থাই প্রধানমন্ত্রীর আরও আলোচনার প্রস্তাব নাকচ বিক্ষোভকারীদের
থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী লাল শার্ট বিক্ষোভকারীরা সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আরও আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার সব পর্ব চুকে গেছে। তাঁরা এখন আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে চান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত দুই দফা বৈঠক শেষে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা বিক্ষোভকারীদের আবার আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। কিন্তু গতকাল বিরোধীরা সে প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা জতুপ্রন প্রমপ্যান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সমঝোতার চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এখন আর কোনো আলোচনা নয়। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু সোমবার দ্বিতীয় দফা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সে দাবি নাকচ করে জানিয়ে দেন, ১৫ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি জানান, তাঁর সরকারের মেয়াদ আরও দুই বছর থাকলেও তিনি এ বছরের শেষে নির্বাচন দিতে রাজি আছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাঁর সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
জতুপর্ন জানান, তাঁরা সমস্যার সমাধান চান ১৫ দিনের মধ্যে, আর সরকার সময় চায় নয় মাস। তাই তাঁরা ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ এ সরকারের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা করতে চান না।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা দুই দিনের সফরে বাহরাইন গেছেন। যাওয়ার আগমুহূর্তে সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভকারীদের নেতারা নিজেদের মধ্যে কোনো রকম পরামর্শ ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। তবে এখনো তাঁরা সমঝোতার পথ খুঁজতে নতুন করে বৈঠকে বসার পক্ষে।
২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ২০০৮ সালে আবার নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে থাকসিনপন্থীরা জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত এক আদেশে তাঁদেরও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ভেজ্জাজিভা সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতাসীন সরকারকে সেনাসমর্থিত বুর্জোয়া শ্রেণীবান্ধব সরকার বলে মনে করা হয়। বর্তমানে যাঁরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র কৃষক। তাঁরা বতর্মান সরকারের চেয়ে থাকসিনকেই তাঁদের বেশি দরিদ্রবান্ধব হিসেবে মনে করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।
নির্বাসিত থাকসিন সিনাওয়াত্রা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁদের নানা ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিদেশের মাটিতে বসে থাই সরকারের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর জন্য কয়েক দিন আগে তাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের নির্দেশে দুবাই ছাড়তে হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুইডেনে রয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা জতুপ্রন প্রমপ্যান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সমঝোতার চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এখন আর কোনো আলোচনা নয়। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু সোমবার দ্বিতীয় দফা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সে দাবি নাকচ করে জানিয়ে দেন, ১৫ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি জানান, তাঁর সরকারের মেয়াদ আরও দুই বছর থাকলেও তিনি এ বছরের শেষে নির্বাচন দিতে রাজি আছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাঁর সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
জতুপর্ন জানান, তাঁরা সমস্যার সমাধান চান ১৫ দিনের মধ্যে, আর সরকার সময় চায় নয় মাস। তাই তাঁরা ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ এ সরকারের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা করতে চান না।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা দুই দিনের সফরে বাহরাইন গেছেন। যাওয়ার আগমুহূর্তে সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভকারীদের নেতারা নিজেদের মধ্যে কোনো রকম পরামর্শ ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। তবে এখনো তাঁরা সমঝোতার পথ খুঁজতে নতুন করে বৈঠকে বসার পক্ষে।
২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ২০০৮ সালে আবার নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে থাকসিনপন্থীরা জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত এক আদেশে তাঁদেরও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ভেজ্জাজিভা সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতাসীন সরকারকে সেনাসমর্থিত বুর্জোয়া শ্রেণীবান্ধব সরকার বলে মনে করা হয়। বর্তমানে যাঁরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র কৃষক। তাঁরা বতর্মান সরকারের চেয়ে থাকসিনকেই তাঁদের বেশি দরিদ্রবান্ধব হিসেবে মনে করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে।
নির্বাসিত থাকসিন সিনাওয়াত্রা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁদের নানা ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিদেশের মাটিতে বসে থাই সরকারের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর জন্য কয়েক দিন আগে তাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের নির্দেশে দুবাই ছাড়তে হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুইডেনে রয়েছেন।
No comments