সু চির দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের অনেক বাসিন্দা গতকাল মঙ্গলবার এএনএলডিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তবে অনেকে বলছে, এনএলডি নির্বাচন বর্জন করে তাদের সংকটের মুখে ফেলেছে। কেননা, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মতো আর কোনো পছন্দের প্রার্থী নেই তাদের।
এনএলডির নেতারা গত সোমবার আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দেন। দলটির নেত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চি সম্প্রতি জান্তা সরকারের তৈরি করা নির্বাচনী আইনকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় এনএলডি।
৮ মার্চ জান্তা সরকার ১৯৯০ সালের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে নতুন নির্বাচনী আইন পাস করে। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সাজাপ্রাপ্ত সদস্য থাকলে ওই দলের নিবন্ধনও বাতিল বলে গণ্য হবে।
এনএলডির নেতারা বলেছেন, নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের দলকে নিবন্ধিত করতে হলে সু চিসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বহু নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে এটা মেনে দল নিবন্ধন করলে নতুন আইনকে স্বীকার করে নেওয়া হবে, যা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার এনএলডির নির্বাহী কমিটির ১১৩ সদস্য সর্বসম্মত হয়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করলেও তাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছর বয়সী শিক্ষক মিয়িন্ত মিয়িন্ত থেইন বলেন, ‘এনএলডি নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বিধ্বংসী। যখন নির্বাচন হবে তখন আমি কাকে ভোট দেব?’
গয়নার দোকানের মালিক মিয়ে মিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অন্ধের মতো অনিশ্চিত পথে চলছে এনএলডি। আমরা সবাই ঠিক করেছিলাম এনএলডির প্রার্থীদের ভোট দেব। এখন আর আমাদের কোনো পছন্দের প্রার্থী নেই।’
তবে ৫৫ বছর বয়সী নার্স খিন জ এনএলডির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সু চি আমাদের নেত্রী। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কি না জনগণের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করতে পারেন। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি এবং তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি।’
অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ থাকিন চান তুন বলেন, ‘সু চির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে বেশির ভাগ মানুষ সিদ্ধান্তটিকে সমর্থন করবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনের বৈধতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।’
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাকে সাহসিক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মীরা। ইউএস ক্যাম্পেইন ফর বার্মা সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অং ডিন বলেন, তাঁরা সবাই অং সান সু চি ও সব রাজনৈতিক বন্দীর পাশে থাকার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রেখেছেন। মিয়ানমারের জনগণ সামরিক জান্তার ভুয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
এনএলডির নেতারা গত সোমবার আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দেন। দলটির নেত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চি সম্প্রতি জান্তা সরকারের তৈরি করা নির্বাচনী আইনকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় এনএলডি।
৮ মার্চ জান্তা সরকার ১৯৯০ সালের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে নতুন নির্বাচনী আইন পাস করে। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সাজাপ্রাপ্ত সদস্য থাকলে ওই দলের নিবন্ধনও বাতিল বলে গণ্য হবে।
এনএলডির নেতারা বলেছেন, নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের দলকে নিবন্ধিত করতে হলে সু চিসহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বহু নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে এটা মেনে দল নিবন্ধন করলে নতুন আইনকে স্বীকার করে নেওয়া হবে, যা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার এনএলডির নির্বাহী কমিটির ১১৩ সদস্য সর্বসম্মত হয়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করলেও তাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছর বয়সী শিক্ষক মিয়িন্ত মিয়িন্ত থেইন বলেন, ‘এনএলডি নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বিধ্বংসী। যখন নির্বাচন হবে তখন আমি কাকে ভোট দেব?’
গয়নার দোকানের মালিক মিয়ে মিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অন্ধের মতো অনিশ্চিত পথে চলছে এনএলডি। আমরা সবাই ঠিক করেছিলাম এনএলডির প্রার্থীদের ভোট দেব। এখন আর আমাদের কোনো পছন্দের প্রার্থী নেই।’
তবে ৫৫ বছর বয়সী নার্স খিন জ এনএলডির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সু চি আমাদের নেত্রী। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কি না জনগণের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করতে পারেন। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি এবং তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি।’
অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ থাকিন চান তুন বলেন, ‘সু চির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে বেশির ভাগ মানুষ সিদ্ধান্তটিকে সমর্থন করবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনের বৈধতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।’
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাকে সাহসিক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মীরা। ইউএস ক্যাম্পেইন ফর বার্মা সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অং ডিন বলেন, তাঁরা সবাই অং সান সু চি ও সব রাজনৈতিক বন্দীর পাশে থাকার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রেখেছেন। মিয়ানমারের জনগণ সামরিক জান্তার ভুয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
No comments