পানির জন্য হাহাকার -জরুরিভাবে অযোগ্যদের সরিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিন
এত দিন দুর্গন্ধময় যে ঘোলা তরলটি ওয়াসা সরবরাহ করত, তার নাম পানি। বাধ্য হয়ে এই তরলটি দিয়েই ঢাকার নাগরিকেরা খাওয়া, গোসলসহ যাবতীয় প্রয়োজন মেটাত। কিন্তু এখন সেই পানিই হয়ে উঠেছে দুর্লভ। লাগাতার বিদ্যুৎ সংকটে ওয়াসার পাম্পগুলো বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে। দরিদ্র কি অভিজাত—সব এলাকায়ই দেখা দিচ্ছে পানির অভাবজনিত অসন্তোষ।
প্রতিবছর গরমকালে পানির সমস্যার সঙ্গে নগরবাসী পরিচিত হলেও এবার যেন তা সকল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে পাম্প চলছে না, গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না, অর্থ ও উদ্যোগের অভাবে গ্যাস তোলা যাচ্ছে না, গ্যাস তোলার টাকা সরকার জোগাতে পারছে না; সমস্যার এই শেকলের ফাঁসে দুঃসহ হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। প্রথম আলোর গত সোমবারের সংবাদ অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ বিদ্যুতের কারণে পাম্প বন্ধ ছিল সাকল্যে ৪৯৩ ঘণ্টা। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা দাঁড়ায় এক হাজার ৪৬৩ ঘণ্টা এবং এ বছরের ২৩ মার্চ বহু গুণ বেড়ে হয় দুই হাজার ২০৪ ঘণ্টা। ঘাটতির এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগেরও ক্রমবৃদ্ধির পরিমাপক। এ হিসাবই বলে যে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়াতেই সমস্যা পরিণত হয়েছে সংকটে। ওয়াসা এখন বলছে, শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের উপায় নেই। প্রশ্ন হলো, সমস্যা পেকে ওঠার এই দীর্ঘ সময়ে সরকার কেন সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়নি? পানির জন্য হাহাকার করা নগরবাসীকে তারা তাহলে কী জবাব দেবে?
পানিসম্পদসমৃদ্ধ বাংলাদেশে বিপন্ন খাতগুলোর মধ্যে পানি অন্যতম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা, উত্তরাঞ্চলে শুষ্কতা এবং মধ্য ভাগের বিরাট অঞ্চলের পানি আর্সেনিকে বিষাক্ত। এখন খোদ রাজধানীতেই হচ্ছে কারবালার দশা। ভেঙে পড়ছে পানি শোধন ও সরবরাহব্যবস্থা। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি এতসব বিপর্যয়কে বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে। পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ১৩টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত। পানি-দুর্নীতির সঙ্গে এদের সবারই কমবেশি সম্পর্ক থাকা সম্ভব। ঢাকাকে এবং বাংলাদেশকে বাসযোগ্য রাখতে গেলে এর অবসান হতেই হবে। দুঃখের বিষয়, অতীতের মতো বর্তমান সরকারও পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার সমাধানে পরমুখাপেক্ষিতা ও ধীরগতির দায়ে অভিযুক্ত হচ্ছে।
সরকারের উচিত, সমস্যার গোড়ায় হাত দেওয়া। দুর্নীতি ও বিপর্যয়ের জন্য দায়ীদের শাস্তি দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সর্বস্তরের নাগরিক, বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে, তাদের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হোক। দেওয়া হোক প্রয়োজনীয় লোকবল ও অর্থ বরাদ্দ। পানির দেশ বাংলাদেশকে পানিহীনতা থেকে বাঁচাতে এখনই এটা না-করা হবে আত্মঘাতের শামিল।
প্রতিবছর গরমকালে পানির সমস্যার সঙ্গে নগরবাসী পরিচিত হলেও এবার যেন তা সকল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে পাম্প চলছে না, গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না, অর্থ ও উদ্যোগের অভাবে গ্যাস তোলা যাচ্ছে না, গ্যাস তোলার টাকা সরকার জোগাতে পারছে না; সমস্যার এই শেকলের ফাঁসে দুঃসহ হয়ে যাচ্ছে জনজীবন। প্রথম আলোর গত সোমবারের সংবাদ অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ বিদ্যুতের কারণে পাম্প বন্ধ ছিল সাকল্যে ৪৯৩ ঘণ্টা। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা দাঁড়ায় এক হাজার ৪৬৩ ঘণ্টা এবং এ বছরের ২৩ মার্চ বহু গুণ বেড়ে হয় দুই হাজার ২০৪ ঘণ্টা। ঘাটতির এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগেরও ক্রমবৃদ্ধির পরিমাপক। এ হিসাবই বলে যে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়াতেই সমস্যা পরিণত হয়েছে সংকটে। ওয়াসা এখন বলছে, শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের উপায় নেই। প্রশ্ন হলো, সমস্যা পেকে ওঠার এই দীর্ঘ সময়ে সরকার কেন সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়নি? পানির জন্য হাহাকার করা নগরবাসীকে তারা তাহলে কী জবাব দেবে?
পানিসম্পদসমৃদ্ধ বাংলাদেশে বিপন্ন খাতগুলোর মধ্যে পানি অন্যতম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা, উত্তরাঞ্চলে শুষ্কতা এবং মধ্য ভাগের বিরাট অঞ্চলের পানি আর্সেনিকে বিষাক্ত। এখন খোদ রাজধানীতেই হচ্ছে কারবালার দশা। ভেঙে পড়ছে পানি শোধন ও সরবরাহব্যবস্থা। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি এতসব বিপর্যয়কে বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে। পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ১৩টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত। পানি-দুর্নীতির সঙ্গে এদের সবারই কমবেশি সম্পর্ক থাকা সম্ভব। ঢাকাকে এবং বাংলাদেশকে বাসযোগ্য রাখতে গেলে এর অবসান হতেই হবে। দুঃখের বিষয়, অতীতের মতো বর্তমান সরকারও পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যার সমাধানে পরমুখাপেক্ষিতা ও ধীরগতির দায়ে অভিযুক্ত হচ্ছে।
সরকারের উচিত, সমস্যার গোড়ায় হাত দেওয়া। দুর্নীতি ও বিপর্যয়ের জন্য দায়ীদের শাস্তি দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সর্বস্তরের নাগরিক, বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে, তাদের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হোক। দেওয়া হোক প্রয়োজনীয় লোকবল ও অর্থ বরাদ্দ। পানির দেশ বাংলাদেশকে পানিহীনতা থেকে বাঁচাতে এখনই এটা না-করা হবে আত্মঘাতের শামিল।
No comments