দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে জয়ী তামিম
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিছু দূরে সিটি সেন্টার নামের বিপণিবিতান। দোকানিদের বেশির ভাগই চট্টগ্রামের লোক। দোকানে গ্রাহক হিসেবে হঠাৎ আফতাব আহমেদকে দেখে পুলকিত হন তাঁরা। সঙ্গে আফতাবের স্ত্রী-সন্তান। একই বিপণিকেন্দ্রে কয়েকজন বাংলাদেশি সাংবাদিক যেতেই বাঙালি দেখে এক বিক্রয়কর্মী বলে উঠলেন, ‘আগে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখতে পেতেন।’
দেশি ক্রিকেটারদের সান্নিধ্য পেতে প্রবাসী বাঙালিদের এমন আগ্রহ থাকলেও স্টেডিয়ামের গ্যালারি এখনো সুনসান। চট্টগ্রামের তামিম, আফতাব, নাফিসদের খেলাও তাঁদের মাঠে টানতে পারেনি। এ জন্য আর্থিক সামর্থ্যের পাশাপাশি তাঁরা দুষলেন আয়োজকদের স্বল্প প্রচারণাকেও।
গতকাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় নাফিস ইকবালের ব্রাদার্স ও তামিম ইকবালের চিটাগাং টাইগার্স। আর এতে ৭ উইকেটে জিতেছে ছোট ভাই তামিমের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা স্পোর্টস ৮ উইকেটে জিতেছে চিটাগাং পাইরেটসের বিপক্ষে।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন নাফিস। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানো ব্রাদার্সের হাল ধরেন অধিনায়ক নাফিস (২৫)। তবে তাঁকে ছাপিয়ে যান জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে তিনি ২০ বলে চার ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করলে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৩৭।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ছোটখাটো ঝড় বইয়ে দেন তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে তিনি পাকিস্তানি আজহার মেহমুদের বল মিড উইকেট দিয়ে দুবার ও স্ট্রেট ড্রাইভে একবার সীমানাছাড়া করেন। পরের ওভারে তাঁকে আরও দুটি চার মারেন। শফিউলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বল খেলে ৯টি চারে করেন ৪৪ রান। ম্যাচসেরা হন তামিম।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে একটা একাদশ দাঁড় করানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল চিটাগাং পাইরেটসের। ভিসা-জটিলতায় তিনজন ক্রিকেটার তখনো বাংলাদেশ থেকে পৌঁছাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তারা পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনে রাশেদ হানিফ ও জেনিসার খানকে। পাইরেটসের প্রতিপক্ষ ঢাকা স্পোর্টসের মোহাম্মদ শরীফ পড়েন অন্য রকম বিড়ম্বনায়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাঁকে রোববার পুরো রাত কাটাতে হয়। পাসপোর্ট নম্বরের বিভ্রান্তিতে তাঁকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আটকে রাখে। নানামুখী হস্তক্ষেপে সকালে তিনি ছাড়া পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স: ১৩৭/৯; (জিয়াউর ৩৫*, নাফিস ২৫, তুষার ইমরান ১৮; কামরুল ২/২৫, মিলিন্দা ২/৬, এনামুল ২/১৯, আবুল হাসান ১/৪২, মাহমুদউল্লাহ ১/৩১)। চিটাগাং টাইগার্স: ১৮.৫ ওভারে ১৩৮/৩ (তামিম ৪৪, মিথুন ২৯, খুররম ২৪; শফিউল ১/৩৩, তুষার ১/৪)।
চিটাগাং পাইরেটস: ১৫৪/৮ (রনি তালুকদার ৩৬, কাপালি ৩২, রাশেদ ২৮, জেনিসার ২৫; ফারহাত ২/২১, শরিফ ১/৩৫, নাজমুল ১/২৬)। ঢাকা স্পোর্টস: ১৮ ওভারে ১৫৫/২ (ফারহাত ৭১*, উত্তম ৩৩, শুভাগত ৩১)।
দেশি ক্রিকেটারদের সান্নিধ্য পেতে প্রবাসী বাঙালিদের এমন আগ্রহ থাকলেও স্টেডিয়ামের গ্যালারি এখনো সুনসান। চট্টগ্রামের তামিম, আফতাব, নাফিসদের খেলাও তাঁদের মাঠে টানতে পারেনি। এ জন্য আর্থিক সামর্থ্যের পাশাপাশি তাঁরা দুষলেন আয়োজকদের স্বল্প প্রচারণাকেও।
গতকাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় নাফিস ইকবালের ব্রাদার্স ও তামিম ইকবালের চিটাগাং টাইগার্স। আর এতে ৭ উইকেটে জিতেছে ছোট ভাই তামিমের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা স্পোর্টস ৮ উইকেটে জিতেছে চিটাগাং পাইরেটসের বিপক্ষে।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন নাফিস। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানো ব্রাদার্সের হাল ধরেন অধিনায়ক নাফিস (২৫)। তবে তাঁকে ছাপিয়ে যান জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে তিনি ২০ বলে চার ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করলে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৩৭।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ছোটখাটো ঝড় বইয়ে দেন তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে তিনি পাকিস্তানি আজহার মেহমুদের বল মিড উইকেট দিয়ে দুবার ও স্ট্রেট ড্রাইভে একবার সীমানাছাড়া করেন। পরের ওভারে তাঁকে আরও দুটি চার মারেন। শফিউলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বল খেলে ৯টি চারে করেন ৪৪ রান। ম্যাচসেরা হন তামিম।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে একটা একাদশ দাঁড় করানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল চিটাগাং পাইরেটসের। ভিসা-জটিলতায় তিনজন ক্রিকেটার তখনো বাংলাদেশ থেকে পৌঁছাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তারা পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনে রাশেদ হানিফ ও জেনিসার খানকে। পাইরেটসের প্রতিপক্ষ ঢাকা স্পোর্টসের মোহাম্মদ শরীফ পড়েন অন্য রকম বিড়ম্বনায়। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাঁকে রোববার পুরো রাত কাটাতে হয়। পাসপোর্ট নম্বরের বিভ্রান্তিতে তাঁকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আটকে রাখে। নানামুখী হস্তক্ষেপে সকালে তিনি ছাড়া পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স: ১৩৭/৯; (জিয়াউর ৩৫*, নাফিস ২৫, তুষার ইমরান ১৮; কামরুল ২/২৫, মিলিন্দা ২/৬, এনামুল ২/১৯, আবুল হাসান ১/৪২, মাহমুদউল্লাহ ১/৩১)। চিটাগাং টাইগার্স: ১৮.৫ ওভারে ১৩৮/৩ (তামিম ৪৪, মিথুন ২৯, খুররম ২৪; শফিউল ১/৩৩, তুষার ১/৪)।
চিটাগাং পাইরেটস: ১৫৪/৮ (রনি তালুকদার ৩৬, কাপালি ৩২, রাশেদ ২৮, জেনিসার ২৫; ফারহাত ২/২১, শরিফ ১/৩৫, নাজমুল ১/২৬)। ঢাকা স্পোর্টস: ১৮ ওভারে ১৫৫/২ (ফারহাত ৭১*, উত্তম ৩৩, শুভাগত ৩১)।
No comments