কাতিন গণহত্যার নথিপত্র প্রকাশ করেছে রাশিয়া
সোভিয়েত সেনাদের হাতে হাজার হাজার পোলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার যে ঘটনা ইতিহাসে কুখ্যাত কাতিন গণহত্যা বলে পরিচিত, সেই ঘটনার কিছু দলিলপত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রাশিয়া-পোল্যান্ড সম্পর্কের সাম্প্রতিক বরফ গলার ধারাকে আরও ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ওই সংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
গণহত্যার ঘটনায় নিহত পোলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ মাসের শুরুতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেস কাচজিনস্কি রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাতিন সফর করতে গিয়ে সেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর সঙ্গে মারা যান তাঁর স্ত্রীসহ আরও ৯৪ জন কর্মকর্তা। এ দুর্ঘটনায় শত্রুভাবাপন্ন দেশ রাশিয়ার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সেই সূত্রে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার রাশিয়া এ-বিষয়ক নথিপত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ করে।
১৯৯২ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিসন এই নথিগুলোর অনুলিপি প্রথমবারের মতো পোল্যান্ড সরকারকে দেখানোর অনুমতি দিলেও এত দিন তা সাধারণের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।
প্রকাশিত নথিপত্রে ১৯৪০ সালে সোভিয়েতের একনায়ক জোসেফ স্তালিনের কাছে লেখা গোপন পুলিশ বিভাগ এনকেভিডির প্রধান ল্যাভরেন্তি বেরিয়ার একটি চিরকুট সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই চিরকুটে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে আটক ২৫ হাজার পোলিশ কর্মকর্তার নিয়তি নির্ধারণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এতে এনকেভিডির প্রধান দ্রুততার সঙ্গে বন্দীদের গুলি করে মেরে ফেলার বিষয়টি বিবেচনার জন্য স্তালিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
১৯৪০ সালের মার্চ মাস উল্লেখ করা ওই দলিলপত্রের প্রথম পাতায় স্তালিনের সই রয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর ওপর ‘টপ সিক্রেট’ লেখা একটি সিলমোহরও রয়েছে।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই গণহত্যার কথা স্বীকার করেনি। শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ স্বীকার করে বলেন, স্তালিনের সময়ে ‘সোভিয়েত শক্তির শত্রু’ বিবেচনায় পোলিশ কর্মকর্তাদের এনকেভিডি হত্যা করে।
গণহত্যার ঘটনায় নিহত পোলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ মাসের শুরুতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লেস কাচজিনস্কি রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাতিন সফর করতে গিয়ে সেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর সঙ্গে মারা যান তাঁর স্ত্রীসহ আরও ৯৪ জন কর্মকর্তা। এ দুর্ঘটনায় শত্রুভাবাপন্ন দেশ রাশিয়ার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সেই সূত্রে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার রাশিয়া এ-বিষয়ক নথিপত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ করে।
১৯৯২ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলিসন এই নথিগুলোর অনুলিপি প্রথমবারের মতো পোল্যান্ড সরকারকে দেখানোর অনুমতি দিলেও এত দিন তা সাধারণের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।
প্রকাশিত নথিপত্রে ১৯৪০ সালে সোভিয়েতের একনায়ক জোসেফ স্তালিনের কাছে লেখা গোপন পুলিশ বিভাগ এনকেভিডির প্রধান ল্যাভরেন্তি বেরিয়ার একটি চিরকুট সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই চিরকুটে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে আটক ২৫ হাজার পোলিশ কর্মকর্তার নিয়তি নির্ধারণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এতে এনকেভিডির প্রধান দ্রুততার সঙ্গে বন্দীদের গুলি করে মেরে ফেলার বিষয়টি বিবেচনার জন্য স্তালিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
১৯৪০ সালের মার্চ মাস উল্লেখ করা ওই দলিলপত্রের প্রথম পাতায় স্তালিনের সই রয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর ওপর ‘টপ সিক্রেট’ লেখা একটি সিলমোহরও রয়েছে।
১৯৯০ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই গণহত্যার কথা স্বীকার করেনি। শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ স্বীকার করে বলেন, স্তালিনের সময়ে ‘সোভিয়েত শক্তির শত্রু’ বিবেচনায় পোলিশ কর্মকর্তাদের এনকেভিডি হত্যা করে।
No comments