁর মাধ্যমেই রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটেছে।
২০০৫ সালে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেনাসমর্থিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জ্ঞানেন্দ্র। ২০০৬ সালে প্রচণ্ড গণবিক্ষোভে দেশে ১৯ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করার পর তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটার পর তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে দেন।
এর পর থেকে জ্ঞানেন্দ্র কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে নাগার্জনা এলাকায় একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়িতে অবশ্য সরকারি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো তিনি দেশের আইনকানুন মেনে চলেন এবং সরকারকে নিয়মিত কর দেন।
জ্ঞানেন্দ্র এখন প্রতিদিন ভোর ছয়টায় উঠে প্রার্থনা করেন। এরপর নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটান। দুপুরে খেয়ে একটু বিশ্রাম নেন। সন্ধ্যায় শুভাকাঙ্ক্ষী ও দর্শনার্থীদের তিনি সাক্ষাৎ দেন। এভাবেই কাটছে তাঁর দিন।
গত রোববার জ্ঞানেন্দ্র (৬২) দেশের দক্ষিণে তরাই এলাকা সফরকালে একটি হিন্দু মন্দিরে যান। এ সময় রাজপরিবারের ভক্তরা তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানায়। খারাপ আবহাওয়ার জন্য জ্ঞানেন্দ্র সেখানে রাত কাটাতে বাধ্য হন। এ সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি সাক্ষাৎকার দেন।
জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু শর্তের বিনিময়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলো রাজার সিংহাসন রক্ষা করবে, এমন কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা সে ওয়াদা থেকে সরে যায়।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই জানে আমাদের মধ্যে কী সমঝোতা হয়েছিল। এর বিচারের ভার আমি নেপালের জনগণের কাছেই ছেড়ে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা করতে চাই না। ’
জ্ঞানেন্দ্র বাবা-মায়ের ছোট ছেলে হওয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে কখনো তাঁরর্ সিংহাসনে বসার কথা ছিল না। এর পরও ঘটনাচক্রে তিনি দুবার ওই সিংহাসনে আরোহণ করেন। তবে তা কোনো সুফল বয়ে আনেনি। বরং তাঁর মাধ্যমেই রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটেছে।
২০০৫ সালে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেনাসমর্থিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জ্ঞানেন্দ্র। ২০০৬ সালে প্রচণ্ড গণবিক্ষোভে দেশে ১৯ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করার পর তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটার পর তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে দেন।
এর পর থেকে জ্ঞানেন্দ্র কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে নাগার্জনা এলাকায় একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন। সেখানে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়িতে অবশ্য সরকারি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো তিনি দেশের আইনকানুন মেনে চলেন এবং সরকারকে নিয়মিত কর দেন।
জ্ঞানেন্দ্র এখন প্রতিদিন ভোর ছয়টায় উঠে প্রার্থনা করেন। এরপর নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটান। দুপুরে খেয়ে একটু বিশ্রাম নেন। সন্ধ্যায় শুভাকাঙ্ক্ষী ও দর্শনার্থীদের তিনি সাক্ষাৎ দেন। এভাবেই কাটছে তাঁর দিন।
No comments