ভোলায় উপনির্বাচন -রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে
বিগত নির্বাচনের পর ১৩ মাসে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের তুলনামূলক অবস্থানের কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা যাচাইয়ের একটি পরীক্ষা হিসেবে ভোলা-৩ আসনে উপনির্বাচনকে দেখা চলে। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জসিমউদ্দিন প্রায় ১৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন; কিন্তু এখন কী অবস্থা, তার সঠিক হিসাব জানা যাবে, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আপাতত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। বিশেষত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন, ২৯ মার্চ, কোনো প্রার্থীর পক্ষেই ঢাকঢোলসহ মিছিল নিয়ে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দেখা যায়নি। নির্বাচনী আচরণবিধি সবাই মেনে চলছেন। এটা বড় সুসংবাদ।
বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় নেতারা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। তাই তথ্য-প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া উচিত। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলা দুটির প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা। তাঁরা জেলা প্রশাসক নন, তাই সরকারের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ সেভাবে নেই। মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির স্থানীয় নেতারা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না। কমিশন ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করেছেন। সুতরাং বড় ধরনের উপদ্রব সৃষ্টি না হলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা যায়।
বিএনপি নির্বাচনে সেনা নিয়োগের দাবি করেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এর প্রয়োজন নেই। পুলিশ ও র্যাবই যথেষ্ট বলে তারা অভিমত দিয়েছে। কারণ এটি মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকার উপনির্বাচন। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথেষ্টসংখ্যক সদস্য পাওয়া যাবে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে হয়তো ভুল করেনি। বিএনপি এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল থাকতে পারে।
সব প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলছেন কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রচারের সময় উসকানিমূলক স্লোগান, মারমুখী মিছিল প্রভৃতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জানা গেছে, এসব বিষয় নজরদারির জন্য কমিশন শিগগিরই প্রতিটি ইউনিয়নে দুজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন। তারা প্রার্থীদের আয়-ব্যয়, প্রচারের ধরন প্রভৃতি বিষয়ে খোঁজখবর রাখবে এবং বিধি ভঙ্গ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করবে।
এখন নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো মহল থেকে যেন কোনো রকম হস্তক্ষেপ না হয়, সেদিকে সরকারের নজর রাখা বাঞ্ছনীয়। নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করানোর জন্য সরকারের প্রশাসন বা অন্য কর্মকর্তাদের ব্যবহারের চেষ্টা করলে নিজেদের ভাবমূর্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটা সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে বিবেচিত হবে, কোন প্রার্থী জয়লাভ করলেন সেটা বড় কথা নয়।
এর আগে অনুষ্ঠিত নয়টি উপনির্বাচনই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তবে সেগুলো হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই। এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং ভোলার উপনির্বাচনের প্রতি সবার দৃষ্টি। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট সবার অভিন্ন লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় নেতারা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। তাই তথ্য-প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া উচিত। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলা দুটির প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা। তাঁরা জেলা প্রশাসক নন, তাই সরকারের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ সেভাবে নেই। মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির স্থানীয় নেতারা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না। কমিশন ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করেছেন। সুতরাং বড় ধরনের উপদ্রব সৃষ্টি না হলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা যায়।
বিএনপি নির্বাচনে সেনা নিয়োগের দাবি করেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন মনে করছে, এর প্রয়োজন নেই। পুলিশ ও র্যাবই যথেষ্ট বলে তারা অভিমত দিয়েছে। কারণ এটি মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকার উপনির্বাচন। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথেষ্টসংখ্যক সদস্য পাওয়া যাবে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে হয়তো ভুল করেনি। বিএনপি এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল থাকতে পারে।
সব প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলছেন কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রচারের সময় উসকানিমূলক স্লোগান, মারমুখী মিছিল প্রভৃতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জানা গেছে, এসব বিষয় নজরদারির জন্য কমিশন শিগগিরই প্রতিটি ইউনিয়নে দুজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন। তারা প্রার্থীদের আয়-ব্যয়, প্রচারের ধরন প্রভৃতি বিষয়ে খোঁজখবর রাখবে এবং বিধি ভঙ্গ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করবে।
এখন নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো মহল থেকে যেন কোনো রকম হস্তক্ষেপ না হয়, সেদিকে সরকারের নজর রাখা বাঞ্ছনীয়। নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করানোর জন্য সরকারের প্রশাসন বা অন্য কর্মকর্তাদের ব্যবহারের চেষ্টা করলে নিজেদের ভাবমূর্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বরং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটা সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে বিবেচিত হবে, কোন প্রার্থী জয়লাভ করলেন সেটা বড় কথা নয়।
এর আগে অনুষ্ঠিত নয়টি উপনির্বাচনই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তবে সেগুলো হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই। এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং ভোলার উপনির্বাচনের প্রতি সবার দৃষ্টি। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট সবার অভিন্ন লক্ষ্য হওয়া উচিত।
No comments