শক্তিশালী দেশগুলো বিচারের অগ্রগতি রুদ্ধ করে রেখেছে
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর কট্টর সমালোচনা করে বলেছে, আন্তর্জাতিক বিচারের অগ্রগতিকে তারা রুদ্ধ করে রেখেছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ২০০৯ সালের মানবাধিকার-বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ আহ্বান জানানো হয়। ওই তিন দেশের মিত্র জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত চার দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতি আইসিসির বিরোধিতা পরিহারের আহ্বান জানায় তারা।
অ্যামনেস্টির অভিযোগ, ২০০৯ সালে আফ্রিকায় নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ শত শত লোককে হত্যা করলেও তদন্ত তেমন হয়নি। দোষীকে দণ্ড থেকে পার পাওয়ার সুযোগ দেওয়ার রীতিই এ জন্য দায়ী। অবৈধ অভিবাসীদের শাস্তিদানে বেত্রাঘাত বন্ধে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে অ্যামনেস্টির অন্তর্বর্তী মহাসচিব ক্লডিও কর্ডন বলেন, কোনো ব্যক্তিই যে আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এ সংস্থা তা নিশ্চিত করতে চায়। এ মাসে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যে সেনা অভিযান চলে, ঘটনা তদন্তে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের অনুমোদন দিতে সে দেশের সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো তাদের আইনের ঊর্ধ্বে রেখেছে। একই সঙ্গে তারা রক্ষা করছে মিত্রদের। কাজেই আইন কেবল উদ্দেশ্য হাসিলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আইসিসির সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত না হওয়া কোনো দেশের জন্যই যৌক্তিক নয়। গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিচার করার একমাত্র স্বাধীন ও স্থায়ী আদালত এটি।
সাংবাদিকদের কর্ডন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা নিয়ে শুরুতে তাঁর যে শঙ্কা ছিল, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে তা দিন দিন কমছে। এ ব্যাপারে তাঁর আস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ বিরোধিতা নিস্তেজ হয়ে আসছে।’
অ্যামনেস্টির মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার যদি ন্যায়বিচারের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাহলে তারা উপলব্ধি করবে এ আদালত যথাযথ মানবাধিকারের মান নিয়ে কাজ করছে। কাজেই এ আদালতকে সমর্থন না করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র এ আদালতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। গত বছর দারফুরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এ পদক্ষেপকে তিনি যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর মধ্যে গিনির রাজধানী কোনাক্রির স্টেডিয়ামে গত সেপ্টেম্বরে ঘটা একটি গণহত্যার ওপর আলোকপাত করা হয়। সেখানে দেড় শতাধিক লোক বিক্ষোভ করার সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নারীরা প্রকাশ্যে ধর্ষিত হয়। এ ব্যাপারে গিনির সরকার এখনো বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত করেনি। এ জন্য জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কায় সেনা ও তামিল গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় সাত হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়। উভয় পক্ষই যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই জবাবদিহি নেই, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর বিষয়ও নেই। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনেও বহু লোক নিহত ও আশ্রয়হীন হয়। এসব ঘটনার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার দায়ী হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্দশা লাঘবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মালয়েশিয়ায় প্রচলিত আইনানুযায়ী, কেউ সেখানে অবৈধভাবে বাস করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ছয়বার বেত্রাঘাত করা হয়। একই সঙ্গে জরিমানা ও পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় অ্যামনেস্টির নির্বাহী পরিচালক নোরা মুরাত বলেন, মালয়েশিয়া যদি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করতে চায়, তাহলে বেত্রাঘাত করার মতো অবমাননাকর শাস্তির পদ্ধতি তাদের শিগগির বাতিল করতে হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর রাশিয়ায় মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
অ্যামনেস্টির অভিযোগ, ২০০৯ সালে আফ্রিকায় নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ শত শত লোককে হত্যা করলেও তদন্ত তেমন হয়নি। দোষীকে দণ্ড থেকে পার পাওয়ার সুযোগ দেওয়ার রীতিই এ জন্য দায়ী। অবৈধ অভিবাসীদের শাস্তিদানে বেত্রাঘাত বন্ধে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে অ্যামনেস্টির অন্তর্বর্তী মহাসচিব ক্লডিও কর্ডন বলেন, কোনো ব্যক্তিই যে আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এ সংস্থা তা নিশ্চিত করতে চায়। এ মাসে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যে সেনা অভিযান চলে, ঘটনা তদন্তে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের অনুমোদন দিতে সে দেশের সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো তাদের আইনের ঊর্ধ্বে রেখেছে। একই সঙ্গে তারা রক্ষা করছে মিত্রদের। কাজেই আইন কেবল উদ্দেশ্য হাসিলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আইসিসির সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত না হওয়া কোনো দেশের জন্যই যৌক্তিক নয়। গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিচার করার একমাত্র স্বাধীন ও স্থায়ী আদালত এটি।
সাংবাদিকদের কর্ডন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা নিয়ে শুরুতে তাঁর যে শঙ্কা ছিল, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে তা দিন দিন কমছে। এ ব্যাপারে তাঁর আস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ বিরোধিতা নিস্তেজ হয়ে আসছে।’
অ্যামনেস্টির মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার যদি ন্যায়বিচারের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাহলে তারা উপলব্ধি করবে এ আদালত যথাযথ মানবাধিকারের মান নিয়ে কাজ করছে। কাজেই এ আদালতকে সমর্থন না করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র এ আদালতে যোগ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। গত বছর দারফুরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এ পদক্ষেপকে তিনি যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর মধ্যে গিনির রাজধানী কোনাক্রির স্টেডিয়ামে গত সেপ্টেম্বরে ঘটা একটি গণহত্যার ওপর আলোকপাত করা হয়। সেখানে দেড় শতাধিক লোক বিক্ষোভ করার সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নারীরা প্রকাশ্যে ধর্ষিত হয়। এ ব্যাপারে গিনির সরকার এখনো বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত করেনি। এ জন্য জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কায় সেনা ও তামিল গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় সাত হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়। উভয় পক্ষই যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পক্ষেরই জবাবদিহি নেই, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর বিষয়ও নেই। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনেও বহু লোক নিহত ও আশ্রয়হীন হয়। এসব ঘটনার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার দায়ী হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্দশা লাঘবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মালয়েশিয়ায় প্রচলিত আইনানুযায়ী, কেউ সেখানে অবৈধভাবে বাস করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ছয়বার বেত্রাঘাত করা হয়। একই সঙ্গে জরিমানা ও পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় অ্যামনেস্টির নির্বাহী পরিচালক নোরা মুরাত বলেন, মালয়েশিয়া যদি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করতে চায়, তাহলে বেত্রাঘাত করার মতো অবমাননাকর শাস্তির পদ্ধতি তাদের শিগগির বাতিল করতে হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর রাশিয়ায় মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
No comments