ইরাকে দ্রুত সরকার গঠনে হিলারির আহ্বান
নির্বাচন-পরবর্তী বিতণ্ডা বন্ধ করে দ্রুত সরকার গঠনের জন্য ইরাকি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তবে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা প্রতিহত এবং দেশকে সম্ভাব্য সহিংসতার হাত থেকে বাঁচাতে হলে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা প্রয়োজন।
গত ৭ মার্চ ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। অন্যদের থেকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে প্রথম স্থানে আছে আলাবির জোট। নির্বাচনের পর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনের জন্য মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি ইরাকি নেতারা।
এর মধ্যেই গত সোমবার আলাবির জোট থেকে নির্বাচিত এক পার্লামেন্ট সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে বিচারকদের একটি প্যানেল। ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনকে সহযোগিতা করেছিলেন। এ ছাড়া বিজয়ী আরও সাত প্রার্থীর বিষয়ে বিচারক প্যানেলে গতকাল বুধবার সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে আরও ৫০ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। তবে তাঁরা কেউ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।
নির্বাচনের পর প্রার্থীদের এভাবে অযোগ্য ঘোষণা এবং সরকার গঠনের বিষয়ে নেতারা মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় ইরাকের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনী ফলাফল এখন নতুন করে যাচাইয়ের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন হিলারি ক্লিনটন।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিলারি বলেন, ‘প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং নির্বাচনী ফলাফল যাচাইয়ের জন্য ইরাক যে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানাই। তবে তা অবশ্যই স্বচ্ছ এবং নির্বাচনী বিধিবিধান মোতাবেক হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো একক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না বরং শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য ইরাকি দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি চায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে দ্রুত সরকার গঠনের জন্য ইরাকি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
এদিকে নিজের দলের এক পার্লামেন্ট সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণার পর আলাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের এ আহ্বান জানিয়েছেন। আলাবির জোটের কোনো প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হলে এতে লাভবান হবে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির জোট। মালিকির জোট নির্বাচনী ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আলাবির জোট পেয়েছে ৯১ আসন। আর মালিকির জোট জিতেছে ৮৯ আসনে।
আলাবি বলেন, ‘ইরাকি জনগণের রায় চুরি করা হচ্ছে এবং অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। আমরা নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
অযোগ্য ঘোষণা করে শত শত প্রার্থীকে নির্বাচন করতে দেয়নি ইরাকের অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড জাস্টিস কমিশন। আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এমন অনেক প্রার্থীকে এখন অযোগ্য ঘোষণা করছে এ কমিশন।
আলাবি বলেন, এই কমিশনের কোনো বৈধতা নেই। তারা ইচ্ছামতো যা খুশি তা-ই করছে। তারা সংবিধান মেনে কাজ করছে না।
গত ৭ মার্চ ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। অন্যদের থেকে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে প্রথম স্থানে আছে আলাবির জোট। নির্বাচনের পর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনের জন্য মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি ইরাকি নেতারা।
এর মধ্যেই গত সোমবার আলাবির জোট থেকে নির্বাচিত এক পার্লামেন্ট সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে বিচারকদের একটি প্যানেল। ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনকে সহযোগিতা করেছিলেন। এ ছাড়া বিজয়ী আরও সাত প্রার্থীর বিষয়ে বিচারক প্যানেলে গতকাল বুধবার সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে আরও ৫০ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। তবে তাঁরা কেউ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।
নির্বাচনের পর প্রার্থীদের এভাবে অযোগ্য ঘোষণা এবং সরকার গঠনের বিষয়ে নেতারা মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় ইরাকের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনী ফলাফল এখন নতুন করে যাচাইয়ের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন হিলারি ক্লিনটন।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হিলারি বলেন, ‘প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং নির্বাচনী ফলাফল যাচাইয়ের জন্য ইরাক যে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানাই। তবে তা অবশ্যই স্বচ্ছ এবং নির্বাচনী বিধিবিধান মোতাবেক হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো একক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না বরং শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য ইরাকি দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি চায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে দ্রুত সরকার গঠনের জন্য ইরাকি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
এদিকে নিজের দলের এক পার্লামেন্ট সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণার পর আলাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের এ আহ্বান জানিয়েছেন। আলাবির জোটের কোনো প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হলে এতে লাভবান হবে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির জোট। মালিকির জোট নির্বাচনী ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আলাবির জোট পেয়েছে ৯১ আসন। আর মালিকির জোট জিতেছে ৮৯ আসনে।
আলাবি বলেন, ‘ইরাকি জনগণের রায় চুরি করা হচ্ছে এবং অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। আমরা নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
অযোগ্য ঘোষণা করে শত শত প্রার্থীকে নির্বাচন করতে দেয়নি ইরাকের অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড জাস্টিস কমিশন। আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এমন অনেক প্রার্থীকে এখন অযোগ্য ঘোষণা করছে এ কমিশন।
আলাবি বলেন, এই কমিশনের কোনো বৈধতা নেই। তারা ইচ্ছামতো যা খুশি তা-ই করছে। তারা সংবিধান মেনে কাজ করছে না।
No comments