মস্কোতে পাতালরেলে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৩৯
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পাতালরেলে গতকাল সোমবার দুজন আত্মঘাতী নারী-হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। হামলায় কমপক্ষে দুই হামলাকারীসহ ৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও স্থানীয় বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকালে একটি ট্রেনে প্রথম হামলাটি চালানো হয়। ট্রেনটি ওই সময় শহরের কেন্দ্রস্থলে লুবিয়াংকা স্টেশনে থেমে ছিল। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর শহরের পার্ক কুলটারি স্টেশনে দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার জরুরি দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সভেত্লানা চুমিকোভা বলেন, লুবিয়াংকা স্টেশনে বিস্ফোরণে ট্রেনের ভেতরে ১৪ জন ও প্লাটফরমে ১১ জন মারা গেছে। আর কুলটারি স্টেশনে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ১২ জন। মস্কোতে ২০০৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা এটি। এ হামলার জন্য কারা দায়ী, তা এখনো জানা যায়নি। মস্কোর পাতালরেল বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত পাতালরেলগুলোর একটি। দৈনিক গড়ে ৫৫ লাখ যাত্রী শহরের পাতালরেল ব্যবহার করে।
বিস্ফোরণের পর প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার খবর শোনার পর সার্বিয়ায় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মস্কোর মেয়র ইউরি লুজকভ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুটি হামলাতেই আত্মঘাতী নারী-হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। হামলায় দুই স্টেশনে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। লুবিয়াংকা স্টেশনের অবস্থান মস্কোর গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) মূল কার্যালয়ের নিচে। এফএসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সম্ভবত দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক বেঁধে রেখেছিল। সংস্থার পরিচালক আলেক্সান্ডার বোর্তনিকভ বলেন, তাঁদের ধারণা, এই হামলার সঙ্গে উত্তরের ককেশাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জড়িত। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, আত্মঘাতী দুই হামলাকারী সম্ভবত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা থেকে একসঙ্গে রওনা করেছিল।
আত্মঘাতী এই হামলার পরপর শহরের কর্মচাঞ্চল্য থমকে যায়। হামলার শিকার ট্রেনটিতে থাকা ও স্টেশন দুটিতে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ভয়ে চিত্কার করে ওঠে এবং কাঁদতে থাকে। নিরাপত্তা ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সহিংস চরমপন্থী ও ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে রাশিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে মার্কিনিরা। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনো বিচারেই মেনে নেওয়া যায় না।’ এই হামলার ঘটনায় উত্কণ্ঠা প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হোসে ম্যানুয়েল বারোসোও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
গত এক দশকে মস্কোতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ও আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতাকামী মুসলিম বিদ্রোহীরা কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০০৪ সালের হামলার দায়িত্বও স্বীকার করেছে তারা। ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা যায়।
রাশিয়ার জরুরি দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সভেত্লানা চুমিকোভা বলেন, লুবিয়াংকা স্টেশনে বিস্ফোরণে ট্রেনের ভেতরে ১৪ জন ও প্লাটফরমে ১১ জন মারা গেছে। আর কুলটারি স্টেশনে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ১২ জন। মস্কোতে ২০০৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা এটি। এ হামলার জন্য কারা দায়ী, তা এখনো জানা যায়নি। মস্কোর পাতালরেল বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত পাতালরেলগুলোর একটি। দৈনিক গড়ে ৫৫ লাখ যাত্রী শহরের পাতালরেল ব্যবহার করে।
বিস্ফোরণের পর প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার খবর শোনার পর সার্বিয়ায় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মস্কোর মেয়র ইউরি লুজকভ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুটি হামলাতেই আত্মঘাতী নারী-হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। হামলায় দুই স্টেশনে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। লুবিয়াংকা স্টেশনের অবস্থান মস্কোর গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) মূল কার্যালয়ের নিচে। এফএসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সম্ভবত দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক বেঁধে রেখেছিল। সংস্থার পরিচালক আলেক্সান্ডার বোর্তনিকভ বলেন, তাঁদের ধারণা, এই হামলার সঙ্গে উত্তরের ককেশাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জড়িত। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, আত্মঘাতী দুই হামলাকারী সম্ভবত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা থেকে একসঙ্গে রওনা করেছিল।
আত্মঘাতী এই হামলার পরপর শহরের কর্মচাঞ্চল্য থমকে যায়। হামলার শিকার ট্রেনটিতে থাকা ও স্টেশন দুটিতে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ভয়ে চিত্কার করে ওঠে এবং কাঁদতে থাকে। নিরাপত্তা ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সহিংস চরমপন্থী ও ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে রাশিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে মার্কিনিরা। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনো বিচারেই মেনে নেওয়া যায় না।’ এই হামলার ঘটনায় উত্কণ্ঠা প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হোসে ম্যানুয়েল বারোসোও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
গত এক দশকে মস্কোতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ও আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতাকামী মুসলিম বিদ্রোহীরা কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০০৪ সালের হামলার দায়িত্বও স্বীকার করেছে তারা। ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা যায়।
No comments