মিয়ানমারে সু চির দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা
মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সে দেশের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এনএলডির নেতারা বলেছেন, সরকার ‘অন্যায্য নির্বাচনী আইন’ করায় এনএলডি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানী ইয়াঙ্গুনে শতাধিক নেতার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এনএলডির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে জান্তা সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা বেশ কটি অন্যায্য ধারা সংযোজন করে নির্বাচন আইন পাস করেছে। ওই আইন মেনে তাঁদের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে তাঁরা দলের নিবন্ধন করবেন না বলে ঠিক করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে জান্তা সরকার নির্বাচনী আইন পাস করার পর জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এর তীব্র নিন্দা জানায়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সাজাপ্রাপ্ত সদস্য থাকলে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনও বাতিল বলে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নতুন আইনকে অং সান সু চিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সরকারি কৌশল বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জান্তা সরকারের এ আইন প্রণয়নকে গণতন্ত্রের সঙ্গে ‘নির্ভেজাল তামাশা’ বলেও অভিহিত করা হয়।
এনএলডির নেতারা বলেছেন, নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের দলকে নিবন্ধিত করতে হলে সু চিসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বহু নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে এটা মেনে দল নিবন্ধন করলে নতুন আইনকে স্বীকার করে নেওয়া হবে, যা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব।
নিয়ান উইন বলেন, গত সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে সু চির কথা হয়েছে। তিনি পরিষ্কারভাবে তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল যেন নতুন আইন স্বীকার করে নির্বাচন করার ‘চিন্তাও না করে’।
গতকাল বৈঠক শেষে এনএলডির সবচেয়ে বেশি দিন কারাবরণকারী বর্ষীয়ান নেতা উইন টিন বলেন, এ বৈঠক ছিল তাঁদের ‘জীবন-মরণ ইস্যু’।
তিনি বলেন, তাঁরা যদি নিবন্ধন না করেন, তাহলে সরকারি স্বীকৃতির খাতায় তাঁদের দলের নাম আর থাকবে না। তখন তাঁদের অবস্থা হবে হাত-পা ছাড়া দেহের মতো। অন্যদিকে, দলের নিবন্ধন পেতে হলে যাঁদের বাদ দিতে হবে, তাঁদের ছাড়া দলের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। তবু সব দিক বিবেচনা করে তাঁরা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপে জান্তা সরকার মিয়ানমারে ধাপে ধাপে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ লক্ষ্যে তারা সাত ধাপের একটি কৌশলপত্র প্রকাশ করে। কৌশলপত্রে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বছরই সামরিক সরকার সেখানে জাতীয় নির্বাচন দেবে বলে ঘোষণা দেয়। তবে নির্বাচনী আইনে নতুন নীতিমালা সংযোজন করায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচন-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করার অভিলাষ থেকেই সরকার তাদের ছকে ফেলা নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে। আগামী অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকার সেখানে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক নেত্রী সু চি গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী রয়েছেন।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল জয়লাভ করলেও তারা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এক অভ্যুত্থানে তাদের সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারি আছে।
এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যে জান্তা সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা বেশ কটি অন্যায্য ধারা সংযোজন করে নির্বাচন আইন পাস করেছে। ওই আইন মেনে তাঁদের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে তাঁরা দলের নিবন্ধন করবেন না বলে ঠিক করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে জান্তা সরকার নির্বাচনী আইন পাস করার পর জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এর তীব্র নিন্দা জানায়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সাজাপ্রাপ্ত সদস্য থাকলে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনও বাতিল বলে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নতুন আইনকে অং সান সু চিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সরকারি কৌশল বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জান্তা সরকারের এ আইন প্রণয়নকে গণতন্ত্রের সঙ্গে ‘নির্ভেজাল তামাশা’ বলেও অভিহিত করা হয়।
এনএলডির নেতারা বলেছেন, নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের দলকে নিবন্ধিত করতে হলে সু চিসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বহু নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে এটা মেনে দল নিবন্ধন করলে নতুন আইনকে স্বীকার করে নেওয়া হবে, যা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব।
নিয়ান উইন বলেন, গত সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে সু চির কথা হয়েছে। তিনি পরিষ্কারভাবে তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল যেন নতুন আইন স্বীকার করে নির্বাচন করার ‘চিন্তাও না করে’।
গতকাল বৈঠক শেষে এনএলডির সবচেয়ে বেশি দিন কারাবরণকারী বর্ষীয়ান নেতা উইন টিন বলেন, এ বৈঠক ছিল তাঁদের ‘জীবন-মরণ ইস্যু’।
তিনি বলেন, তাঁরা যদি নিবন্ধন না করেন, তাহলে সরকারি স্বীকৃতির খাতায় তাঁদের দলের নাম আর থাকবে না। তখন তাঁদের অবস্থা হবে হাত-পা ছাড়া দেহের মতো। অন্যদিকে, দলের নিবন্ধন পেতে হলে যাঁদের বাদ দিতে হবে, তাঁদের ছাড়া দলের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। তবু সব দিক বিবেচনা করে তাঁরা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপে জান্তা সরকার মিয়ানমারে ধাপে ধাপে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ লক্ষ্যে তারা সাত ধাপের একটি কৌশলপত্র প্রকাশ করে। কৌশলপত্রে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বছরই সামরিক সরকার সেখানে জাতীয় নির্বাচন দেবে বলে ঘোষণা দেয়। তবে নির্বাচনী আইনে নতুন নীতিমালা সংযোজন করায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচন-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করার অভিলাষ থেকেই সরকার তাদের ছকে ফেলা নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে। আগামী অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকার সেখানে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক নেত্রী সু চি গত ২০ বছরের মধ্যে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী রয়েছেন।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল জয়লাভ করলেও তারা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এক অভ্যুত্থানে তাদের সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারি আছে।
No comments