কঙ্গোতে গণহত্যা ঠেকাতে নতুন কৌশল জরুরি: জাতিসংঘ
কঙ্গোতে লর্ডস রেজিস্টেন্স আর্মির (এলআরএ) অতর্কিত হামলা থেকে নিরীহ লোকজনকে বাঁচাতে সেখানে নতুন কৌশল অবলম্বন করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান অ্যালান ডস গতকাল সোমবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন। গত রোববার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) কঙ্গোতে এলআরএর সর্বশেষ গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরদিন মিশনপ্রধান নতুন রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করার কথা বললেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে কঙ্গোর একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে গুপ্ত সংগঠন এলআরএ ৩২১ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে এবং ২৫০ জন শিশু-কিশোরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান বিবিসিকে বলেন, এলআরএ বিদ্রোহীদের ঠেকানোর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করা দরকার হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার ও বিমান টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
অ্যালান ডস বলেন, অরণ্যসংকুল বিস্তীর্ণ এলাকায় এলআরএর সদস্যরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের তৎপরতা চালায়। এ কারণে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা খুবই কঠিন কাজ। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়ে তাদের পাকড়াও করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক বিমান যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যালান ডস বলেন, এলআরএর সদস্যদের মূল অস্ত্র হলো আতঙ্ক ছড়ানোর ক্ষমতা। সংখ্যায় অল্প হলেও এত নৃশংসভাবে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটায় যে তাদের উপস্থিতির কথা শুনেই লোকজনের পিলে চমকে যায়। কঙ্গোর তাপিলি অঞ্চলে তারা সর্বশেষ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তাতে এলাকাবাসী চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীরা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে উল্লাস করেছে। তাদের ভয়ে লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার তিন মাস পরও তারা এলাকায় ফেরার সাহস পাচ্ছে না।
এইচআরডব্লিউর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে বড়দিনের কয়েক দিন আগে উগান্ডা থেকে নদী পার হয়ে এলআরএর প্রায় ৫০ জন সদস্য কঙ্গোর একটি গ্রামে ঢুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৩২১ জনকে হত্যা করে। তাদের লুট করা মাল বয়ে নেওয়ার জন্য সেখানকার ২৫০ জন শিশু-কিশোরকেও তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মূলত উগান্ডার বিদ্রোহী গ্রুপ হিসেবে এলআরএর উত্থান হয়। শুরুর দিকে এই বিদ্রোহীরা উগান্ডায় ‘মুসাবি ধর্মরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা সুদান, মধ্য আফ্রিকা ও কঙ্গোর মতো এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেয়। তাদের মানুষ হত্যার মূল উদ্দেশ্য কী, তা এখনো নৃতাত্ত্বিকদের কাছে এক রহস্য। তাদের বিগত কর্মকাণ্ডের তথ্যে দেখা যায়, ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে তারা উত্তর উগান্ডার লামবোতে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেখানে তারা এক দিনেই ৪০০ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে খ্রিষ্টানদের বড়দিন উৎসবের আগমুহূর্তে কঙ্গোর ডরুমা অঞ্চলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় ৩০০ লোককে হত্যা করে তারা। ২০০২ সালের মে মাসে সুদানের ইকুয়াটোরিয়ায় তারা ৪৫০ জনকে হত্যা করে। এদের বেশির ভাগকে তারা উঁচু পাহাড় থেকে ফেলে হত্যা করে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধান বিবিসিকে বলেন, এলআরএ বিদ্রোহীদের ঠেকানোর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করা দরকার হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার ও বিমান টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
অ্যালান ডস বলেন, অরণ্যসংকুল বিস্তীর্ণ এলাকায় এলআরএর সদস্যরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের তৎপরতা চালায়। এ কারণে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা খুবই কঠিন কাজ। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়ে তাদের পাকড়াও করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক বিমান যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যালান ডস বলেন, এলআরএর সদস্যদের মূল অস্ত্র হলো আতঙ্ক ছড়ানোর ক্ষমতা। সংখ্যায় অল্প হলেও এত নৃশংসভাবে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটায় যে তাদের উপস্থিতির কথা শুনেই লোকজনের পিলে চমকে যায়। কঙ্গোর তাপিলি অঞ্চলে তারা সর্বশেষ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তাতে এলাকাবাসী চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীরা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে উল্লাস করেছে। তাদের ভয়ে লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার তিন মাস পরও তারা এলাকায় ফেরার সাহস পাচ্ছে না।
এইচআরডব্লিউর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে বড়দিনের কয়েক দিন আগে উগান্ডা থেকে নদী পার হয়ে এলআরএর প্রায় ৫০ জন সদস্য কঙ্গোর একটি গ্রামে ঢুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৩২১ জনকে হত্যা করে। তাদের লুট করা মাল বয়ে নেওয়ার জন্য সেখানকার ২৫০ জন শিশু-কিশোরকেও তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মূলত উগান্ডার বিদ্রোহী গ্রুপ হিসেবে এলআরএর উত্থান হয়। শুরুর দিকে এই বিদ্রোহীরা উগান্ডায় ‘মুসাবি ধর্মরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা সুদান, মধ্য আফ্রিকা ও কঙ্গোর মতো এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেয়। তাদের মানুষ হত্যার মূল উদ্দেশ্য কী, তা এখনো নৃতাত্ত্বিকদের কাছে এক রহস্য। তাদের বিগত কর্মকাণ্ডের তথ্যে দেখা যায়, ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে তারা উত্তর উগান্ডার লামবোতে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। সেখানে তারা এক দিনেই ৪০০ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে খ্রিষ্টানদের বড়দিন উৎসবের আগমুহূর্তে কঙ্গোর ডরুমা অঞ্চলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় ৩০০ লোককে হত্যা করে তারা। ২০০২ সালের মে মাসে সুদানের ইকুয়াটোরিয়ায় তারা ৪৫০ জনকে হত্যা করে। এদের বেশির ভাগকে তারা উঁচু পাহাড় থেকে ফেলে হত্যা করে।
No comments