কাঠমান্ডুতে জড়ো হচ্ছে লাখ লাখ মাওবাদী
আগামী মে দিবসে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে নেপালের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লাখ লাখ মাওবাদী কর্মী-সমর্থক রাজধানী কাঠমান্ডুতে এসে জড়ো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ওই দিন মাওবাদীরা কাঠমান্ডুর রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। মে দিবসের পরের দিন অর্থাত্ ২ মে থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল ও অবরোধ পালন শুরু করবে। ইতিমধ্যেই মাওবাদীরা কাঠমান্ডুসহ আশপাশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। ২ মে থেকে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা ও বাণিজ্যকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে পুরো দেশ অচল করে দেওয়া হবে বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছে মাওবাদীদের দল ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওয়িস্ট)। খবর নেপাল নিউজ ও এশিয়ান ট্রিবিউন অনলাইনের।
কর্মকর্তারা বলেছেন, কাঠমান্ডু থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের তিরাই জেলার প্রত্যন্ত বারদিয়া গ্রামের মতো অসংখ্য নিভৃত পল্লি এলাকা থেকে মাওবাদীরা কাঠমান্ডুতে আসছে। পুলিশ বলেছে, থানকোট, সাঙ্গা, সানখু ও দক্ষিণকালী পয়েন্ট দিয়ে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি লোক রাজধানীতে এসে পৌঁছেছে। ৩০ মে পর্যন্ত গ্রাম থেকে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার লোক জড়ো করার লক্ষ্য নিয়েছেন মাওবাদী নেতারা। ধাড়িং, কাবেরি, গোর্খা ও তানাহুনের মতো আশপাশের জেলা থেকে এখনো নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেননি। বিক্ষোভ শুরুর আগের দিন শহর এলাকার কর্মীরা রাজধানীতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাজধানীর বাইরে থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে মাওবাদীরা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের ভবন, দলীয় কার্যালয়, মন্দির এলাকা, সাধারণ নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি জায়গায় এসে কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। অনেকে থাকার জায়গার অভাবে খোলা আকাশের নিচেও অবস্থান করছেন।
বহিরাগত কর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্কুল, ব্যাংক, গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান এমনকি মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তাঁরা চাঁদা আদায় করছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চিতওয়ান ও নওয়াল পাড়াশি জেলার মতো অনেক জায়গাতেই মাওবাদীরা প্রতিটি পরিবারকে তাদের অন্তত একজন সদস্যকে মে দিবসের বিক্ষোভে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
কয়েক দিন আগে মাওবাদীদের নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং প্রতিশ্রুত মেয়াদের মধ্যে শান্তি চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের দাবি, মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তার জায়গায় নতুন জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে হবে। প্রচণ্ড হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে দমনাভিযান চালানো হলে যদি কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তাঁরা তার দায় নেবেন না।
কর্মকর্তারা বলেছেন, কাঠমান্ডু থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের তিরাই জেলার প্রত্যন্ত বারদিয়া গ্রামের মতো অসংখ্য নিভৃত পল্লি এলাকা থেকে মাওবাদীরা কাঠমান্ডুতে আসছে। পুলিশ বলেছে, থানকোট, সাঙ্গা, সানখু ও দক্ষিণকালী পয়েন্ট দিয়ে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি লোক রাজধানীতে এসে পৌঁছেছে। ৩০ মে পর্যন্ত গ্রাম থেকে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার লোক জড়ো করার লক্ষ্য নিয়েছেন মাওবাদী নেতারা। ধাড়িং, কাবেরি, গোর্খা ও তানাহুনের মতো আশপাশের জেলা থেকে এখনো নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেননি। বিক্ষোভ শুরুর আগের দিন শহর এলাকার কর্মীরা রাজধানীতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাজধানীর বাইরে থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে মাওবাদীরা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের ভবন, দলীয় কার্যালয়, মন্দির এলাকা, সাধারণ নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি জায়গায় এসে কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। অনেকে থাকার জায়গার অভাবে খোলা আকাশের নিচেও অবস্থান করছেন।
বহিরাগত কর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্কুল, ব্যাংক, গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান এমনকি মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তাঁরা চাঁদা আদায় করছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চিতওয়ান ও নওয়াল পাড়াশি জেলার মতো অনেক জায়গাতেই মাওবাদীরা প্রতিটি পরিবারকে তাদের অন্তত একজন সদস্যকে মে দিবসের বিক্ষোভে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
কয়েক দিন আগে মাওবাদীদের নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং প্রতিশ্রুত মেয়াদের মধ্যে শান্তি চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের দাবি, মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং তার জায়গায় নতুন জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে হবে। প্রচণ্ড হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে দমনাভিযান চালানো হলে যদি কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তাঁরা তার দায় নেবেন না।
No comments